• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বিদীর্ণ বৈশাখে


না জ মু ল হা সা ন এপ্রিল ১৪, ২০২১, ১২:১৩ পিএম
বিদীর্ণ বৈশাখে

ঢাকা : আমের মউলের মিঠে ঘ্রাণ, সন্ধ্যায় ঝিঁঝিঁর ডাক, অচেনা উড়ো-মেঘে হঠাৎ বৃষ্টি এসে পাতাগুলোয় জমা ধুলোর আস্তর ধুয়ে দেয়া; কিংবা ক’দিন ধরে থেকে থেকে, চাপ চাপ গরম হাওয়া স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিল চৈত্র শেষ হয়ে এলো। আমরা প্রবেশ করতে চলেছি বৈশাখে। নতুন বাঙলা বছরে। মৌমাছিদের নিকটে সে খবর পৌঁছে গেছে অনেক আগেই। গাছে গাছে তাদের সেই পুরনো গুঞ্জরণ। দাঁড়ানোর অবসর নেই। চাকগুলো ভরে উঠছে মধুতে। কিন্তু মানুষের কাছে কি সে খবর পৌঁছেছে, কমিয়ে বললে বাঙালির কাছে? প্রকৃতি আর সময়ের ঐক্যটা সবসময় মাপমতো ঘটে না। তাই প্রশ্ন— কেউ কি শেষ বিকেলে কিনেছে পেটভর্তি ডিমের কিংবা কোনো স্বল্পতনু ইলিশ? পাটশাক কিংবা রাস্তার পাশে হেঁশেল ফেলে তৈরি করা স্বেদসিক্ত হালুইকরের মিঠাই? উচ্চশিক্ষিত, কিন্তু হাস্যকরভাবে সংসারী গৃহিণীরা কি ভাবছেন এবারে পান্তার প্লেটটা কীভাবে সাজাবেন? ডানে না বামে, কোথায় মরিচটা, পেঁয়াজটা থাকবে? তরুণ-তরুণী থেকে আহ্লাদি দম্পতিরা কি ভিড় করেছেন শহরের ঝাঁ-চকচকে শপিংমলগুলোতে? কাল কি কাগজে খবর বেরুবে যে— ওই শহরের ওই আউটলেট কয়েকশ টাকা বেশি দামে ছাপানো পাঞ্জাবি কিংবা শাড়ি গছিয়ে দিয়েছে ক্রেতাকে? সেটি নিয়ে কি সেদিন ফেসবুকে চুটকির অকাল কালবৈশাখি বইবে? প্রতিযোগিতা হবে বুদ্ধিবৃত্তি, আক্রমণ আর অশ্লীল শব্দ প্রয়োগের? পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনগুলো; কে কত টাকায় সান্ধ্য উদ্যাপনের জোগাড় করছে? করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিজাতীয় আয়োজনই বা কতদূর এগুলো? কোন চ্যানেলে সেটা লাইভ দেখাবে? কিংবা, প্লাস্টিকের বক্সে নাড়ু-মুড়কি-চকোলেট আর সঙ্গে প্রমাণ সাইজের কদাকার বিজ্ঞাপন; সমন্বয়ের বাঙালিয়ানা?

না, গত বছরের পর তেমনটা এবারো ঘটতে দেখা যাচ্ছে না। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া এই অতি প্রদর্শন বা আরোপিত বাঙালিয়ানার ব্যাপারগুলো চাপা পড়ে গেছে। চাপা পড়ার কারণ এই নয় যে— বাঙালি বিস্মৃত হয়েছে বৈশাখকে। তার ইন্দ্রিয়সক্ষমতা লোপ পেয়েছে। কিংবা ইতোমধ্যে একটা সাংস্কৃতিক রূপান্তর ঘটে গেছে। ঝেড়ে ফেলা হয়েছে আরোপিত বিষয়গুলোকে। সত্যি কথাটা হলো, শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ভাষায় বললে— ‘মানুষ বড় কাঁদছে’। এই কান্নারও আবার বহুমাত্রিকতা রয়েছে। বহু কারণেই মানুষ কাঁদছে। এক কারণে নয়। তবে, সবকিছু ছাপিয়ে  মুখ্য হয়ে ওঠে একটি কারণ। সেটি বাঁচার জন্য, টেকার জন্য। করোনা মহামারী পুরো জাতিকে এই সংকটের মুখে এনে দাঁড় করিয়েছে। যাদের আর্থিক নিরাপত্তা রয়েছে, ভাতের চিন্তা নেই— তারা তৎপর যেকোনো উপায়ে এই রোগের হাত থেকে বাঁচতে। অন্যদিকে খেটে খাওয়া মানুষের বিপদটা দ্বিমাত্রিক। রোগ থেকে বাঁচা। আবার, ক্ষুধার হাত থেকে বাঁচা। দ্বিতীয়টাই মুখ্য। লকডাউন যে চিন্তাকে একেবারে মাথায় হাত দেওয়াতে নিয়ে থামিয়েছে। কপালে ফেলেছে ভাঁজ। অন্তত গত বছরের অভিজ্ঞতা স্মরণ করলে এই চিত্রই পাবো।

