• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৫০ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি ও পাটশিল্পের অবস্থা


আব্দুল হাই রঞ্জু ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১, ০৬:৫৭ পিএম
৫০ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি ও পাটশিল্পের অবস্থা

ঢাকা : স্বাধীনতার মাস মার্চ। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের দ্বারপ্রান্তে আমরা উপনীত। হয়তো সে সময় স্বাধীনতা অর্জনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে অনেক কথাই উঠবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছরে আমাদের প্রাপ্তি ও সমৃদ্ধিতে অনেক কিছু থাকলেও প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য যে পুরোপুরি অর্জিত হয়নি, তা স্বীকার করতেই হবে। স্বাধীনতাকালে দেশের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি। সেই সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ছিল না। মানুষের চরম খাদ্য কষ্ট নিজের চোখে দেখেছি। এক বেলা ভাতের জন্য মানুষকে শ্রম বিক্রি করতে হতো। আর কাজ না জোটার মানে পরিবার-পরিজন নিয়ে উপোস থাকা। সে সময় দেশে বছরে চালের মোট উৎপাদন ছিল ১ কোটি ১০ লাখ টন, যা দিয়ে মোট জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা পূরণ হতো না। চাল আমদানিই ছিল একমাত্র নির্ভরতা। সে দৃশ্যপট বদলাতে খুব বেশি দিন সময় লাগেনি। একমাত্র সেচভিত্তিক চাষাবাদের বদৌলতে তরতর করে বাড়তে থাকে ধান চালের উৎপাদন। ধীরে ধীরে চাল আমদানির পরিমাণও কমে আসে। স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছরে সাড়ে সাত কোটি জনসংখ্যা আজ প্রায় ১৮ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। বৃহৎ জনগোষ্ঠী; অথচ অফিস-আদালত, বাসাবাড়ি, রাস্তাঘাট, নগরায়ণ এবং নানা উন্নয়ন প্রকল্পে প্রতি বছরই চাষযোগ্য জমির পরিমাণও কমছে। এরপরও মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা অনেকাংশেই নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। এখন বছরে প্রায় একই জমিতে একাধিক ফসলের আবাদ হয়। বছরে বোরো, আমন, আউশ মিলে প্রায় পৌনে চার কোটি টন চাল উৎপাদন হয়, যা দিয়ে স্থানীয় চাহিদা পুরোপুরি মেটানো সম্ভব। শুধু প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ হলে অনেক সময় খাদ্য আমদানি করতে হয়। এ ছাড়া সবজি উৎপাদনেও দেশে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বিশ্বে এখন সবজি উৎপাদনে দেশের অবস্থান চতুর্থ। দেশীয় চাহিদা পূরণ করে সবজি এখন দেদার বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। অর্জিত হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা।

শিল্পক্ষেত্রে অর্জনও বেশ ভালো। বিশেষ করে গত ৫০ বছরে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের সমৃদ্ধি এসেছে, যার বদৌলতে শিক্ষিত, আধা-শিক্ষিত পুরুষ ও নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। গ্রামের বেকার নারীরা ছুটেছে নগর-মহানগরে। বেছে নিয়েছে পোশাক খাতের কাজের সুযোগ। তরতর করে গ্রামীণ অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে। এখন প্রায় ৪০ লাখের বেশি নারীশ্রমিক পোশাকশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। ফলে সমৃদ্ধি এসেছে অর্থনীতিতে। যদিও পোশাক খাতের শ্রমিকরা শ্রমশক্তি ব্যয়ের তুলনায় কম মজুরি পান। অর্থাৎ শ্রম শোষণ চলছেই। এরপরও বেকার জীবনের বদলে বেঁচে থাকার ন্যূনতম কাজের সুযোগ রচিত হয়েছে। যদিও সে শিল্প এখন নানা কারণে সংকটাপন্ন। আমরা আশাবাদী, সে সংকট কেটে যাবে। আবার পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়াবে। এ জন্য মালিক, শ্রমিক, সরকার— সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কোনো বিকল্প নেই। একই সঙ্গে রেমিট্যান্স খাতেও গত ৫০ বছরে ঈর্ষণীয় সাফল্য এসেছে। আমাদের একমাত্র ভরসা মানবসম্পদ। আমাদের হীরা, সোনা, তেলের মতো কোনো খনিজ সম্পদ নেই। গায়ে-গতরে খেটে কষ্টার্জিত অর্থই দেশের মানবসম্পদের একমাত্র অর্জন। যে অর্জনকে ঘিরে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ আজ ৪৩ বিলিয়ন ডলারের ঘরকে অতিক্রম করেছে। যে রিজার্ভ দিয়ে ন্যূনতম দশ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। অথচ আমদানিও কমে গেছে। ফলে অলস পড়ে আছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। সরকার রেমিট্যান্সের এই অর্থ রাষ্ট্রীয়ভাবে বিনিয়োগের স্বপ্ন দেখছে। অথচ মহামারী করোনার ছোবলে পর্যুদস্ত সবকিছু, প্রবাসী শ্রমিকদের জীবন-জীবিকাও। এই ক্রান্তিকাল অতিক্রমে সরকারের বিশেষ দৃষ্টি কামনা করি। সরকার অবশ্য সাধ্যমতো চেষ্টাও করছেন, যা আমাদের আশার আলো দেখাচ্ছে।

