• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বেগমপাড়ার সাহেবদের নেপথ্যের কথা


মহিউদ্দিন খান মোহন ডিসেম্বর ৫, ২০২০, ০৮:২৪ পিএম
বেগমপাড়ার সাহেবদের নেপথ্যের কথা

ঢাকা : সাম্প্রতিক সময়ে বেগমপাড়া শব্দটি বেশ আলোচিত। সুদূর কানাডায় বাংলাদেশের কিছু ব্যক্তির স্ত্রীদের নামে বাড়ি কিনে সেকেন্ড হোম গড়ার খবর সবার মুখে মুখে। কতগুলো বাড়ি সেখানে কেনা হয়েছে বা কারা সেগুলোর মালিক তার নির্দিষ্ট কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে, যা রটে, তার খানিকটা হলেও বটে- এ তত্ত্ব অনুযায়ী কানাডার বেগমপাড়ার গল্পকে আর কল্প-কাহিনী বলে উড়িয়ে দেওয়ার উপায় নেই। কেননা মাননীয় উচ্চ আদালত পর্যন্ত বিষয়টি আমলে নিয়েছেন এবং দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন ওই বেগমপড়ার নেপথ্যে যেসব সাহেব আছেন, তাদের পরিচয় উদঘাটন করতে। ফলে আমরা আমজনতার অংশীজনেরা এটা ধরে নিতে পারি, আমাদের দেশের কিছু সাহেব তাদের প্রিয়তমা পত্নীদের নামে সেখানে তাজমহল না হলেও ‘মহল’ অবশ্যই গড়ে তুলেছেন। আর এসব মহল যে এদেশের মানুষের রক্ত পানিকরা আয়ের বিপরীতে দেওয়া ট্যাক্সের টাকায় তৈরি তা ব্যাখ্যা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না।

কারা গড়ে তুলেছেন ওই বেগমপাড়া? এ প্রশ্নের জবাব হয়তো সরাসরি পাওয়া যাবে না। তবে বিষয়টির যেটুকু গণমাধ্যমে আসে এবং পারিপার্শ্বিক ঘটনা থেকে তা অনুমান করে নিতে হবে। সম্প্রতি আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় এই বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, কানাডার বেগমপাড়ার মালিক-মোক্তারদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তার সংখ্যাই বেশি। আর সবচেয়ে কম হলো তাদের সংখ্যা, যাদেরকে আমরা তাবৎ দুর্নীতি-অপকর্মের জন্য গালি দিয়ে থাকি, সেই রাজনৈতিক নেতা নামের নন্দঘোষদের। কীভাবে গড়ে উঠেছে ওই বেগমপাড়া? এ প্রশ্নেরও সঠিক জবাব হয়তো পাওয়া যাবে না। তবে এটা ঠিক যে, দুর্নীতি-আত্মসাতের মাধ্যমে অর্জিত অবৈধ অর্থকে গোপনে পাচার করেই ওই কথিত ‘পাড়া’ গড়ে তুলেছে কিছু আর্থিক দুর্বৃত্ত। বাংলাদেশ থেকে কী পরিমাণ অর্থ প্রতি বছর দেশের বাইরে পাচার হয়ে যাচ্ছে, সে খবর মাঝে-মধ্যেই সংবাদমাধ্যমে উঠে আসছে। গত ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন এ মর্মে নিশ্চিত হয়েছে যে, গত ১২ বছরে বাংলাদেশ থেকে অন্তত ২৫ হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার হয়ে গেছে। আর এসব অর্থ পাচার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, হংকং, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশে। এ তথ্য জানিয়ে দুদকের মানিলন্ডারিং বিভাগের মহাপরিচালক আনম আল ফিরোজ সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বিদেশে বিনিয়োগ করে যেসব বাংলাদেশি নাগরিক ভিন্ন দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছে, তাদের তালিকা বা তথ্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাস বা অন্য কোনো মধ্যমে সংগ্রহ করে দুদককে অবহিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। পত্রিকাটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি’ (জিএফআই) গত মার্চে তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৯৮ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটি আরো উল্লেখ করেছিল, গত সাত বছরে বাংলাদেশ থেকে ৫ হাজার ২৭০ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়ে গেছে।

