• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আলু উৎপাদনে নীরব বিপ্লব


 এস এম মুকুল এপ্রিল ৬, ২০২২, ০৭:৩৪ পিএম
আলু উৎপাদনে নীরব বিপ্লব

ঢাকা : ভাতের পর এখন দেশের দ্বিতীয় প্রধান খাদ্যশক্তির উৎস আলু। অন্য যেকোনো শস্যের চেয়ে আলুর ফলন বেশি হয়। বাংলাদেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আলু। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি গবেষণা কেন্দ্রের (ইফপ্রি) এক যৌথ গবেষণা বলছে, বাংলাদেশে নীরব আলু বিপ্লব ঘটেছে। উৎপাদন বেড়েছে ২৬ গুণ। মাথাপিছু আলু খাওয়ার পরিমাণ বেড়েছে ১০ গুণ। জানা গেছে, ১৯৮০ সালে আলু উৎপাদন হতো নয় লাখ টন। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় এক কোটি টন। তার মানে আলু এখন আশার আলো দেখাচ্ছে। কিন্তু দুঃখ লাগে যখন লোকসানের আশঙ্কায় সেই আলু অবিক্রীত অবস্থায় হিমাগারে পড়ে থাকার খবর শোনা যায়। কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও কৃষককে গুনতে হচ্ছে লোকসানের গ্লানি। কৃষক পাচ্ছেন না ন্যায্যমূল্য। নেই পর্যাপ্ত সংরক্ষণাগার। আছে ব্যবস্থাপনার অদক্ষতা। এমন প্রেক্ষাপটে আলুর সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আমাদের বিশেষ আয়োজন

আলুনামা : আলু বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম খাদ্যশস্য। আলুর তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা যায়, বাংলাদেশের আলুর আদি জাত হচ্ছে মিষ্টিআলু। আর গোলআলুর আদি জাত দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে। পরবর্তী সময়ে তা পর্তুগিজ ব্যবসায়ী ও নাবিকদের হাত ধরে ইউরোপে আলুর চাষ শুরু হয়। ১৫৭০ সালে আলুর বিস্তার ঘটে স্পেনে। ১৬০০ সালে আলুর আবাদ ছড়িয়ে পড়ে ইতালি, ফ্রান্স, হল্যান্ড, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও জার্মানিসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে। বাংলাদেশে দুইশ’ বছর আগে পর্তুগিজ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ জেলায় আলুর আবাদ শুরু হয়। ১৭৯৫ সালে ইংল্যান্ডের কৃষি বিভাগ একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে, যার শিরোনাম ছিল ‘আলু ভালোবাসুন, আলুর ব্যবহার বৃদ্ধি করুন’। জেনে রাখুন, বাংলাদেশের মানুষ বছরে মাথাপিছু ২৩ কেজি আলু খায়, যা ভারতের চেয়ে আট কেজি বেশি।

দেশে বিস্তৃত হচ্ছে আলুর বাজার : তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, গত এক যুগে দেশে আলু প্রক্রিয়াজাত পণ্য যেমন চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইসহ অন্যান্য খাদ্য ও পণ্য উৎপাদন বাড়ছে। ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে দেশে ১৫টি আলু প্রক্রিয়াজাত পণ্য উৎপাদন কারখানা স্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি কোম্পানি আলু থেকে উৎপাদিত চিপস ও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বিদেশে রফতানি করছে। আশির দশকে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) বিজ্ঞানীরা নেদারল্যান্ডসের জাতগুলোকে উন্নত করে দেশের আবহাওয়া উপযোগী করা শুরু করে। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত আলুর নতুন জাত কৃষকরা চাষাবাদ শুরু করেন। দেশের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত তিন মাসে ফলন হয় এমন আলুর জাত উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করে। বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি এলাকা ছাড়া দেশের সব স্থানেই কমবেশি আলু চাষ হচ্ছে।

