• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশে ঢুকতে পারবে না রাশিয়ার ৬৯ জাহাজ


নিজস্ব প্রতিবেদক  জানুয়ারি ২৪, ২০২৩, ০৩:২৯ পিএম
বাংলাদেশে ঢুকতে পারবে না রাশিয়ার ৬৯ জাহাজ

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার ৬৯টি জাহাজকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সম্প্রতি এসব জাহাজকে মোংলা বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। গতকাল সোমবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ।

শাহীন মজিদ জানান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা সাতটি কোম্পানির ৬৯টি জাহাজকে বন্দরে প্রবেশ, নিবন্ধন, জাহাজ বাঙ্কারিং (তেল সরবরাহ), শ্রেণীকরণ, সনদায়ন, রক্ষণাবেক্ষণ, পুনঃসরবরাহ, রিফুয়েলিং, বীমা এবং অন্যান্য সামুদ্রিক পরিষেবা নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ পতাকা রেজিস্ট্রেশনকারী সংস্থা কর্তৃক জাহাজসমূহের জন্য স্থায়ী ও অস্থায়ী যে কোনো ধরনের রেজিস্ট্রেশন প্রদান না করার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে মোংলা বন্দরকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

তিনি আরও জানান, ওই চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা সাতটি কোম্পানির ৬৯ জাহাজের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এরই মধ্যে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে এসব জাহাজের তালিকা বন্দর-সংশ্লিষ্ট এজেন্ট ও ব্যবসায়ীদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলো যেন মোংলা বন্দরে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়ার উল্লেখযোগ্য জাহাজগুলো হলো এমভি স্পার্টা-১, স্পার্টা-২, বেলোমোরস্কাই, সিজহোবকা, ডিভিনস্কাই জালিভ, ইনযিনার টারবিন, ইনযিনার ভেসনিয়াকব, আইহোহান মাহমাসতাল, ক্যাপ্টেন কোকোভিন, রাইনসিন, মেখানিক আরভেস, মিকালইল লোমোনোসোভ, এস কুজনিসোভ, সাইয়ানি সেভারা, এস এমপি নোভোডিভিনেস্ক ও এস এমপি সেভারোডিভিনেস্ক। রাশিয়ার এসব জাহাজে মেশিনারিজ পণ্য আনার কথা ছিল।’

এর আগে নাম পরিবর্তন করে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় থাকা রুশ জাহাজ স্পার্টা-৩-এ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম পাঠিয়েছিল রাশিয়া। এমভি ‘উরসা মেজর’ নামে রাশিয়ার পতাকাবাহী ওই জাহাজটি গত ২৪ ডিসেম্বর মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। তার আগেই ২০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়, জাহাজটি আসলে ‘উরসা মেজর’ নয়, এটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ‘স্পার্টা-৩’ জাহাজ। এ নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।

বিষয়টি যাচাই করে নিশ্চিত হয়ে জাহাজটি বন্দরে ভিড়তে নিষেধ করে দেয় সরকার। পরে জাহাজটি পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে গিয়ে সরঞ্জাম খালাসের চেষ্টা করে। কিন্তু সরঞ্জাম খালাসের জন্য জাহাজটি নয়াদিল্লির অনুমতি পেতে ব্যর্থ হয়। এ অবস্থায় ১৬ জানুয়ারি ভারতের জলসীমা ছেড়ে যায় জাহাজটি।

সোনালীনিউজ/এম

Wordbridge School
Link copied!