• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ডিজির চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ চান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২৭, ২০২২, ০৫:৫৪ পিএম
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ডিজির চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ চান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা : উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ চান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। দুই বছর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে আধাসরকারি পত্র দিয়েছেন তিনি।

পত্রে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. আতাউর রহমানের পরিচয় উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোতে যোগদানের পর হতে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সুনামের সাথে পালন করে আসছেন। 

আগামী ২৯ জুলাই তিনি পিআরএলএ যাবেন। প্রতিষ্ঠানটির চলমান কার্যক্রমসমূহ অব্যাহত রাখার স্বার্থে তার চাকরিকাল বর্ধিত করা আবশ্যক। এমতাবস্থায় তার চাকুরী আগামি দুই বছরের জন্য বর্ধিত করার বিষয়ে আপনার ব্যক্তিগত সহযোগীতা কামনা করছি।

১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মচারী তার চাকরি-সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে প্রভাব খাটাতে পারেন না। সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা, ১৯৭৯-এর ৩০ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোন সরকারি কর্মচারী তাহার চাকরি-সংক্রান্ত কোন দাবির সমর্থনে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে সরকার বা কোন সরকারি কর্মচারীর ওপর রাজনৈতিক বা অন্য কোনো বহিঃপ্রভাব খাটাইতে বা খাটাইবার চেষ্টা করিতে পারিবেন না।’ 

একই আইনে তদবির করার জন্য সংসদ সদস্যদের কাছে যাওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। আইনটির ২০ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোন সরকারি কর্মচারী কোন ব্যাপারে তাহার পক্ষে হস্তক্ষেপ করার জন্য সংসদ সদস্য বা অন্য কোন বেসরকারি ব্যক্তিকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অনুরোধ জানাইতে পারিবেন না’।

উল্লেখ্য, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূরণে সরকার ২০০৫ সালে রাজস্ব খাতে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো সৃষ্টি করেছে। এটি জাতীয় পর্যায়ে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সাব-সেক্টর ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় অনেক অবদান রাখছে এবং এর ফলে সংগঠিত পদ্ধতিতে দেশে সাক্ষরতা বিস্তার ঘটছে। অপরদিকে, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সাব-সেক্টরকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সরকার উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন ২০১৪ মহান জাতীয় সংসদে পাস করেছে। এ আইনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে-‘শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সাক্ষর জ্ঞানদান, জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকায়ন, দক্ষ মানবসম্পদে পরিণতকরণ, আত্ম-কর্মসংস্থানের যোগ্যতা সৃষ্টিকরণ এবং বিদ্যালয় বাহির্ভূত ও ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার বিকল্প সুযোগ সৃষ্টি’।

সোনালীনিউজ/এনএন

Wordbridge School
Link copied!