• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সমাবেশ স্থগিত, দাবি আদায়ে সরকারি কর্মচারীদের জরুরি সভা আহবান


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ১২, ২০২২, ০৭:৩৩ পিএম
সমাবেশ স্থগিত, দাবি আদায়ে সরকারি কর্মচারীদের জরুরি সভা আহবান

ঢাকা: বেতন বৈষম্য নিরসন, ৫০শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদানসহ সাত দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ। কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের ৮ বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করবে সংগঠনটি।

তবে শেষ মুহূর্তে এসে সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ১৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ হওয়ার কথা ছিলো।এরপর ধাপে ধাপে সামবেশ হবে অন্য বিভাগে।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সরকারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, এতদ্বারা সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কোভিড-১৯ ওমিক্রনের প্রভাব বিস্তার করার কারণে সরকার সভা-সমাবেশের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করায় ও চট্টগ্রামের প্রশাসন থেকে সমাবেশের অনুমতি না পাওয়ায় ১৪-০১-২০২২ খ্রি: তারিখের চট্টগ্রামের বিভাগীয় সমাবেশ স্থগিত করা হল।

তবে চট্টগ্রাম ছাড়া অন্য বিভাগের সমাবেশ স্থগিতের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে সমাবেশ স্থগিতের পর দাবি আদায়ের জন্য বিকল্প কর্মসূচি, জোট সম্প্রসারণ ও বিবিধ বিষয় আলোচনার নিমিত্তে আগামি শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে পরমানু শক্তি কমিশন কর্মচারি কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে এক জরুরি সভা আহবান করা হয়েছ। উক্ত সভায় জোটের সকল শরীকদের যথা সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি জিয়াউল হক বলেন, সকল সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে মহার্ঘ ভাতা আদায়সহ কর্মচারীদের ৭ (সাত) দফা দাবি বাস্তবায়নে গণ জোয়ার সৃষ্টি করব।

‘বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায়ে ঐক্য পরিষদ’-এর ৭ দফা দাবি সমূহ:

১) জাতীয় স্থায়ী বেতন কমিশন গঠনপূর্বক বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ১৯৭৩ সনের ১০ ধাপে ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের পার্থক্য ১:৫ হতে হবে। পূর্বের ন্যায় শতভাগ পেনশন প্রথা পুনঃবহাল করতে হবে।

২) এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি চালুসহ সচিবালয়ের ন্যায় সচিবালয়ের বাহিরের সরকারী কর্মচারীদের পদ ও বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে। ব্লক পোস্টধারীদের পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

৩) আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিলপূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে হস্থান্তর করতে হবে। বিভিন্ন দপ্তর/প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন খাতে কর্মরত কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। ডাক বিভাগের প্রার্থী প্রথা চালুসহ মাস্টার রোল ও অন্যান্য দপ্তররে কর্মরত মাস্টার রোল, কন্টিজেন্স ও ওয়ার্কচার্জ কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে।

৪) সরকারি কর্মচারিদের পূর্বের ন্যায় ৩টি টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড ও বেতন সমতাকরণ পুনঃবহাল করতে হবে। জীবন যাত্রার মান সমুন্নত রাখার স্বার্থে ও টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয় বিবেচনা করে পেনশনের হার ৯০% থেকে ১০০% ও গ্রাইচ্যুইটির হার ১ টাকায় ২৩০ টাকার স্থলে ৪০০ টাকায় উন্নীত করণ করতে হবে।

৫) ৯ম পে-স্কেল প্রদানের পূর্ব পর্যন্ত দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির বিষয় বিবেচনা করে ৫০% মহার্ঘ ভাতা অবিলম্বে দিতে হবে।

৬) প্রশাসন ক্যাডারে কর্মরত কর্মচারীদের ন্যায় ১১তম থেকে ২০তম গ্রেডের সরকারি কর্মচারিদের বিনা সুদে ৩০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা গৃহনির্মাণ ঋণ দিতে হবে ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের যোগদানের দিন থেকে সিনিয়রিটি পাওয়ার জন্য করা রিট মামলার মহামান্য হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত আদেশ অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

৭) চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর এবং অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬২ বছর করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষার শিক্ষকদের ন্যায় অন্যান্য সকল দপ্তরে পোষ্য কোটা চালু করতে হবে।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!