• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
সরকারি কর্মচারীদের ৭ দফা

‘কালো ব্যাজে কাজ না হলে কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি’


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২, ০৮:০৯ পিএম
‘কালো ব্যাজে কাজ না হলে কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি’

ঢাকা: নবম জাতীয় পে-স্কেল, বেতন বৈষম্য নিরসন, ৫০শতাংশ মহার্ঘ ভাতাসহ ৭ দফা দাবি আদায়ে কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করছেন সরকারি কর্মচারীরা। ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন সরকারি অফিসে কর্মরত কর্মচারীরা মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) তৃতীয় দিনের কালো ব্যাজ ধারণ করেন। 

এই কর্মসুচির পরও দাবি বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেয়া না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন কর্মচারী নেতারা। 

আরও পড়ুন<<>>তিন বছর পূর্ণ সরকারি কর্মচারিদের দ্রুত বদলির নির্দেশ

অন্যান্য সরকারি অফিসের ন্যায় মঙ্গলবার সমাজসেবা অধিদফতরে কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করেন কর্মচারীরা। সেখানে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেছ আলীসহ কর্মচারী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ওয়ারেছ আলী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ বৃদ্ধি, পরিবারের চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিসহ পরিবারের ব্যযভার বহন করা নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় দাবি আদায়ে আন্দোলন-সংগ্রাম ছাড়া আমাদের সামনে আরও কোনো পথ খোলা নেই।’

আরও পড়ুন<<>>পদবৈষম্য নিরসন : আন্দোলনে যাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা

এসময় কর্মচারীদের দাবি আদায়ে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দাবির পক্ষে জনসংযোগ, ১ অক্টোবর সকল জেলায় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন এবং জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি, ১৫ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী শেষে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন অভিমুখে পদযাত্রা ও স্বারকলিপি প্রদান করা হবে বলে জানান ওয়ারেছ আলী।

তারপরও দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আরও কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচী দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। 

আরও পড়ুন<<>>সরকারি কর্মকর্তাদের যে সুখবর দিল অর্থমন্ত্রণালয়

নিম্ন গ্রেডের সরকারি কর্মচারীদের ৭ দফা দাবিসমূহ:

১। পে-কমিশন গঠন পূর্বক ৯ম পে স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তর্বতীকালীন কর্মচারীদের জন্য ৫০% মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করতে হবে।

২। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখাতে হবে।

৩। সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর, অধিদপ্তরের পদ পদবী পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়ণ করতে হবে।

৪। টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পূণর্বহাল সহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পূনঃবহল, বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

৫। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপীল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ।

৬। আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিল পূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে। ব্লক পোষ্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে।

৭। বাজারমূল্যের উর্দ্ধগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় পূর্বক সকল ভাতাদি
পুনঃনির্ধারণ করতে হবে। চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স সীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে। 

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!