স্বপ্ন ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের লাভের অর্থে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। আর তাই দেশ স্বাধীনের পর রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি ও পাটশিল্পের উত্থানের স্বপ্ন জাতি দেখলেও সে স্বপ্ন ভেঙে যেতে বেশি সময় লাগেনি। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুর সরকার একে একে পাটকলগুলোকে রাষ্ট্রায়ত্ত করেছে। কিন্তু তখনই কিছু অসাধু লোকের লোভাতুর দুর্নীতিতে পড়ে পাটশিল্প ও চিনিশিল্প ধ্বংস হয়ে যায়। ধ্বংস হওয়ার প্রকৃত চিত্র স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এসে তুলে ধরা প্রয়োজন মনে করছি। ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশে ব্যক্তিমালিকাধীন ও পরিত্যক্ত পাটকলসহ সাবেক ইউপিআইডিসি’র মোট ৬৭টি পাটকলের তদারকি, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন বা বিজিএমসি গঠিত হয়। ১৯৮১ সালে এসে বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন পাটকলের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮২টি। দুর্ভাগ্য, লোকসানের অজুহাতে ১৯৮২ সালের পর ৮২টি পাটকলের মধ্যে ৩৫টি পাটকল বিরাষ্ট্রীয়করণ, ৮টি মিলের পুঁজি প্রত্যাহার, ১টি পাটকলকে অন্য পাটকলের সঙ্গে একীভূত করে বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন মিল সংখ্যা ৮২টি থেকে কমে ৩৮টিতে এসে দাঁড়ায়, যা ১৯৯৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাংকের পাটখাত সংস্থার কর্মসূচির আওতায় মোট ১১টি মিল বিক্রি, বন্ধ ও একীভূত করে পাটকলের কার্যক্রম সংকুচিত করে ফেলে। বিশেষ করে এশিয়ার সর্ববৃহৎ পাটকল আদমজি বন্ধ হওয়ার পর বিজেএমসি চরম আর্থিক দুরবস্থার সম্মুখীন হয়। ধীরে ধীরে পাটকল প্রসিদ্ধ এলাকাগুলো মৃত নগরীতে পরিণত হয়। বেকার হয়ে পড়ে হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মচারী। বন্ধ হয়ে যায় বেতন-ভাতা। যখন এশিয়ার সর্ববৃহৎ পাটকল আদমজি বিশ্বব্যাংকের সংস্কার কর্মসূচির আওতায় একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু ২০০৯ সালের তদানীন্তর সরকার পাটশিল্পকে পুনর্জীবিত করার উদ্যোগ নেয়। ফলে ২০১৩ সাল থেকে কয়েকটি পাটকলে পুনরুৎপাদন শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটশিল্পের সমৃদ্ধিতে বিশেষ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেন। উদ্যোগগুলোর লক্ষ্য হচ্ছে, স্থানীয় কাঁচাপাট ব্যবহার করে সর্বোৎকৃষ্ট প্রচলিত ও বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন করা; পাটের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিতে কৃষককে সহায়তা করা; বিশ্ববাজার অনুসন্ধান ও সম্প্রসারণ করা; বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ; পণ্যের মোড়কীকরণে পাটপণ্যের ব্যবহার আইন ২০১০-এর আওতায় পাটপণ্যের স্থানীয় বাজার সম্প্রসারণ করা এবং সিনথেটিক পণ্য বর্জন ও পরিবেশবান্ধব প্রাকৃতিক পাটপণ্য ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণ এবং শ্রমিক, কর্মচারী-কর্মকর্তাদের প্রাপ্য আর্থিক ও অনার্থিক সুবিধাদি নিশ্চিতকরণ। এত ভালো উদ্যোগ নেওয়ার পরও আমাদের পাটকলের সমৃদ্ধি আশানুরূপ হয়নি। মূলত এর পেছনের কারণ হচ্ছে, ভালো উদ্যোগ নিলেই হবে না, মান্ধাতা আমলের মিলগুলোকে আধুনিকায়নের উদ্যোগও নিতে হতো। ফলে উৎপাদিত পণ্য অবিক্রীত থাকা এবং বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পেরে অবশেষে সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত সব পাটকলককে বিরাষ্ট্রীয়করণের উদ্যোগ নিতে বাধ্য হয়। ঘোষণা আসে, সব পাটকল বন্ধ করে শ্রমিক-কর্মচারীদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে পাওনা অর্থ দিয়ে বিদায় করে দেওয়া হবে। এ নিয়ে দেশজুড়েই আন্দোলন হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে।

