• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারকে চিঠি চিকিৎসকদের, ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি পুলিশের


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ১৯, ২০২১, ০৭:২৩ পিএম
সরকারকে চিঠি চিকিৎসকদের,  ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি পুলিশের

ফাইল ছবি

ঢাকা: লকডাউনে সড়কে পুলিশ-চিকিৎসক বাগাবিতণ্ডার ঘটনায় পরস্পরবিরোধী দোষারোপের খেলা চলছে।এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সাঈদা শওকত জেনিকেই দায়ী করেছে পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন।

ঘটনার পর দিন সোমবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে গণমাধ্যমকে পাঠানো বিবৃতিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের প্রতি জনৈক চিকিত্সক কর্তৃক এহেন অপেশাদার ও অরুচিকর আচরণে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য অত্যন্ত মর্মাহত।…একজন গর্বিত পেশার সদস্য হয়ে অন্য একজন পেশাদার বাহিনীর সদস্যদের প্রতি কটাক্ষ বা অসৌজন্যমূলক আচরণ কখনোই কাম্য নয়।’

মহামারিকালে ঘরের বাইরে আসলে পরিচয়পত্র প্রদর্শন বাধ্যতামূলক জানিয়ে বলা হয়, ‘মন্ত্রণালয়ের বৈধ আদেশ লঙ্ঘন এবং কর্তব্যরত বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিকট উক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন জোর দাবি জানাচ্ছে।’

অপরদিকে লকডাউনে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় একের পর হেনস্থার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে চিকিৎসকরা। অন্তত পাঁচ জন চিকিৎসকের পরিচয় পাওয়ার পরও পুলিশ তাদের সঙ্গে অন্যায্য আচরণ আর জরিমানার ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সরকারকে চিঠিও দেয়া হয়েছে।

চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন যোগাযোগ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গেও। নেতারা বলছেন, মহামারির এই সময়ে তারা কর্মবিরতির মতো কঠোর কর্মসূচিতে যেতে চান না। তবে এভাবে চলতে থাকলে প্রতীকী বিরতির কথাও ভাবা হচ্ছে।

পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘তিনি (জেনি) নিজ পেশার পরিচয় বাদ দিয়ে অপ্রাসঙ্গিক পরিচয় তুলে ধরে পুলিশ ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেনের সামনে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন এবং জাতির সামনে পেশাজীবী সংগঠনগুলোতে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা করেছেন।’

‘ডা. জেনিকে পরিচয়পত্র দেখাতে বললে তিনি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনকভাবে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন যা একজন পেশাদার ও সচেতন নাগরিকের কাছ থেকে কোনোভাবেই কাম্য নয়’।

‘গত ১৪ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসা সেবাসহ অন্যান্য কার্যক্রমে জড়িত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের দাপ্তরিক পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) অবশ্যিকভাবে ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও তিনি তা অমান্য করেছেন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তার পরিচয় প্রদান না করে নিজ মন্ত্রণালয়ের আদেশ লঙ্ঘন করেছেন।’

বিবৃতিতে বলা হয়, “উক্ত চিকিৎসক বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে বাদানুবাদকালে যে শব্দ প্রয়োগ করেছেন তা অত্যন্ত অরুচিকর ও লজ্জাজনক। এক পেশার সদস্য হয়ে আরেক পেশার কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি কি ভাষা প্রয়োগ করেছেন তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়েছে। তিনি কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ‘তুই’ বলে সম্বোধন করেছেন এবং ‘আর আমি কী, সেটা এখন তোদের দেখাচ্ছি হারামজাদা’ বলে হুমকি দিয়েছেন।’’

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!