• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
শিক্ষাচিন্তা

অ্যাকশন রিসার্চ বা কর্মসহায়ক গবেষণা প্রসঙ্গে


 মাছুম বিল্লাহ  এপ্রিল ১৯, ২০২১, ০৭:১৩ পিএম
অ্যাকশন রিসার্চ বা কর্মসহায়ক গবেষণা প্রসঙ্গে

ঢাকা : কর্মসহায়ক গবেষণা হলো এক ধরনের প্রায়োগিক গবেষণা, কোনো ব্যক্তি তার পেশাগত কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে সেই সমস্যা সমাধানের জন্য যে গবেষণা করেন তাই কর্মসহায়ক গবেষণা। পেশাগত অনুশীলন ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিয়েও এ গবেষণা পরিচালনা করা যায়। কর্মসহায়ক গবেষণা হলো পুনরায় সামাজিক কার্যক্রমের জন্য গবেষণা ব্যবহারের এমন একটি পদ্ধতি, যা কোনো সমস্যা সমাধান এবং প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের জন্য করা হয়। সহযোগিতামূলক অনুসন্ধিৎসার মাধ্যমে নিজের অনুশীলনের পরীক্ষা করাই হচ্ছে অ্যাকশন রিসার্চ।

কর্মসহায়ক গবেষণা বাস্তব সমস্যাভিত্তিক গবেষণা পদ্ধতি যা বাস্তব সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের সাধারণ তত্ত্ব আবিষ্কার করে এবং সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে থাকে। এটি সামাজিক গবেষণা থেকে একটি ভিন্ন গবেষণা পদ্ধতি। কার্ট লিউইন (কঁৎঃ খবরিহ)-এর মতানুসারে, কর্মসহায়ক গবেষণার প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণাধীনে কোনো পরিবর্তনশীল প্রকৃতি বিবেচনা করে কিছু কার্যক্রম এবং গবেষণা পরিচালনা করা। কর্মসহায়ক গবেষণা শুধু সাধারণ তত্ত্ব আবিষ্কার করে না, বরং সমস্যা সমাধানের জন্য তা কার্যে পরিণত করে। এটি গবেষণার একটি চলমান প্রক্রিয়া যা সমস্যা চিহ্নিত করে, সমাধানের তত্ত্ব আবিষ্কার করে এবং বাস্তবে প্রয়োগ করে চক্রাকারে আবর্তিত হতে থাকে। কর্মসহায়ক গবেষণা বলতে কোনো স্তর বা ধাপ বোঝায় না, বরং গবেষণার সামগ্রিক প্রক্রিয়াকে বোঝায়। এটি সমস্যা সমাধানের একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এটি সমস্যা চিহ্নিতকরণ থেকে শুরু হয়ে তত্ত্ব প্রণয়ন এবং তত্ত্ব বাস্তবে প্রয়োগ করে ফলাফল মূল্যায়ন পর্যন্ত বিস্তৃত। কর্মসহায়ক গবেষণা শুধু অতীত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে না বরং গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তত্ত্ব ভবিষ্যতে প্রয়োগ করে সমস্যার সমাধান করে থাকে। 

১৯৪০ দশকে কার্ট লিউইন একটি ধারণার জন্ম দিয়েছিলেন আর সেটি হচ্ছে স্বাভাবিক অবস্থায় গবেষণা করা যাতে ঐ স্বাভাবিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। তার সেই ধারণার ওপরই প্রতিষ্ঠিত আজকের অ্যাকশন রিসার্চ। এটি অবিরত পরিকল্পনা চক্র, কাজ, পর্যবেক্ষণ এবং পরিবর্তনের ওপর প্রতিবিম্বন। ম্যাক ফারল্যান্ড এবং স্ট্যানসেল বলেছেন, লিউইন অ্যাকশন রিসার্চকে এভাবে ব্যাখ্য করেছেন, ‘কাজের উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া’। স্টিফেন কোরে (ঝঃবঢ়যবহ ঈড়ৎবু) লিউইনের ধারণা শিক্ষাক্ষেত্রে প্রয়োগ করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, কারো শিক্ষাদানের ওপর পরীক্ষা একটি ভালো পরিবর্তন নিয়ে আসে। আমরা নিজেরা যদি নিজেদের শিক্ষাদান পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করি, পর্যবেক্ষণ করি এবং সে অনুযায়ী পরিবর্তনের চেষ্টা করি তাহলে সেটি অন্যের লেখা পড়ে এবং শিক্ষা নিয়ে তাদের আবিষ্কার ও থিওরি পড়ে যে পরিবর্তনের চেষ্টা করব তার চেয়ে বেশি কার্যকর। সাধারণ পেশাগত অনুশীলন বা প্র্যাকটিস থেকে এটি আলাদা, কারণ এখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হয় নিজস্ব পরিবেশ থেকে সংগৃহীত তথ্যের ওপর।

