• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে শনাক্তের ৮০ শতাংশই ভারতীয় ধরন


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৪, ২০২১, ০২:৪৮ পিএম
দেশে শনাক্তের ৮০ শতাংশই ভারতীয় ধরন

ঢাকা : দেশে ৫০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সে করে ৪০টি তথা ৮০ শতাংশই ডেল্টা বা ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে। পাশাপাশি অজানা একটি ধরনও শনাক্ত হয়েছে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার (৪ জুন) এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।

দেশে ৮ মে প্রথম ডেল্টা বা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর আইইডিসিআর এবং ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইডিএসএইচআই) করোনভাইরাসের ৫০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করেছে।

ডেল্টা তথা ভারতীয় ধরনে সংক্রমিত রোগীদের মধ্যে ১৪ জন বিদেশে যাননি এবং যারা অন্যদেশে ভ্রমণ করেছেন তাদের সংস্পর্শেও আসেননি। এর মানে বাংলাদেশে ডেল্টা ধরনের কমিউনিটি সংক্রমণ হচ্ছে।

জিনোম সিকোয়েন্স করা ৫০টির মধ্যে মাত্র আটটি নমুনা বিটা বা দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন ছিল।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ ও পিরোজপুর থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় ডেল্টা ধরন পাওয়া গেছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করা ১৬টি নমুনার মধ্যে ১৫টি ডেল্টা ধরন আর গোপালগঞ্জ থেকে সাতটি নমুনার সবগুলোতেই ভারতীয় এই ধরনটি পাওয়া গেছে।

খুলনা থেকে সংগ্রহ করা তিনটি নমুনাই ডেল্টা ধরন এবং ঢাকা থেকে সংগ্রহ করা চারটি নমুনার মধ্যে দুটি ছিল ডেল্টা বা ভারতীয় ধরন।

গত বছরের অক্টোবরে ভারতীয় ধরনটি প্রথম শনাক্ত করা হয়। অতি সংক্রামক এই ধরনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন (ভিওসি) ঘোষণা দিয়েছে।

অতি সংক্রামক এই ধরনের হানায় করোনা মহামারীর বর্তমান হটস্পট ভারত রীতিমতো বিধ্বস্ত। দৈনিক রেকর্ড সংক্রমণে ভেঙে পড়ে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।

দেশে ভারতীয় ধরন ডেল্টা শনাক্ত হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৫০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন হয়েছে। এসব নমুনার মধ্যে ৪০টি নমুনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়।

এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করা ১৬টির মধ্যে ১৫টি, গোপালগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করা ৭টির মধ্যে সব কটিই, খুলনা শহর থেকে সংগ্রহ করা তিনটির সব কটি এবং ঢাকা শহরের চারটির মধ্যে ২টিতে ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে।

গত বছরের অক্টোবরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টটি প্রথম শনাক্ত করা হয়। এটি ভাইরাসের আগের স্ট্রেইনের চেয়ে অনেক বেশি সংক্রামক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই ভেরিয়েন্টটিকে ‘উদ্বেগের ভ্যারিয়েন্ট’ বলে অভিহিত করে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

 

Wordbridge School
Link copied!