বাঙালি ভাষাভিত্তিক জাতি। আর এই রাষ্ট্রটা জাতিভিত্তিক। ক্ষুদ্র কিছু সম্প্রদায়ের বাইরে বাঙালি যার কেন্দ্রে। বাঙালি জাতি যেমন একদিনে গড়ে ওঠেনি। তেমনি এর সংস্কৃতিও পরিপুষ্ট, সমৃদ্ধ নানা উপাদানে। ফলে বাঙালি সংস্কৃতির কথা বললে, আর একটি কথাও আলগোছে জুড়ে যায়, সেটি এর সমন্বয়ধর্মিতা। এই সমন্বয়ধর্মিতাই আমাদের বেঁচে থাকার ইতিহাস। সেখানে ধিকিধিকি স্পন্দন জোগায় উৎসবগুলো। বলতে দ্বিধা নেই— পহেলা বৈশাখই হয়ে উঠেছে সে উৎসবের মুখ। এই ইতিহাসটাও একটু তলিয়ে দেখার দরকার আছে, তবে একেবারে কাঠখোট্টাভাবে নয়। কেন বাঙালির উৎসবের মুখ হয়ে উঠল পহেলা বৈশাখ? সামাজিক ইতিহাসের নাজুকতার কারণে সে দায় মেটাতে হবে সাহিত্যের পরিমণ্ডল থেকেই। বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন ‘চর্যাপদ’-এ মানবিক বিষাদের সমান্তরালে আমরা প্রাণপ্রাচুর্যতার ছবিও পেয়েছি। দেখেছি বিভিন্ন সামাজিক উৎসবে মানুষ রীতিমতো মেতে ওঠে। বিয়েকে উপলক্ষ করে, তারা বিভিন্ন পশুর মাংস আহার করে। ভোজন শেষে মশলাদার পান খায়। গ্রহণ করে কর্পূর মেশানো জল। এই আদি সামষ্টিক ও সামাজিক আনন্দকে উৎসব না বলে উপায় নেই। মধ্যযুগে সৈয়দ সুলতানের ‘নবী বংশে’ দেখি— কীভাবে আরবীয় বিবাহ রীতিকেও গ্রাস করে ফেলছে বাঙালির উৎসবের সংস্কৃতি। খাদ্যে, বাদ্যে, বাজনায় ভেঙে পড়ছে মরুর রক্ষণশীলতা, বর্বরতা। আবার, ধর্মীয় উৎসবগুলোও বাঙালির উৎসবের অঙ্গ হয়ে ওঠে। কালে কালে। বিশেষত সনাতন ধর্মের বিভিন্ন পুজো, অর্চনা। ইসলাম ধর্ম বিকাশের পর মুসলমানদের ঈদ। পহেলা বৈশাখ এলো বহু পরে। এলো কৃষিভিত্তিক সংস্কৃতির এক প্রয়োজনীয় অঙ্গ হয়ে। মোগল বংশের প্রতাপী শাসক জালালুদ্দিন আকবরের সময়ে।