শিক্ষাদানের প্রচলিত মান যাচাই পদ্ধতি যে কার্যকর হচ্ছে তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজনীয়। পরীক্ষা এবং তার কার্যকারিতা একজন শিক্ষককে সাহায্য করে—তিনি কীভাবে আগামী দিনগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম এবং শিক্ষাদান পদ্ধতি গ্রহণ করবেন। একজন শিক্ষকের প্র্যাকটিস এবং কার্যাবলি কাঙ্ক্ষিত ফলের দিকে যাচ্ছে কি না তা জানার একটি শক্তিশালী পদ্ধতি হচ্ছে এই কর্মসহায়ক গবেষণা। কর্মসহায়ক গবেষণার মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান বিভিন্ন ধরনের শিক্ষার্থীদের দ্বারা পূর্ণ শ্রেণিকক্ষে একজন শিক্ষক কীভাবে আচরণ করবেন, কীভাবে শিক্ষাদান করবেন, কীভাবে তার শিক্ষাদান কার্যকর হবে, কীভাবে তিনি শিক্ষার্থীদের বিশেষ চাহিদাসমূহ পূরণ করবেন সেগুলো তিনি নির্ধারণ করতে পারেন। অতএব দেখা যায়, অ্যাকশন রিসার্চের উদ্দেশ্য হচ্ছে একজন শিক্ষকের নিজস্ব শ্রেণিকক্ষ ও বিদ্যালয়ে কার্যকর পরিবর্তন নিয়ে আসা। এটি শিক্ষকদের অবিরত উৎসাহ প্রদান করে যেখানে তারা শিক্ষার্থীদের মতো শিখতে পারেন। সমালোচকের দৃষ্টিতে কারো শিক্ষাদান পদ্ধতি দেখার মানসিকতা তৈরি করতে সহায়তা করে এই গবেষণা। একজন শিক্ষককে কী কী বাদ দিতে হবে তা জানতেও সহায়তা করে। তা ছাড়া অ্যাকশন রিসার্চ একজন শিক্ষককে নিম্নোক্তভাবে সহায়তা করে— (১) পূর্ববর্তী জ্ঞানের সাথে বর্তমান তথ্যের সংযোগ সাধন করা; (২) অভিজ্ঞতা থেকে শেখা; (৩) প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা এবং নিয়মিতভাবে সুশৃঙ্খলভাবে উত্তর বের করা। অ্যাকশন রিসার্চ পদ্ধতির মানদণ্ড বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসা দ্বারা পরিচালিত। এটি বরং তথ্য সম্পর্কে ব্যক্তিগতভাবে জানা এবং জ্ঞানার্জন করা যা কারো ব্যক্তিগত কাজের উদ্দেশ্যকে সফল করে। এটি এক ধরনের প্রচেষ্টা যা প্রচলিত ধারণার প্রতিফলনের মাধ্যমে ঐ কাজটির উন্নয়ন ঘটায়। অ্যাকশন রিসার্চের মাধ্যমে যেসব তথ্য সংগ্রহ করা হয় তা নিবিড়ভাবে পরীক্ষা করা হয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য যে, এর দ্বারা পজিটিভ কোনো পরিবর্তন করা যাবে কি না বিদ্যালয়ে, শিক্ষক বা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে। শিক্ষকরা যখন তাদের শিক্ষাদান নিয়ে সাধারণ কিছু ভাবেন সেটি অ্যাকশন রিসার্চ নয়। অ্যাকশন রিসার্চ পদ্ধতিগত, সিস্টেমেটিক এবং প্রমাণ সংগ্রহ করার বিষয় থাকে সেখানে যার ওপর কঠিন প্রতিফলন থাকে। এটি শুধু সমস্যা সমাধান নয়। একটি অনুসন্ধিৎসা দ্বারা এটি পরিচালিত হয়, পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করা হয় এবং সেটি উন্নয়নের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়। বিশেষ কিছু লোকের কাজের ওপর গবেষণাটি করা হয় যাতে তারা যা করেন তার উন্নয়ন ঘটানো যায়। অ্যাকশন রিসার্চ মানুষকে বস্তু হিসেবে দেখে না, দায়িত্বপূর্ণ সত্তা হিসেবে দেখে। অ্যকশন রিসার্চ শুধু অনুমান-পরীক্ষামূলক নয় কিংবা কিছু তথ্যের উপসংহার নয়। 

