• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অতি দারিদ্র্যের হার সাড়ে ৪ শতাংশে নামাতে চায় সরকার


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৩, ২০২১, ০৮:০১ পিএম
অতি দারিদ্র্যের হার সাড়ে ৪ শতাংশে নামাতে চায় সরকার

ফাইল ফটো

ঢাকা: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের (অর্থাৎ আগামী ২ বছরের) মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১২ দশমিক ৩ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্যের হার ৪ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে বাংলাদেশে। এ লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

স্পিকার শীরিন শারমিন চৌধুরী বরাবর লেখা আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতার ১২৬ ও ১২৭ নং অনুচ্ছেদে এমনটা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মধ্যে দারিদ্যের হার ১২ দশমিক ৩ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্যের হার ৪ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার।

তিনি বলেন, সরকার দারিদ্র বিমোচনে সাহসী, দৃঢ়, জনকেন্দ্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দারিদ্র দূরীকরণে লাগসই কৌসলসমূহ, যেমন- দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে থাকা মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বলয় সম্প্রসারণ, আর্থিক প্রণোদনা, ক্ষুদ্র সঞ্চয়কে উৎসাহ প্রদান, নারী ও যুব প্রশিক্ষণ, নারী-পুরুষের সমতা আনয়ন, আইসিটি ও ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার, কার্যকর দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা বিনির্মাণ, ইত্যাদির প্রয়োগে আমাদের সাফল্য বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিশেষজ্ঞদের নজর কেড়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, চলমান করোনা মহামারি পরিস্থিতি বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সাময়িকভাবে হলৌ যে স্থবিরতা সৃষ্টি করেছে, তা দারিদ্র দূরীকরণৈ আমাদের চলমান অগ্রগতিকে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করেছে। তবে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বেতন প্রদান, সিএমএসএমই খাতসহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্থ শিল্প ও সেবাখাতে সুদ ভর্তুকিসহ স্বল্পসুদে চলতি মূলধনের যোগান, অতি দরিদ্র মানুষের মদ্যে নগদ অর্থ বিতরণ, বিনামূল্যে ও স্বল্পমূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি ও গৃহহীন মানুষের জন্য গৃহনির্মাণ কার্যক্রমের পরিধি সম্প্রসারণ এবং বিশেষায়িত ব্যাংক ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কর্মসৃজন কার্যক্রমসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে দূরদর্শী ও সময়োচিত প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, তা শ্রমজীবী মানুষের চাকুরি টিকিয়ে রাখতে ও অসহায় দরিদ্র মানুষকে ক্ষুধা হতে সুরক্ষা দিয়েছে। ফলে করোনাকালে বাংলাদেশের দারিদ্র্য পরিস্থিতি ততটা বিপর্যয়ের মধ্যে নিপতিত হয়নি। 

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির সাম্প্রতিক দ্বিতীয় ঢেউয়ের ফলে দেশের দারিদ্র্য পরিস্থিতির উপর যে সম্ভাব্য প্রভাব পড়তে পারে, তা মোকাবেলার জন্যও সরকার কার্যকর ও সচেতন কর্মসূচি গ্রহণ করছে।

সোনঅলীনিউজ/এমএইচ

Wordbridge School
Link copied!