আলু উৎপাদনে বাংলাদেশ সপ্তম : জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ২০১৩ সালের সর্বশেষ আলুর উৎপাদনবিষয়ক পরিসংখ্যান বলছে, আলু উৎপাদনে বিশ্বে সপ্তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ইন্টারন্যাশনাল পটেটো কাউন্সিলের তথ্যমতেও, বাংলাদেশ বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম আলু উৎপাদনকারী দেশ এবং এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশের স্থান তৃতীয়। এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কৃষি প্রকৌশলী তাজনীন নাহার বলেন, বাংলাদেশে আলুর উচ্চফলন আশাব্যঞ্জক। তবে আলুর বহুমুখী ব্যবহারকে জনপ্রিয় করার জন্য ব্যাপক প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশে বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবন এবং কৃষকের অক্লান্ত চেষ্টায় আলু উৎপাদনে ব্যাপক সফলতা এসেছে। ইউরোপে যেখানে আলু পরিণত হতে পাঁচ থেকে ছয় মাস লাগে, সেখানে বাংলাদেশে আলু পরিপক্ব হতে তিন মাস লাগে। গত এক যুগে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) কৃষিবিজ্ঞানীরা ৬১টি আলুর নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন। দেশের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত জাতগুলো থেকে দেশের ৭৫ শতাংশ আলু উৎপাদিত হচ্ছে। বারি আলু-৪৬ ও বারি আলু-৫৩ নামে নতুন দুটি জাত উদ্ভাবন করেছেন আলু গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা, যাতে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হবে না। এসব আলু বিদেশে রফতানি করতেও সুবিধা হবে।

আছে রফতানির সম্ভাবনা : বিদেশে আলু রফতানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সিঙ্গাপুর বছরে ২ লাখ টন এবং শ্রীলঙ্কা বছরে ১ দশমিক ৫ লাখ টন আলু আমদানি করে। চীন, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া এসব দেশের আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। আমাদের দেশেও ১৯৯১ সালের আগে বিশ্বের ২০টি দেশ থেকে আলু আমদানি করতে হতো। এখন বাংলাদেশ থেকে ২৭টি দেশে আলু রফতানি হয়। এ প্রসঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ পটেটো এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ আবদুল হামিদ বলেন, আলু রফতানির ক্ষেত্রে সরকার ২০ শতাংশ প্রণোদনা দিয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রফতানি উপযোগী মান ধরে রাখতে না পারায় অনেক ক্ষেত্রেই আলু রফতানিতে সমস্যা হচ্ছে। আমরা রাশিয়া, ভারত ও নেপালের ব্যাপক রফতানি বাজার ধরে রাখতে পারছি না। এই বাজার পাকিস্তান ও চীনের দখলে চলে গেছে। মান নিয়ন্ত্রণ না করলে অধিক উৎপাদিত আলু রফতানি করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। আলু উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের আলু রফতানির সুযোগ অবারিত হয়েছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে মাত্র ৩২ কোটি ২২ লাখ টাকার আলু রফতানি করে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, দেশে আলুর বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৭০ লাখ টন। এর সঙ্গে আবার যোগ হয় আগের বছরের উদ্বৃত্ত আলু। ফলে প্রতিবছর অন্তত ১৬ লাখ টন আলু রফতানি করা সম্ভব। আশার খবরটি হচ্ছে, ৪০ হাজার টন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, দুবাই, ওমান, কুয়েত, কাতার, হংকং, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ব্রুনাইয়ে আলু রফতানি শুরু করেছে প্রাণ কোম্পানি। বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অ্যাগ্রোবেন গ্রানুলা ও কার্ডিনাল জাতের আলু মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও শ্রীলঙ্কা যাচ্ছে। আশাবাদের খবরটি হচ্ছে, পাঁচ বছরে আলু রফতানি অন্তত দশগুণ বেড়েছে। অধিক ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে ফসলের উন্নত জাত ও প্রযুক্তিসহ নানা খামার যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) মেশিনারিজ বিভাগ। আলু তোলার যন্ত্র পটেটো হারভেস্টার উদ্ভাবন করেছেন কৃষিবিজ্ঞানীরা। সারা দেশে আলু তোলায় এই যন্ত্র ব্যবহার করলে প্রতিবছর কৃষকের সাশ্রয় হবে প্রায় পাঁচশ’ কোটি টাকা।

আলু বিপ্লবের কারিগর কৃষক : আলু উৎপাদনের এ সাফল্যের মূল কারিগর কৃষক। মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, নাটোর, নওগাঁ, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, নীলফামারী, রংপুরের বদরগঞ্জ, পঞ্চগড়, যশোর, বগুড়া, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ ও লালমনিরহাট জেলায় বাংলাদেশের মোট উৎপাদনের প্রায় ৮০ শতাংশ আলু উৎপাদিত হয়। জানা গেছে, বাংলাদেশ আলু উৎপাদনে বর্তমানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ কৃষক সরাসরি জড়িত, যার মধ্যে ৩০ শতাংশ নারীসহ সংরক্ষণ ও সরবরাহ খাতে আরো বিশাল সংখ্যক মানুষ জড়িত।