প্রশ্ন উঠেছে, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কীভাবে দেশ থেকে পাচার হলো, কোথা থেকে এলো এই অর্থ? ব্যাখ্যা করে বলার দরকার পড়ে না যে, এই পাচার প্রক্রিয়ায় একটি বড়সড় সিন্ডিকেট জড়িত। মুদ্রা পাচারের যে দুটি পথ রয়েছে, সে সম্পর্কে সবাই কম বেশি অবগত। এক. ব্যাংকিং চ্যানেলে আমদানি-রপ্তানিতে ওভার ইনভয়েসিং বা আন্ডার ইনভয়েসিং, দ্বিতীয়ত হুন্ডি। ব্যাংকিং চ্যানেলে ওভার বা আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের যে ঘটনাগুলো ঘটে, তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের একটি অংশ যুক্ত থাকে। তারা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এ অবৈধ কাজে দুর্নীতিবাজদের সহায়তা করে থাকে। অপরদিকে হুন্ডি ব্যবসায়ের সঙ্গেও রয়েছে কিছু ব্যাংক কর্মকর্তার যোগসাজশ তৈরি হয়। এরা হুন্ডি কারবারিদের নানাভাবে সহযোগিতা করে থাকে। যার ফলে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকা সহজেই বিদেশে ডলারে পরিণত হয়ে যেতে পারে। একটি বিষয় অনেকেরই বোধগম্য নয় যে, বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের বিষয়টি বিদেশি সংস্থাগুলোর নজরে এলেও আমাদের দেশের গোয়েন্দা সংস্থার নজরে কেন তা আসছে না? ওরা সুদূরে বসে যেটা অবলোকন করতে পারছে, আমাদের দেশের ইন্টেলিজেন্স ইউনিটগুলো কেন তা দেখতে পায় না?

এটা বুঝতে অসুবিধার কথা নয় যে, এই পাচারকৃত পর্বত পরিমাণ অর্থ বৈধভাবে অর্জিত নয়। অবৈধপথে অর্জিত অর্থ দেশের ব্যাংকে জমা রাখাকে অনিরাপদ মনে করেই দুর্নীতিবাজরা তা বিদেশে পাচার করে থাকে। মাস কয়েক আগে সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক’ ‘ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড-২০১৯’ নামে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, দেশটির বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ৬১ কোটি ৩২ লাখ সুইস ফ্রাঁ, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা। এই বিপুল পরিমাণ অর্থের মধ্যে একটি বড় অংশ দেশ থেকে বিভিন্ন উপায়ে পাচার হওয়া বলে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।

যে হারে দেশে দুর্নীতি-অনিয়মের ঘটনা ঘটছে, তাতে মুদ্রা পাচারের আশঙ্কাও বেড়ে যাচ্ছে। কারণ দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দেশের ব্যাংকে রাখাকে দুর্নীতিবাজরা নিরাপদ মনে করে না। দেশে যে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে তা পত্রিকার পাতায় চোখ রাখলেই বোঝা যায়। প্রায় দিনই সরকারি বিভিন্ন খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির খবর আমাদেরকে পড়তে হচ্ছে। বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প থেকে শত শত কোটি টাকা লোপাট হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পি কে হালদাররা লুটে নিয়ে নির্বিঘ্নে দেশত্যাগ করে চলে যেতে পারছে। তারা চলে যাওয়ার পর শোরগোল শুরু হয় তাদের ফেরত আনার। কিন্তু ততক্ষণে পাখি হাওয়া। শোনা গিয়েছিল পি কে হালদার দেশে আসবে। কিন্তু যেই সে বুঝতে পেরেছে, দেশে প্রবেশমাত্র তাকে ঢুকতে হবে চৌদ্দ শিকের খাঁচায়, সে পা বাড়ায়নি দেশের দিকে। হয়তো আর আসবেও না কোনোদিন। দেশের টাকা মেরে দিয়ে সে কানাডা কিংবা অন্য কোনো দেশের বেগমপাড়া বা সাহেবপাড়ায় আরাম আয়েশেই জীবন কাটাতে পারবে। যেহেতু এসব পি কে হালদারের অন্তরে দেশপ্রেমের ছিঁটেফোঁটাও নেই, তাই দেশের দিকে ফিরে তাকাবে কেন তারা? দুঃখজনক হলো, আমরা দায়িত্বশীলদের মুখে অনেক লম্বা-চওড়া কথা শুনি, কিন্তু এই দুর্বৃত্তদের সময় থাকতে কেন খাঁচাবন্দি করা হয় না, সে বিষয়ে কেউ মুখ ফুটে রা শব্দ করেন না।