আমরা মনে করি, পাটকলগুলোকে যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করে দুর্নীতি, লুটপাট বন্ধ করতে পারলে পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের আধিপত্য ও বিস্তার ঘটানো সম্ভব। পাটশিল্পের ক্ষেত্রে উদ্ভূত সংকট নিরসন না করে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বিরাষ্ট্রীয়করণ করা হবে যেমন আত্মঘাতী, তেমনি স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী। বিরাষ্ট্রীয়করণের লক্ষ্য নিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করিনি। আমাদের স্বাধীনতার চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হলে অবশ্যই বিরাষ্ট্রীয়করণের পথ থেকে সরে আসতে হবে। এখন দেশে যে ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল আছে, এগুলোকে পানির দামে বেসরকারি খাতে ছেড়ে না দিয়ে আধুনিকায়নের জন্য ব্যয় বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে বর্তমানে গোটা বিশ্বে যেভাবে পাটপণ্যের কদর ও চাহিদা বেড়েছে, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা আবার সোনালি আঁশের সুদিন ফিরিয়ে আনতে পারব। পাট হবে আমাদের সমৃদ্ধির প্রতীক। আবার এও স্মরণে রাখতে হবে, বর্তমানে একমাত্র রপ্তানি আয়ের বড় খাত তৈরি পোশাকশিল্প। সে শিল্প মূলত উন্নত দেশগুলোর চাহিদা ও রুচির ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। কোনো কারণে যদি এ খাতে কোনো দিন ধস নামে তাহলে আমাদের অর্থনীতির সর্বনাশ হবে। যে কারণে রাষ্ট্রকে একাধিক রপ্তানিমুখী পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের দিকেই হাঁটতে হবে। সুতরাং এ মুহূর্তে পাটকলগুলোকে বন্ধ না করে পর্যায়ক্রমে আধুনিকায়ন করে পাটের ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনা উচিত।

শুধু পাটকল শিল্পের ক্ষেত্রেই নয়, চিনিশিল্পের অবস্থাও তথৈবচ। দেশীয় মান্ধাতা আমলের চিনিকলগুলোকে সরকার আধুনিকায়ন না করে আখ মাড়াই করায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। ফলে দেশে তৈরি মানসম্মত চিনি বাড়তি মূল্যের কারণে মিলে অবিক্রীতই থেকে যাচ্ছে। লোকসানের ভারে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দেশীয় চিনিকলগুলো। এ বছর রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫টি চিনিকলের মধ্যে ৯টিতে আখ মাড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও ৬টিতে আখ মাড়াই বন্ধ রাখে সরকার। একমাত্র কারণ, লোকসান ও উৎপাদিত চিনি অবিক্রীত থেকে যাওয়া। আর লোকসান দিয়ে কেনইবা মিল চালাতে হবে? তাহলে সরকার কেন চিনিকলগুলোকে আধুনিকায়ন না করে লোকসানের মুখেই ঠেলে দিচ্ছে? আবার দেশীয় চিনি অবিক্রীত থাকার পরও কেন এবং কোন স্বার্থে অপরিশোধিত চিনি আমদানির অনুমতি দিয়ে যুগের পর যুগ ধরে পরিশোধন করে বিক্রির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে? মূল কারণ যে শ্রেণি-স্বার্থ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ক্ষমতাসীনরা বিত্তশালী হাতেগোনা কয়েকটি শিল্প গ্রুপের স্বার্থে অপরিশোধিত চিনি আমদানি বন্ধ করছে। বরং দেশীয় রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পই বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। কারণ জনস্বার্থের বদলে ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষাই পুঁজিবাদী একটি রাষ্ট্র কাঠামোর ধর্ম। বাংলাদেশও তারই শিকার! এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আগে অপরিশোধিত চিনি আমদানি পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেশীয় চিনিকলগুলোকে আধুনিকায়ন করতে হবে। তাহলে দেশে তৈরি চিনি দেশীয় চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি সম্ভব হবে।

এই দেশ স্বাধীন হয়েছে অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে। ইতোমধ্যে ৫০টি বছর অতিবাহিত করেছি। কিন্তু ৬০ বছরের পুরোনো মিল মেশিনারিজ আজো আধুনিকায়ন হয়নি। অথচ স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি আজ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। আমরা বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার চেতনা রাষ্ট্রীয় সম্পদকে আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতার সমতুল্য করে পাট ও চিনিশিল্পের উত্থানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তবেই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী তার জয়রথ ফিরে পাবে।

লেখক : সমাজকর্মী

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।

Wordbridge School
Link copied!