বর্তমানে বাংলাদেশে অবমুক্ত প্রায় ৪০টি জাতের উন্নত আলুর চাষাবাদ হচ্ছে কৃষক পর্যায়ে। উচ্চ ফলনশীল জাতের আলুবীজ সম্প্রসারিত হয়েছে শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি আবাদি এলাকায়। এক দশক আগেও উৎপাদন ছিল ৫০ হাজার টনের নিচে। এখন তা কোটি টন ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি বিপণন অধিদফতরের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪ দশমিক ৭৬ হেক্টর জমিতে ৯৪ দশমিক ৫৪ লাখ টন আলু উৎপাদন হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৪ দশমিক ৯৬ হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদন বেড়ে ১০৩ দশমিক ০৪ লাখ টনে দাঁড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আলু চাষ হয় ৫ দশমিক ২৮ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয় ১১৩ দশমিক ৩৩ লাখ টন। তথ্য-উপাত্তই বলে দিচ্ছে আলুর উৎপাদন বাড়াতে সরকার নানাভাবে উৎসাহিত করায় আলু উৎপাদনে বিপ্লবের সূচনা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কৃষি বিপণন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক নাসরিন সুলতানার উপস্থাপিত প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, কৃষি, খাদ্য ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সরকারি পর্যায়ে ভিজিডি, ভিজিএফ, কাবিখার মতো কর্মসূচিতে আলু বিতরণ এবং বিজিবি, পুলিশ, আনসার সদস্যদের মাঝে রেশন হিসেবে আলু দেওয়া হলে উদ্বৃত্ত আলু নিয়ে কৃষকের হতাশা কাটবে। প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আলু নিয়ে যে আশাবাদের জায়গা তৈরি হয়েছে, সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে কৃষি অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। প্রতিবেদনে প্রতিকেজি আলুর গড় উৎপাদনব্যয় দেখানো হয়েছে ৭ টাকা ৪০ পয়সা। কৃষককে এই খরচের টাকা ওঠানোর পরে লাভ করতে হয়। কিন্তু প্রতিবছর দেখা যায়, বিপুল উৎপাদনের পর কৃষকের মাথায় হতাশার হাত ওঠে। এটি খুবই দুঃখজনক। কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুনজর প্রয়োজন।সরকারিভাবে আলু কেনা হোক

কৃষি বিপণন অধিদফতরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিকেজি আলু উৎপাদনে খরচ ৭ টাকা ৪০ পয়সা। অথচ আলু উৎপাদনকারী জেলাগুলোর হাটবাজারে প্রতিকেজি আলু পাইকারি বিক্রি হয় ৪ থেকে ৬ টাকায়। আলুচাষিদের এই লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে হলে সরকার ধান-চালের মতো আলু কিনতে পারে। এতে কৃষকের লোকসান কমবে। আলুচাষে কৃষকরাও উৎসাহী হবেন। এ প্রসঙ্গে যশোরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক চণ্ডীদাস কুণ্ডু বলেন, মানুষের খাদ্যাভ্যাসে আলুর ব্যবহার বাড়ানো দরকার। হিমাগারের সংখ্যা বাড়ানো এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা দরকার। সরকারি বিভিন্ন সহায়তা প্রকল্পে আলু কিনে নিলে কৃষকের উপকার হবে। বাংলাদেশে অন্যান্য খাদ্যশস্য যেমন চাল-গমের মতো ফসল উত্তোলনের মৌসুমে আলুর একটা সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা যেতে পারে। হিমাগারে অবিক্রীত আলু দুর্যোগে ত্রাণ হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ হিসেবে আলু দেওয়া যেতে পারে। তাহলে ন্যায্য দাম পেয়ে একদিকে কৃষকের প্রাণ বাঁচবে, অন্যদিকে উৎপাদিত আলু ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচলে কৃষকের দুশ্চিন্তা দূর হবে। এ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন ত্রাণ কর্মসূচি, বিভিন্ন বাহিনী ও বিভিন্ন সংস্থার রেশনে আলু সংযুক্ত করলে বিপুল পরিমাণ আলু সরকারি ক্রয় খাতে চলে আসবে। তাতে কৃষকের দুশ্চিন্তা লাঘব হবে। আলু চাষাবাদ, সংরক্ষণ ও প্রসেস ফুডের শিল্প স্থাপনে ব্যাংকগুলো লোন সহায়তা দিলে উদ্যোক্তারা উৎসাহী হবেন। আমাদের প্রত্যাশা, সবার প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও উদ্যোগে আলু নিয়ে সৃষ্ট দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ কেটে যাক।

লেখক : কৃষি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক
[email protected]

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।

Wordbridge School
Link copied!