প্রতিবছর পহেলা বৈশাখের যে সামষ্টিক আয়োজন, সেখানে সকল শ্রেণির মানুষ অংশগ্রহণ করে। আর্থিক কিংবা শ্রেণিগত বিন্যাসটা বলবৎ থাকার পরও এই আয়োজন, এ কারণে সর্বজনীনতা পায় যে— এর সঙ্গে ধর্মের, সম্প্রদায়ের, বিভাজনের যোগ অল্প। একেবারে যে নেই তা নয়। কারণ তেমনটা বলার মতো সমাজ, ব্যবস্থা আমরা এখনো গড়তে পারিনি। বলতে গেলে— ধর্মের বাঁধনটা অল্প বলেই, এটি বাঙালি জাতির উৎসবের মুখ হয়ে উঠতে পেরেছে। আবার জাতিগতভাবে বাঙালি এই দিনটিতে যে আনন্দ কিংবা বাঁধভাঙা যাপনের প্রকাশ ঘটায়, সেটি কেবল উৎসবের মতো একটি ছোট্ট শব্দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। চরিত্র পায় মহোৎসবের, কার্নিভালের। যা অন্য কোনো উৎসবে আমরা দেখি না। আমদানি করা সংস্কার আর ধর্মীয় অনুশাসনের সামাজিক জালে আটকা মানুষের মুক্তি যেন ভাষা পায় এদিন। এই যে অসাম্প্রদায়িক পৃথিবী। তার ভূগোলটা কিন্তু আমাদের দেশেও কেবলই ছোট হয়ে আসছে।  এমনকি মধ্যযুগেও যে বিকশিত সামাজিক জীবন দেখেছি, সেটিও হারাতে বসেছি আমরা। আমার ধর্ম, আমার সম্প্রদায়ই শ্রেষ্ঠ; এই চিৎকার সর্বত্র। কান পাতা রীতিমতো দায় হয়ে উঠেছে। পর্দা ফেটে যাওয়ার জোগাড়। ধর্মীয়-সাম্প্রদায়িক দিক দিয়ে গরিষ্ঠরাই এটি করছে। যেমনটি সব দেশেই করে থাকে। আহমদ ছফা একটি কথা বলেছিলেন : ‘যে কোনো সমাজে সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যে সম্পর্ক তার সঙ্গে ঢিল ছোড়া বালক এবং মৃত্যুপথযাত্রী ব্যাঙের তুলনা করা যেতে পারে।’ কথাটা আমাদের ব্যবস্থার জন্য সত্য। এদেশে ইসলাম প্রচার হয়েছিল মানবিক মূল্যবোধের জায়গা থেকে। সুফিবাদের অনুসারীদের মাধ্যমে। মানবতাই যেখানে ছিল মুখ্য। মানুষ হয়ে মানুষকে সমানভাবে দেখা। সুস্থ সামাজিক প্রতিবেশ প্রতিষ্ঠা করা। ইহজাগতিকতা, মানুষের মর্যাদা তাতে একটা বড় জায়গা নিয়েছিল। এই আদর্শেই দলে দলে লোক ইসলাম গ্রহণ করেছিল। বর্তমানে পরিস্থিতিটা আর তেমন নেই। আদি মূল্যবোধে ধরেছে ক্ষয়। প্রতিদিন ধর্মের নতুন বুলি শুনতে হচ্ছে। শুনতে হচ্ছে বিভেদের স্বর। আওয়াজ সেখানে একটাই— সবচেয়ে বড় পরিচয় বাঙালিত্ব ঝেড়ে ফেলো।

এই রাষ্ট্র আমরা চাইনি। আমাদের রাষ্ট্রের ভিত্তিও এটি নয়। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একাত্তরে যে জাতিভিত্তিক রাষ্ট্র আমরা অর্জন করেছিলাম, তার প্রধান দুটি পালক : অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এটি কোনো কাগুজে ব্যাপার নয়, স্বয়ং রাষ্ট্রের আচরণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হাওয়াটা উল্টোদিকে বইল। রাজারা গায়ে নতুন জামা চড়ালেন। অতিসূক্ষ্ম সে বস্ত্র। যা দিয়ে সব দেখা যায়। লোভটা কেবল ক্ষমতার। ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতিজ্ঞা নিয়ে যে রাষ্ট্রের জন্ম— তাকে হজম করতে হলো রাষ্ট্রধর্মের পাঁক। একাত্তরে পাকিস্তানের ভূগোল মুক্তি হলো বটে, তবে মানস মুক্তি ঘটল না। এখনো। বাইরে ধর্মের লেবাস, অন্তরে শঠ, জোচ্চর, ভণ্ড; এই পাকিস্তানি মানসিকতা আমাদের গরিষ্ঠের মধ্যে চেপে বসেছে। মুক্তির পঞ্চাশ বছরে দাঁড়িয়ে বলি— এই সমাজ, এই রাষ্ট্র, এই মানুষ আমরা চাইনি। বিকাশের বড্ড অভাব। শ্বাস নেওয়ার হাওয়াটা কমছে, বেশ টের পাচ্ছি। পহেলা বৈশাখও এই সাম্প্রদায়িক বয়ানের কাছে নিরাপদ থাকেনি। বাঙালিত্বের চেতনায় ক্ষয়টা সেদিকেও ধরেছে। প্রতারণা, দূরাচার, ঘুষ খাওয়া মানুষ মানতে পারছে। কিন্তু গান গাওয়া, ছবি আঁকা, শোভাযাত্রা করলেই সেটি হয়ে যাচ্ছে অমার্জনীয় অপরাধ। যা আগে ভাবা যায়নি, দেখা যায়নি। সাম্প্রদায়িক শক্তি যে আগে বলতে চায়নি, তা নয়। তবে সেটি মিনমিনিয়ে, গোপনে। চোরের মতো বোমা মেরে। রাতের আঁধারে রগ কেটে। কিন্তু এবার তারা প্রকাশ্য পথে হুক্কার দিচ্ছে। একেবারে দিবালোকে। রেয়াত পাচ্ছে না জাতির পিতার ভাস্কর্যও। পুড়ে খাঁক হয়ে যাচ্ছে পাড়া-মহল্লা; আলাউদ্দিন খাঁর মতো ঐতিহ্যের স্মৃতি, গর্ব। একদিকে করোনার প্রকোপ, অপরদিকে সাম্প্রদায়িক উল্লম্ফন : বাঙালির জন্য এবারের বৈশাখটা তাই রীতিমতো বিদীর্ণ। অস্তিত্বটাই যে সংকটের মুখে। কোন পথে বাঁচবে? মারটা বিভিন্ন দিক দিয়ে। এমনকি ভেতরেও। যাকে বলে অন্তর্ঘাত। মারের সাগরে পড়েছে জাতি।