১৯৮০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ জে মিন্টু পরিচালিত ‘প্রতিজ্ঞা’ ছবিতে প্রবীর মিত্রের লিপে একটি গান ছিল- ‘আমি শুইনাছি শুইনাছি টাকার পাখা গজাইছে, শহরেতে টাকা নাকি উইড়া বেড়ায় রে/ আমি চইলাছি চইলাছি এই কপাল ফিরাইতে, উড়াল টাকা ধইরা ধইরা বস্তা ভরিতে।’ বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, সত্যিই বোধ হয় টাকা উড়ে বেড়ায়। যারা চালাক-চতুুুর তারা সেসব উড়াল টাকা ধরে বস্তায় ভরতে সক্ষম হয়। আর যারা বুদ্ধিতে খাটো, তারা শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে। টাকা যদি না-ই উড়বে, তাহলে একটি বাড়ির সিন্দুক থেকে চকচকে নোটের ২৬ কোটি টাকা পুলিশ উদ্ধার করল কীভাবে? নিশ্চয়ই এনু-রুপন দুই ভাই ঢাকা শহরের আকাশে উড়তে থাকা টাকাকে বস্তাবন্দি করার কায়দাটা ভালোই রপ্ত করতে পেরেছিল। আজ যিনি গোল্ডেন মনির নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন, সেই একদা কাপড়ের দোকানের সেলস বয় মনিরও উড়াল টাকা ধরার কায়দাটা শিখে নিয়েছিল বেশ ভালোভাবেই। তার বাড়ি থেকেও র্যাব নগদ এক কোটি নয় লাখ টাকা আটক করেছে। গত ২৬ নভেম্বরের দৈনিক মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম ছিল-‘টাকা উড়ছে, শুধুই উড়ছে’। প্রতিবেদনে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করে তা লোপাটের নীলনকশার বিষয়টি বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় অর্থ লোপাটের অসদ্দুশ্যে কর্মকর্তাদের এমন সব বিদেশ সফরের প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে, যা রীতিমতো হাস্যকর ও কৌতুকপ্রদ। খিচুড়ি রানা শেখা, ঘাস চাষ শেখা কিংবা পুকুর খননের কায়দা-কানুন রপ্ত করতে কর্মকর্তাদের বিদেশ গমনের উদ্যোগ যে কেবলই জনগণের টাকার শ্রাদ্ধ করার নিমিত্তে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে যেসব কটাক্ষ মন্তব্য সচেতন ব্যক্তিরা করেছেন, তা এখানে উল্লেখ করতে চাই না। মানবজমিনের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যুব প্রশিক্ষণ প্রকল্পের নির্মাণাধীন ভবনের প্রস্তাবনায় প্রতিটি লিফটের দাম ধরা হয়েছে প্রায় দুই কোটি টাকা, প্রতিটি এসির দাম ধরা হয়েছে ৫২ লাখ টাকা, সিকিউরিটি ও গেট লাইট প্রতিটি সাড়ে ১২ লাখ টাকা এবং সভাকক্ষের টেবিলের দাম ধরা হয়েছে ১২ লাখ টাকা। এর আগে আমরা সাত হাজার টাকা দামের বালিশ, সাড়ে সাঁইত্রিশ লাখ টাকা দামের পর্দা আর সাড়ে বারো লাখ টাকা দামের ডেন্টাল চেয়ারের কাহিনী জেনেছি। এসবের মধ্যে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের বালিশকাণ্ডের হোতা দুই ঠিকাদারের কাছ থেকে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা তাদের অন্যান্য পাওনা বিল থেকে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ আদায় করেছে। তবে দুদক পরিচালক মোজাম্মেল হক খান একটি পত্রিকাকে বলেছেন, ঠিকাদাররা অপরালব্ধ টাকা ফেরত দিলেও তাদের মাফ করা হবে না। টাকা ফেরত দেওয়া এক বিষয়, আর অপরাধের শাস্তি পাওয়া এক বিষয়। সচেতন নাগরিকরা মনে করেন, প্রতিটি আর্থিক অনিয়মের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে ঠিকাদার ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের একটি অংশের ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি অজানা নয় কারো। গত ২৯ নভেম্বর ভোরের কাগজের ‘দুদকের জালে ১২ এমপি’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি টাকা আত্মসাৎ, খাসজমি দখলে নিয়ে নিজের নামে নেওয়া, ঘুষ খাওয়া, ক্যাসিনো ব্যবসা থেকে টাকা খাওয়া, নিজেই জুয়ার ব্যবসা খুলে বসা, কমিশন খাওয়া ইত্যাদি অপকর্মে যুক্ত বর্তমান ১২ জন এমপি দুর্নীতি দমন কমিশনের জালের মধ্যে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগসমূহ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা। এই তালিকায় সাবেক আরো ১০ জন এমপি রয়েছেন। এই ২২ জনের মধ্যে আওয়ামী লীগের ১১ জন, বিএনপির ৫ জন ও অন্যান্য ৬ জন। খবরটি যে মোটেও সুখকর নয় তা বলাই বাহুল্য। কেননা, রাজনৈতিক দলগুলো এদেরকে সৎ, নিষ্ঠাবান ও নির্লোভ ধরে নিয়েই হয়তো মনোনয়ন দিয়েছিল। আর জনসাধারণও তাদেরকে বিশ্বাস করে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু এরা সে বিশ্বাসের ঘরে ডাকাতি করে নিজেরা অর্থ-সম্পদের পাহাড় গড়েছেন দেশে-বিদেশে। আমাদের দেশের এমপি সাহেবদের বিরুদ্ধে যে কমন অভিযোগটি প্রায়ই শোনা যায়, তাহলো শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে তা বেচে দেওয়া। ওই গাড়িটির মালিক বর্তমান সংসদে সরকারি দলের একজন হুইপ। যদিও পত্রিকায় খবর বেরোনোর পর সে গাড়িটি হুইপ মহোদয়ের গ্যারেজে চলে গেছে।

নিবন্ধের গোড়ার দিকে প্রশ্ন ছিল- বিদেশে গড়ে ওঠা বেগমপাড়ার পেছনের সাহেবদের পরিচয় কী। আশা করি সহূদয় পাঠক এতক্ষণে বেগমপাড়া গড়ার সেসব কারিগরের পরিচয় সম্পর্কে কিছুটা অবহিত হতে পেরেছেন। সেসব কারিগরের মধ্যে রাজনীতিক, আমলা, ব্যবসায়ী সব শ্রেণির লোকেরাই আছেন। এখন সময় এসেছে তাদের নামধাম পরিচয় প্রকাশ করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা। না হলে দেশের অর্থ লোপাট ও পাচারের এ সর্বনাশা প্রবণতা কখনো বন্ধ হবে না।

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

 

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।

Wordbridge School
Link copied!