• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
সতর্ক থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

চোখ রাঙাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ


নিজস্ব প্রতিনিধি জুন ১৯, ২০২১, ১১:৫৮ এএম
চোখ রাঙাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ

ফাইল ছবি

ঢাকা : করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতেই হিমশিম অবস্থা। এখন চোখ রাঙাচ্ছে এই মরণ ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দেশের সীমান্ত এলাকাসহ নোয়াখালী ও মানিকগঞ্জ পর্যন্ত চলে এসেছে। অর্থাৎ এখন রাজধানী ঢাকার কাছাকাছি। চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, অসাবধানতার সুযোগে তৃতীয় ঢেউয়ে সব বয়সের মানুষের মধ্যেই সংক্রমিত হতে পারে। বিশেষ করে শিশুরা আগের তুলনায় বেশি আক্রান্ত হতে পারে। তাই এই পরিস্থিতিতে আগাম সতর্কতার পরামর্শ দিলেন তারা।

এতদিন কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) শনাক্ত ও মৃত্যু তুলনামূলক কম থাকায় ঢাকায় অনেকটাই স্বস্তি ছিল। তবে সেই স্বস্তি এখন আর থাকছে না। কারণ দুই সপ্তাহ ধরে রাজধানী ঢাকায় ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে দৈনিক শনাক্তের হার, যার ৬৮ শতাংশই ডেল্টা ধরন। তাছাড়া চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় দৈনিক শনাক্ত ৫ থেকে ৬ শতাংশে ছিল। সেটা এখন উঠে এসেছে ১২ শতাংশে। ঢাকার বাইরে গ্রাম পর্যায়েও কঠোর পরিশ্রমী মানুষের মধ্যে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। হাসপাতালগুলোতেও ধীরে ধীরে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা, যা নিয়ে আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

এদিকে করোনার থাবা মারাত্মক রূপ নিলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা তেমন দেখা যাচ্ছে না। সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের কোনো তোয়াক্কাই করছেন না তারা। অলিগলি সর্বত্রই মানুষের জটলা। স্বাস্থ্যবিধি মানতে সরকারের উদ্যোগও তেমন চোখে পড়ছে না। সবকিছু এমন ঢিলেঢালা চললে ভবিষ্যতে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্যবিদ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্য কমিটির সদস্য ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ঢাকার বাইরে যেভাবে সংক্রমণ বেড়েছিল, ঠিক একইভাবে ঢাকায়ও সংক্রমণ বাড়ছে। আমরা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে আছি। কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছি না। আমি আশঙ্কা করছি যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকা শহরে ভাইরাসের সংক্রমণ খুলনা বা রাজশাহীর মতোই খারাপ হয়ে যেতে পারে।
 
তিনি আরও বলেন, আমরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম দেশে জুলাইয়ের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। এখন সংক্রমণের গতি দেখে মনে হচ্ছে জুলাইতে যাওয়ার আগেই তৃতীয় ঢেউ ঘটে যাবে। পরিস্থিতি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা, কোভিড পরীক্ষা বাড়ানো ও সংক্রমিত ব্যক্তিদের অন্যদের থেকে আলাদা করার ক্ষেত্রে সরকারি সংস্থা ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলে মনে হয়। সবাইকে সম্পৃক্ত করে কাজ করতে হবে। তাহলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মতো সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

অন্যদিকে তুলনামূলক পরীক্ষা কম হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, যেখানে সংক্রমণ বেশি, সেখানে বিনামূল্যে টেস্ট করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে নমুনা টেস্টের সংখ্যা সেই তুলনায় বাড়ছে না। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ঢাকার কাছাকাছি চলে এসেছে। অর্থাৎ দেশের সীমান্ত এলাকাসহ নোয়াখালী ও মানিকগঞ্জ পর্যন্ত চলে এসেছে। এখন সাবধান না থাকলে সামনে বিপদ হবে। করোনা সংক্রমণ বেশি। এসব এলাকার আম ব্যবসায়ীদের জন্য সংক্রমণ বাড়তে পারে।

