• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

একটা ঈদ বাড়িতে না করলে কী হয়


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ৯, ২০২১, ০১:২৪ পিএম
একটা ঈদ বাড়িতে না করলে কী হয়

ফাইল ফটো

ঢাকা: জনসাধারণকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটা ঈদ বাড়িতে না করলে কী হয়? নিজ নিজ অবস্থানে থেকে ঈদ করুন।

পূর্বাচল প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের প্লট বুঝিয়ে দেওয়ার অনুষ্ঠানে রোববার (৯ মে) তিনি এ আহ্বান জানান। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের নতুন আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট এসেছে যেটা আরও বেশি মারাত্মক। এতে যারা সংক্রমিত হয় তারা আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মারা যান। যে কারণে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা পার্শ্ববর্তী দেশে এ ভাইরাস আক্রমণ করেছে। আর প্রতিবেশী আক্রান্ত হলে তা থেকে দূরে থাকা কঠিন হয়ে যায়। তাই সবাইকে বলবো, নিজ নিজ অবস্থানে থেকে ঈদ করুন। কেননা বাড়ি যাওয়ার পথে কে ভাইরাস বহন করছেন, কে করছেন না, তা আমরা কেউ জানি না। কাজেই বাড়ি যাওয়ার পথে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বলবো, বাড়ি যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কেননা যাওয়ার পথে আপনি ভাইরাস বহন করে নিয়ে যেতে পারেন আপনার পরিবারের কাছে। যাতে করে আপনার মা-বাবা ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্যরা আক্রান্ত হতে পারে। তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। নিজে সুরক্ষিত তেকে অন্যদের সুরক্ষিত রাখতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে। মাস্ক পরতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘রমজান মাস, আল্লাহর কাছে দোয়া করেন যেন এই করোনাভাইরাস থেকে যেন আমাদের দেশ মুক্তি পায়, দেশের মানুষ যেন মুক্তি পায় আর যেন প্রাণহানি না হয়।  শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বব্যাপী এই করোনার জন্য কত মানুষ মারা যাচ্ছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশে প্রতিদিন কত লোক মারা যাচ্ছে এবং এই প্রতিবেশী দেশে যখন হয় স্বাভাবিকভাবে তখন আমাদের দেশে আসার একটা সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য আগে থেকেই আমাদেরকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। নিজেদেরকে সেভাবে চলতে হবে, যেন আপনারা সবাই করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে থাকতে পারেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পূর্বাচল একটি পরিকল্পিত শহর। আমরা শুধু ঢাকা শহরকে কেন্দ্র করে না প্রতিটি বিভাগ এবং জেলায়ও এ ধরনের পরিকল্পিত বাড়ি যেন মানুষ করতে পারে, উন্নত জীবন পায়, প্রত্যেকটা গ্রামের মানুষ যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি, চেষ্টা করে যাবো।’

প্লট প্রাপ্তদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের হাতে আপনাদের প্রাপ্য তুলে দিতে পেরেছি এটা আমার জন্য সত্যি আনন্দের। আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি একটি মানুষ গৃহহীন থাকবে না। যেটুকু পারি যেভাবে পারি মানুষের জন্য করার সেটা আমরা করে দিব। প্রত্যেকটা ঘরেই বিদ্যুৎ থাকবে আলো জ্বলবে। প্রতিটি পরিবারেই শিক্ষিত মানুষ থাকবে লেখাপড়া শিখবে। সেই লেখাপড়া শুধু কিতাবি পড়া না সঙ্গে সঙ্গে ভোকেশনাল ট্রেনিং নেবে কারিগরি শিক্ষা নিতে হবে যেন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। শুধু বিএ এমএ পাশ করলে হবেনা চাকরির পেছনে ছুটলে হবে না নিজেরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে হবে, নিজেরা চাকরি দিতে পারে সেভাবে নিজেদেরকে কাজ করতে হবে। আমরা সেভাবেই সমাজকে গড়ে তুলতে চাই।’

সোনালীনিউজ/এমএইচ

Wordbridge School
Link copied!