• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রধানমন্ত্রীকে টিআইবির সাধুবাদ


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২০, ২০২২, ০৮:৪৬ পিএম
প্রধানমন্ত্রীকে টিআইবির সাধুবাদ

ঢাকা : করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিতিশীলতা শুরু হয়েছে, দেখা দিয়েছে মন্দা। এমন প্রেক্ষাপটে সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

শুক্রবার (২০ মে) টিআইবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। একই সাথে সরকারের সহায়ক হিসেবে জরুরি ভিত্তিতে স্বাধীন অর্থনৈতিক কৌশলবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এতে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও রিজার্ভের ওপর সৃষ্ট চাপ এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনীতির ওপর বহুমুখী চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে।

সংকট মোকাবিলায় করণীয় ঠিক করতে অর্থ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমন পরিস্থিতিতে অহেতুক ব্যয় কমিয়ে সবাইকে সাশ্রয়ী ও যৌক্তিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারপ্রধান। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায় টিআইবি।

প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিপুল আমদানি ব্যয়, বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্যহীনতা, রিজার্ভের ওপর তৈরি হওয়া চাপ মোকাবিলায় ব্যয় হ্রাস করতে হবে। জনকল্যাণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে সুচিন্তিত অর্থনৈতিক কর্মকৌশল নেওয়া এবং সাহসের সাথে তা বাস্তবায়ন জরুরি।’

তাই খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ, সমাজবিজ্ঞানী এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে জরুরি ভিত্তিতে একটি অর্থনৈতিক কৌশলবিষয়ক পরামর্শক কমিটি গঠন করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে বলেও জানান ইফতেখারুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘অন্য সব দেশের মতো বাংলাদেশকেও সম্ভাব্য খাদ্য ঘাটতিসহ বহুমুখী সংকটের মুখোমুখি হতে হবে বলে উদ্বেগ বাড়ছে। সংকটে বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা অনুযায়ী যেকোনো দেশেই সুশাসন অধিকতর ব্যাহত হয়। দুর্নীতি ও অর্থ পাচারসহ আর্থিক খাতের বহুমুখী অনিয়ম গভীর ও ব্যাপক হয়। আর্থসামাজিক বৈষম্য, দারিদ্র্য ও প্রান্তিকতার বিকাশ ঘটে। পাশাপাশি মৌলিক মানবাধিকার সুরক্ষা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়।’

সংকট মোকাবিলায় কৌশল প্রণয়নে বস্তুনিষ্ঠ, পেশাগত উৎকর্ষ ও বিজ্ঞানভিত্তিক এবং নিরপেক্ষ দিকনির্দেশনা সরকারের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হবে বলে মনে করেন তিনি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘এই কমিটি ২০২১-৪১ এর টার্গেট অনুযায়ী ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম ও ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে পৌঁছাতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি ২০৩১ সালের মধ্যে অতিদারিদ্র্য দূর এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্র্য শূন্যে নিয়ে আসার জন্য নির্দিষ্ট কৌশল প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’

করোনাভাইরাস মহামারির অভিঘাত এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে বিশ্বজুড়ে মন্দা ও দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই পরিস্থিতিতে জোর দিচ্ছে কৃচ্ছ্রসাধনে। বিলাসপণ্য আমদানিতেও নিরুৎসাহিত করতে হচ্ছে। পাশাপাশি আমদানিনির্ভর প্রকল্পও বেছে বেছে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের অর্থনীতির গতি সচল রাখতে যেসব প্রকল্প অতি প্রয়োজনীয়, সেগুলোই কেবল চালিয়ে যাওয়া হবে। যেসব প্রকল্প এখনই না করলেও চলে, সেগুলো বাস্তবায়নে ধীরে চলার নির্দেশ দেন তিনি।

সোনালীনিউজ/এনএন

Wordbridge School
Link copied!