ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্র অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশগুলোকে গণতন্ত্র সম্মেলনে ডেকেছে, তাই বাংলাদেশের নাম নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক কনফারেন্স শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগে ডিসেম্বরে গণতন্ত্র সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এ সম্মেলনে ১১০টির বেশি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল ও পাকিস্তান আমন্ত্রণ পেলেও এ আয়োজনে বাদ পড়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমা সব মিত্র দেশও এ আমন্ত্রণ পেয়েছে।
অবশ্য বাংলাদেশের মতো সম্মেলনে আমন্ত্রণের তালিকায় স্থান পায়নি যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ চীন। তবে তাইওয়ানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এবিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, গত কয়েক বছর ধরে আমাদের গণতন্ত্র স্টেবল। আমাদের দেশে অত্যন্ত স্বচ্ছ একটা গণতন্ত্র আছে। এখানে ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ভোটের মাধ্যমে। মানুষ ভোট দিচ্ছে। যে নির্বাচনে দাঁড়াতে চায় সে সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের প্রতিবেশী মিয়ানমারে নির্বাচন হলো অনেকগুলো লোককে ভোট দিতে দিল না। আফগানিস্তানেও একই ঘটনা হলো। আমাদের দেশের সব লোক ভোট দিতে পারে। ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। সেদিক থেকে আমরা অনেক অগ্রসর।
যুক্তরাষ্ট্রের থেকে গণতন্ত্র শেখার কিছু নেই উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে সমস্ত দেশ গণতন্ত্রের দিক থেকে দুর্বল হয়তো তাদের ডাক দিয়েছে। তারা দুই পর্বে সম্মেলন করবে বলেছে। প্রথমে কয়েকটি দেশকে। যারা গণতান্ত্রিক দিক থেকে খুবই দুর্বল তাদের। আমাদের বাদ দিয়েছে সেটা আমি বলি না। হয়তো পরে তারা আমাদের বলবে। এটা নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই, এটা তাদের দায়দায়িত্ব। আমার গণতন্ত্র আমাদের লোকদের ওপর। অন্যের পরামর্শে আমরা কাজ করি না। আমরা মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করি।
সোনালীনিউজ/আইএ
আপনার মতামত লিখুন :