বিদ্যালয়ে অ্যাকশন রিসার্চ বলতে বোঝায় মূল্যায়নের বিভিন্নতা, তদন্ত, অন্বেষণ এবং বিশ্লেষণমূলক গবেষণা পদ্ধতি যা বিন্যাস করা হয় সমস্যা কিংবা দুর্বলতা চিহ্নিত করার নিমিত্তে। সেটি হতে পারে প্রাতিষ্ঠানিক, অ্যাকাডেমিক কিংবা পাঠদান সম্পর্কিত এবং শিক্ষকদের সহায়তা করা যাতে তারা বাস্তব সমাধান বের করতে পারেন দ্রুততার সঙ্গে এবং কার্যকরভাবে। এ ছাড়া অ্যাকশন রিসার্চ কোনো কর্মসূচি কিংবা পাঠদান সম্পর্কিত কৌশলের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেখানে কার্যত কোনো সমস্যা বিরাজমান নেই, তবে শিক্ষকরা বিষয়টি আরো গভীরভাবে জানতে চান এবং সেটির উন্নয়ন ঘটাতে চান। এ গবেষণার সাধারণ উদ্দেশ্য হচ্ছে সহজ, বাস্তব, পুনঃপুন পদ্ধতি, মূল্যায়ন এবং উন্নয়ন, যা ক্রমাগতভাবে অধিকতর ভালো ফলাফলের দিকে নিয়ে যায়, যা বিদ্যালয়, শিক্ষক কিংবা কোনো কর্মসূচির জন্য মঙ্গলজনক।

অ্যাকশন রিসার্চকে ক্রিয়াচক্র কিংবা অনুসন্ধান চক্রও বলা যায়। কারণ এটি যে ধাপগুলো অনুসরণ করে, তা হচ্ছে—(ক) গবেষণার জন্য একটি সমস্যা চিহ্নিত করা; (খ) সমস্যার ওপর তথ্য সংগ্রহ করা; (গ) তথ্যগুলো সন্নিবেশ করা, বিশ্লেষণ করা এবং ব্যাখ্যা করা; (ঘ) সমস্যাটি সমাধানের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা; (চ) পরিকল্পনাটিকে বাস্তবায়ন করা; (ছ) যেসব কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তার ফলাফলগুলো মূল্যায়ন করা ও নতুন একটি সমস্যা চিহ্নিত করা এবং (ঝ) পদ্ধতিটিকে আবার অনুসরণ করা। যদিও বলা হয়, অ্যাকশন রিসার্চ বিশেষ কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য করা হয়, যেমন—শিক্ষার্থীদের বর্ধিতহারে অনুপস্থিতি কিংবা বিশেষ কোনো প্রশ্নের উত্তর বের করার জন্য, কিংবা কিছু শিক্ষার্থীর শ্রেণিকক্ষে অমনোযোগী হওয়া, কারুর হাতের লেখা অস্পষ্ট—সেটি সুন্দর ও বোধগম্য করার জন্য। আবার কেন অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বেশি পরিমাণে গণিতে অকৃতকার্য হয়েছে, তারপরও অ্যাকশন রিসার্চ শিক্ষাক্ষেত্রে জ্ঞানের বর্ধিত কলেবরেও অবদান রাখতে পারে।