এই সংকটের মধ্যেও পহেলা বৈশাখ নিয়ে, বিকল্প উদ্যাপনের সুযোগ সন্ধান চলছে। মূলত প্রযুক্তির সাহায্যের কথা চিন্তা করে, মাথায় রেখে। যার মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসেই আনন্দ উপভোগে শামিল হতে পারে। এই চিন্তাটাকে বাতিল করছি না। তারপরও বলতে হয়, আদতে— এটিও মানুষের অস্তিত্বকে একভাবে ছেঁটে নেওয়া। সাময়িক সীমাবদ্ধতার কারণে অভ্যাসটাকে ভিন্নপথে চালিত করা। কেবল তা-ই নয়, সাম্প্রদায়িক শক্তিও এই ব্যবস্থাকে সুযোগ হিসেবে পাচ্ছে। সামন্ততন্ত্রের পুণ্যাহ ঐতিহ্য থেকে শুরু করে এই একবিংশ শতাব্দী অবধি পহেলা বৈশাখের প্রাণ মৌলত জমায়েত। সামষ্টিক আনন্দ, একে অন্যকে জানা, ছুঁয়ে দেখা। এককথায়— মানুষ। বাঙালিত্বের বাঁধন আলগা হোক, মানুষের ঐক্য না থাকুক। এটি তো অন্তপ্রাণ দিয়ে মৌলবাদীরাও চায়। এই সংকটময় সময় তাদের সে মওকা বেশ করেই দিচ্ছে। তাই খেয়াল রাখতে হবে, সময়ের সংকট মেনে নিলেও, আমরা যেন ফাঁদে না পড়ি। শারীরিকভাবে না হলেও, পহেলা বৈশাখে আমাদের মনটা যেন মেলে। যেন ভুলে না যাই— আমরা বাঙালি, এটিই বড় পরিচয়, এটিই অস্তিত্ব। অর্থাৎ, ঐক্যের সূত্রটা যেন ঠিক থাকে। মহামারীতে মানুষের, অপশক্তির মুখে রাষ্ট্রের এই ক্রান্তিকালে আমাদের কেবল ভাবনা নয়, কাজ করতে হবে— মানুষকে বাঁচানোর জন্য। রাষ্ট্রের ভিত্তিটাকে মৌলবাদীদের থাবা থেকে রক্ষা করার জন্য। আর মানুষ ও মাটিতে তো ফারাক নেই। আহমদ শরীফের একটা কথা মনে পড়ে : ‘মা জন্ম দেয়, মাটি লালন করে। তাই দেশের মাটিকে মায়ের মতোই ভালোবাসতে হয়।’ তাই, বুক দিয়ে দেশের মাটিকে, ভিত্তিকে, মানুষকে আগলাতে হবে। বিদীর্ণ বৈশাখের এটিই হোক অঙ্গীকার।

লেখক : গবেষক, বাংলা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

 

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।

Wordbridge School
Link copied!