• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হেলেনা জাহাঙ্গীরকে নিয়ে গুলশান থানায় র‌্যাব


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ৩০, ২০২১, ০৫:৫০ পিএম
হেলেনা জাহাঙ্গীরকে নিয়ে গুলশান থানায় র‌্যাব

ফাইল ছবি

ঢাকা: গ্রেফতার আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীরকে পুলিশে হস্তান্তর করা হবে। 

শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর গুলশান থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে নিয়মিত মামলা দায়েরের পর হেলেনা জাহাঙ্গীরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় ক্যাঙ্গারুর চামড়া, মাদক, ক্যাসিনো সামগ্রী পাওয়া গেছে। এজন্য তার বিরুদ্ধে পৃথক আইনে মামলা হবে বলে জানা গেছে। তাছাড়া তিনি ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন, সেজন্য তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি বিটিআরসি ও তথ্য মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন ছাড়া জয়যাত্রা নামক টেলিভিশন চ্যানেল পরিচালনার কারণে আলাদা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

গুলশান থানায় হেলেনা জাহাঙ্গীর।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‍্যাব সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, সম্প্রতি আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীর অস্ট্রিয়া প্রবাসী আলোচিত সেফুদা তাকে নাতনি ডাকতেন। সেফুদার সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল এবং তার সঙ্গে লেনদেনও ছিল হেলেনা জাহাঙ্গীরের।

খন্দকার আল মঈন বলেন, সেফুদা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের মাধ্যমে দেশবাসীর নজর কাড়তে চেষ্টা করেন। তার সঙ্গে গ্রেফতারকৃতের নিয়মিত যোগাযোগ ও লেনদেন রয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়।

তিনি বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীর অপকৌশলের মাধ্যমে নিজেকে ‘মাদার তেরেসা’, ‘পল্লীমাতা’, ‘প্রবাসীমাতা’ হিসেবে পরিচিতি পেতে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। তার পৃষ্ঠপোষকতায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া খেতাবের অপপ্রচার চালাত।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থা ও ব্যক্তিবর্গ থেকে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের নামে অর্থ সংগ্রহ করতেন। যা মানবিক সহায়তায় ব্যবহারের চেয়ে গ্রেফতারকৃতের খেতাব প্রচার-প্রচারণায় বেশি ব্যবহার করা হতো। হেলেনা বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রেখে নিজের বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেন। তিনি ১২টি ক্লাবের সদস্যপদে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি নেতা বানানোর ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠন। এটির কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে নাম আসে হেলেনা জাহাঙ্গীরের। আর সাধারণ সম্পাদক করা হয় মাহবুব মনিরকে। তাদের নাম-সংবলিত পোস্টার ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

এরপর শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ থেকে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২৫ জুলাই দলটির মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব মেহের আফরোজ চুমকি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!