বিভিন্ন কারণে অ্যাকশন রিচার্সের পজিটিভ এফেক্ট রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে অ্যাকশন রিসার্চ সবসময়ই অংশগ্রহণকারীদের কাছে প্রাসঙ্গিক। প্রসঙ্গ এখানে থাকছেই, কারণ প্রতিটি গবেষণার ফোকাস নির্ধারণ করা হয় গবেষকদের দ্বারা যারা নিজেরাই প্রাপ্ত ফলাফলের ভোক্তা। আরো বলা যেতে পারে অ্যাকশন রিসার্চ শিক্ষকদের সহায়তা করে, যেসব কাজে তাদের প্রচুর আগ্রহ আছে এবং তারা সেগুলোর উন্নয়ন চান। যেমন—তাদের শিক্ষাদান পদ্ধতি, তাদের শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন। শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন ঘটে থাকলে সেটি একজন শিক্ষকের কাছে বিরাট এক আনন্দের বিষয়। একজন শিক্ষক যখন দেখেন বা প্রমাণ পান, তার কাজ শিক্ষার্থীদের জীবনে প্রকৃতপক্ষেই পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, তখন তার শত শত ঘণ্টা কাজ, পরিশ্রম সার্থক মনে হয়। শুধু শিক্ষাদান ও রুটিন একাডেমিক কাজ করাই একজন প্রকৃত ও আধুনিক শিক্ষকের কাজ নয়। অ্যাকশন রিসার্চ একজন শিক্ষক একটি শ্রেণিকক্ষে পরিচালনা করতে পারেন, কিংবা দুই বা ততোধিক শিক্ষক পুরো বিদ্যালয় কিংবা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বা কোনো বিভাগ এতে সহায়তা করতে পারেন।

নিচের প্রশ্নগুলো শিক্ষকতার বাস্তব ও প্রকৃত অভিজ্ঞতা এবং শ্রেণিশিক্ষাদান আরো উন্নত করার সঙ্গে সম্পর্কিত : ১. আমি কীভাবে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করবো তাদের নিজস্ব ধারণা থেকে শিখতে; ২. কীভাবে তাদের সাহায্য করব তারা শ্রেণিকক্ষে যা জানছে এবং ইতোমধ্যে যা জানে তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে; ৩. কীভাবে শিক্ষার্থীরা আরো স্বাধীন শিক্ষার্থী হতে পারবে; ৪. কীভাবে শিক্ষাদানকে আরো বেশি ইন্টারঅ্যাকটিভ করা যায় অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের মধ্যে একে অপরের সাথে যোগাযোগ ও সম্পর্ক কীভাবে বাড়ানো যায়; ৫. কখন এবং কীভাবে আমার শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশংসাবাক্য ব্যবহার করব?

অ্যাকশন রিসার্চের মাধ্যমে যেসব সমস্যার সমাধান হয়েছে সেগুলোর কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো—(ক) শিক্ষার্থীরা পড়তে পারে না, (খ) শিক্ষার্থীরা প্র্যাকটিস/অনুশীলন করার কোনো উদ্দেশ্য খুঁজে পায় না (গ) শিক্ষার্থীরা শিখছে কি না শিক্ষকরা জানেন না যে কীভাবে তা বলতে হয়, (ঘ) শিক্ষার্থীরা শিখনের জন্য পারস্পরিক দায়িত্ব গ্রহণ করে না, (ঙ) পড়ার প্রতি শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিভঙ্গি ভালো নয়, (চ) শিক্ষার্থীরা তাদের বাড়ির কাজ শেষ করে না, (ছ) কষ্ট করে যারা পড়ে তাদের জন্য দরকার ফরমেটিভ মূল্যায়ন, (জ) যেসব শিক্ষার্থী ভাষা শেখে তাদের একাডেমিক জ্ঞানের ভাষা বাড়াতে হবে।

সুশিক্ষকরা শিক্ষা ক্ষেত্রের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তি। তারা কেবল চিরাচরিত নিয়মে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান বা নতুনভাবে উদয় হওয়া সমস্যার সমাধান করেন না, তারা শুধু অন্যের উপদেশ এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ওপর নির্ভর করে থাকেন না। শিক্ষা ক্ষেত্রের এসব নেতা সমস্যা চিহ্নিত করতে, সমস্যার প্রকৃতি নির্ণয় করতে, তথ্যের বিশ্লেষণ করতে তাদের নিজ নিজ শ্রেণিকক্ষ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পদ্ধতিতে অনুসন্ধান চালিয়ে যান। এ ধরনের সুশিক্ষকরা নিজেদের প্রশ্ন করেন—(ক) আমাদের শিক্ষার্থীরা কী শিখছে? (খ) আমাদের শিক্ষাদান পদ্ধতি সঠিক এবং কার্যকর হচ্ছে তো? (গ) শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতার উন্নয়নে আমাদের শিক্ষাদান পদ্ধতি কতটা আলাদা, কতটা অবদান রাখছে? ফলে তাদের পেশাগত দক্ষতার আরো উন্নয়ন ঘটে। তাই বলা যায় পেশাগত উন্নয়নের জন্য এ ধরনের অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণ একটি শক্তিশালী উপকরণ।

লেখক : শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।

Wordbridge School
Link copied!