ঢাকা: মহামারি করোনাভাইরাসের প্রদুর্ভাব দ্রুত বেড়ে যাওয়া সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এদিকে গত বছরের মতো এবারের লকডাউনেও যাতে মানুষের বাড়ি যাওয়ার ঢল শুরু না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেয়ার কথা উল্লেখ করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
আরো পড়ুন : লকডাউনে ট্রেন চলবে কি না, সিদ্ধান্ত জানালেন রেলমন্ত্রী
তিনি বলেছেন, লকডাউনের মধ্যে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব ধরনের সরকারি বেসরকারি-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে শিল্পকারখানা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের চলাফেরা যাতে কমাতে পারি সেজন্য আমরা আপাতত এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন দিচ্ছি। আমাদের জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান, ডিসি অফিস, ইউএনও অফিস, ফায়ার সার্ভিসের অফিস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অফিস, সংবাদপত্র অফিস- এই ধরনের অফিস খোলা থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে শিল্পকারখানা খোলা থাকবে, সেখানে একাধিক শিফট করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে শ্রমিকরা কাজ করেন- সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে তো আবার গত বছরের মতো শ্রমিকদের বাড়ি যাওয়ার ঢল শুরু হয়ে যাবে।’
‘এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে। সব ধরনের মার্কেট বন্ধ থাকবে।’
গণপরিবহন বন্ধ থাকবে কিনা- জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা যখন এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করব সেখানে তা স্পষ্ট করে বলা হবে। এখনই এ বিষয়ে বলছি না।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মানুষের চলাচল যাতে একেবারে সীমিত করে ফেলা যায় আমরা সেই পদক্ষেপ নেব। কেউ অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে পারবে না।’
অনেক লোক বিভিন্ন স্থানে গিয়ে আটকে থাকতে পারে, তাদের সেই সুযোগটা দিয়ে একদিন পর লকডাউন দেয়া হচ্ছে বলেও জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
সোনালীনিউজ/আইএ
আপনার মতামত লিখুন :