এদিকে দেশব্যাপী গত দুই সপ্তাহে করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি। বিভিন্ন জেলায় যে পরিমাণ পরীক্ষা হচ্ছে তাতে পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বেশি শনাক্ত হচ্ছে। এপ্রিলে চূড়ান্ত স্পর্শ করার পর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা হলেও ছিল কমতির দিকে। এর মধ্যে এপ্রিলের শেষ থেকে জুনের শুরুর একমাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে মাত্র চার দিন সংক্রমণের হার ছিল ১০ শতাংশের কম। তবে ওই জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ফের চিত্র বদলে যেতে থাকে। ৪ জুন থেকে শুরু করে ১৭ জুন পর্যন্ত টানা দুই সপ্তাহ নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা সংক্রমণের হার ছিল ১০ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে শেষ ১০ দিনেই সংক্রমণের হার ১২ শতাংশের বেশি রয়েছে।
 
গতকাল শুক্রবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনা শনাক্তের হার বেড়ে ১৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ হয়েছে। এতে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৩৯৯ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৮৮৩ জনের শরীরে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ৮৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয়েছে তিন হাজার ৮৮৩ জন। মোট শনাক্তের সংখ্যা আট লাখ ৪৪ হাজার ৯৭০ জন। উল্লিখিত সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৫৫ জন। মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা সাত লাখ ৭৮ হাজার ৪২১ জন।

দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। টানা কয়েক মাস মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা বাড়ার পর তা আস্তে আস্তে কমতে শুরু করে। তবে চলতি বছরের মার্চের শেষ দিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে বাড়তে থাকে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। মাঝে কিছুদিন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছিল। শনাক্তের হার ১০ শতাংশের নিচে নেমেছিল।

গত এপ্রিল মাসে মাত্র একদিন নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার ছিল ১০ শতাংশের নিচে। বাকি ২৯ দিনই সংক্রমণের হার ছিল ১০ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ সংক্রমণের হারও দেখা গেছে এই মাসে। সার্বিক ভাবে এপ্রিল মাসে ৭ লাখ ৯৯ হাজার ১২৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। এই মাসে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল ১ লাখ ৪৭ হাজার ৮৩৭টি। সে হিসাবে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ছিল ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ।

মে মাস শুরু হলে সংক্রমণ ও সংক্রমণের হার কিছুটা কমতে থাকে। মে মাসের ৩১ দিনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এই মাসে কেবল তিন দিন সংক্রমণের হার ছিল ১০ শতাংশের বেশি। বাকি দিনগুলোতে সংক্রমণের হার ছিল ৬ থেকে ৯ শতাংশের ঘরে।
 
গোটা মে মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এই মাসে নমুনা পরীক্ষা এপ্রিলের তুলনায় কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। এ মাসে ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৮০৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এর বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্ত হয় ৪১ হাজার ৪০৮টি নমুনায়। সে হিসাবে এই মাসে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসের সংক্রমণের হারের তুলনায় অর্ধেকেরও কম।

মে মাসে সংক্রমণ ও সংক্রমণের হারের এই নিম্নগতির চিত্রটি আবার বদলে গেছে জুন মাসে। এই মাসের প্রথম ১৭ দিনেই নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ১৪৪টি। আর এসব নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৪০ হাজার ৫৪৭টি। অথচ গোটা মে মাসেই মোট সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল ৪১ হাজার ৪০৮টি। সে হিসাবে ১৮ জুনের হিসাব এলেই হয়তো জুনের সংক্রমণ ছাড়িয়ে যাবে মে মাসের মোট সংক্রমণকে।

এদিকে, ৪ জুনের ৪ পর থেকে টানা সংক্রমণের হার পাওয়া গেছে ১০ শতাংশের বেশি। ১৭ দিনের হিসাব বলছে, এই সময়ে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ, যেটি মে মাসের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেশি।

