• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঈদের জামাতে মহামারি থেকে মুক্তির বিশেষ মোনাজাত


প্রতিবেদক জুলাই ২১, ২০২১, ০৯:৪৫ এএম
ঈদের জামাতে মহামারি থেকে মুক্তির বিশেষ মোনাজাত

ঢাকা: আজ ঈদুল আজহা। করোনার সংক্রমন এড়াতে বিধিনিষেধের মধ্যেই মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজে অংশ নিয়েছেন হাজারো মুসলমান। বুধবার সকাল ৭টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এবারের কোরবানির ঈদের প্রধান জামাত হয়। মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান তাতে ইমামতি করেন। নামাজ শেষে মোনাজাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের জন্য দোয়া করা হয়। দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়। ‘বালা মুসিবত’ থেকে সুরক্ষা চাওয়া হয় আল্লাহর কাছে।

মহামারীর ষোল মাসে গত বছর দুটি ঈদ এবং এ বছর রোজার ঈদ হয়েছে এবার আগে। এবার কোরবানির ঈদ হচ্ছে এমন এক সময়ে যখন সংক্রমণের সবচেয়ে বাজের সময়টি পার করছে বাংলাদেশ। গত রোজার ঈদের তুলনায় বুধবার ঈদের জামাতে মানুষের সংখ্যা ছিল তুলনামূলকভাবে কম।  নামাজের আগে মসজিদে মাইক থেকে বারবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে জামাতে অংশ নিতে বলা হয়। করা হয় বিভিন্ন বয়ান, শোনানো হয় বিভিন্ন হাদিস।

প্রথম জামাতে যোগ দিতে সকাল সাড়ে ৬টা থেকেই বায়তুল মোকাররমে আসতে শুরু করে মানুষ। মসজিদের বাইরে ছিল নামাজে আসা মানুষের দীর্ঘ লাইন। ঈদ জামায়াতে শিশু ও বৃদ্ধদের অংশ নিতে নিরুৎসাহিত করা হলেও দেখা গেছে অনেকে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ঈদের নামাজে এসেছেন। প্রবীণদেরও বায়তুল মোকাররমে নামাজ পড়তে দেখা গেছে।

বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭টায় প্রথম জামাতের পর সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং ১০টা ৪৫ মিনিটে আরও চারটি জামাতের আয়োজন করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এছাড়া পড়া-মহল্লার সব মসজিদেই নিজেদের নির্ধারিত সময়ে ঈদ জামাতে অংশ নিচ্ছেন মুসলমানরা।  আবহাওয়া ভালো থাকলে এমনিতে দেশে ঈদের প্রধান জামাতটি হয় ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সেই জামাতে নামাজ পড়েন ঈদের সকালে। গত তিনটি ঈদের মত এবারও তা করা যায়নি মহামারীর কারণে।

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার কিংবা দিনাজপুরের গোর-ই শহীদ ময়দানেও এবার ঈদের জামাত হচ্ছে না। ঈদের আগের দিন করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে কেড়ে নিয়েছে ২oo জনের প্রাণ। এ পর্যন্ত দেশে মোট ১৮ হাজার ৩২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছে মোট ১১ লাখ ২৮ হাজার ৮৮৯ জন। ঈদের আচার পালন করতে গিয়ে স্বাস্থ্যবিধিতে যেন ঢিল না পড়ে, ঈদের শুভেচ্ছা বাণীতে সেই কথাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!