অন্যদিকে এই জুনের শেষ দুই সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এই ১৪ দিনের প্রতিদিনই সংক্রমণের হার ছিল ১০ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে দুই দিন করে সংক্রমণের হার ছিল ১০ শতাংশ, ১১ শতাংশ ও ১৩ শতাংশের বেশি। আর তিন দিন করে সংক্রমণের হার পাওয়া গেছে ১২ ও ১৪ শতাংশের বেশি। এ ছাড়া একদিন সংক্রমণের হার ১৫ শতাংশ ও একদিন ১৬ শতাংশ অতিক্রম করেছে।

এদিকে, এই দুই সপ্তাহের মধ্যে আবার আগের সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ২৪৪টি। তাতে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৪১৫টি নমুনায়। সে হিসাবে এই সময়ে সংক্রমণ শনাক্তের হার ছিল ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর এর পরের সপ্তাহ, অর্থাৎ সবশেষ সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৪১৯টি। এসব নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ২০ হাজার ৬৯২টি। সে হিসাবে এই সপ্তাহে সংক্রমণের হার ছিল ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

দুই সপ্তাহের তথ্য তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, শেষ সপ্তাহে আগের সপ্তাহের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে ১৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেশি। কিন্তু একই সময়ে সংক্রমণের শনাক্তের পরিমাণ বেড়েছে ৪৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই সংক্রমণের হারও বেড়েছে প্রায় তিন পয়েন্ট।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘বিভাগওয়ারি পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যায়, বরিশাল বিভাগ কিছুটা জায়গায় আছে। তাছাড়া রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি আছে। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে প্রতিনিয়ত হাসপাতালে চাপ বাড়ছে। সে তুলনায় ঢাকায় চাপ কম আছে। আমরা যদি শতকরা হারে বিবেচনা করি সে ক্ষেত্রে দেখা যায়, ঢাকা শহরে গড়ে এখনও সংক্রমণ ১০ শতাংশের নিচে রয়েছে। তবে সংক্রমণ শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো, সেটি নির্ভর করবে বিদ্যমান যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রয়েছে, সে অনুপাতে রোগীর সংখ্যার ওপর। আমাদের যা সক্ষমতা রয়েছে, এ মুহূর্তে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৭ হাজার শয্যা প্রস্তুত রয়েছে। সেখানে যদি রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার হয়ে যায়, তাহলেই সেটি নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ঢাকাবাসীরও এখন স্বস্তির সুযোগ নেই। বরং আবার উদ্বেগ বাড়ছে। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্ত এবং হাসপাতালের রোগীও ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে। ফলে সবাইকেই সাবধান হওয়া দরকার। স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে। ঘর থেকে বের হলেই মাস্ক পরা জরুরি।

আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর বলেন, ঢাকায় শনাক্তের হার বেড়ে গেছে। আগামী সপ্তাহে আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে সবাইকেই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এবার গ্রামের মানুষের মধ্যেও সংক্রমণ দেখা গেছে। এই ভাইরাসে ধনী-গরিব বলে কোনো কথা নেই। সব জনগোষ্ঠীর, সব বয়সের মানুষের মধ্যেই সংক্রমিত হতে পারে অসাবধানতার সুযোগে। এক্ষেত্রে যত বেশি পরীক্ষা হবে ততই শনাক্ত বাড়বে। ফলে সবাইকে পরীক্ষা করা জরুরি।

সার্বিক বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলো করোনা রোগীতে ভরে গেছে। রোগীদের সামাল দেওয়া কঠিন হচ্ছে। আমরা চাই না, ঢাকা ও দেশের অন্যান্য জেলাগুলোয় এই সমস্যা দেখা দিক। তাছাড়া সীমান্ত বন্ধ রাখার পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে বেশ কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। তবে ফরমাল চ্যানেল নয়, এমন পথেও  লোক যাওয়া-আসা করে। ইনফরমাল চ্যানেল দিয়ে লোক যাওয়া-আসা করে, সেটা থামানো কঠিন। আমাদের পুলিশ-বিজিবি-প্রশাসন সকলেই চেষ্টা করছে, যতখানি সম্ভব  বর্ডার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!