• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কুসিক নির্বাচনের পোস্টমর্টেম  


মহিউদ্দিন খান মোহন জুন ১৯, ২০২২, ০৬:০১ পিএম
কুসিক নির্বাচনের পোস্টমর্টেম  

ঢাকা : শেষ মুহূর্তের অনাকাঙ্ক্ষিত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ছাড়া কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই সমাপ্ত হলো। ১৫ জুন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ। হাড্ডাহাড্ডি এই ভোটের লড়াইয়ে মেয়র পদে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতকে। মাত্র ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুকে হারিয়েছেন রিফাত। তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট, মনিরুল হক সাক্কু পয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। নিজামউদ্দিন কায়সার পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৯ ভাট।

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। গত এক মাসে সেখানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সে হিসেবে নতুন নির্বাচন কমিশন প্রথম পরীক্ষায় ভালোভাবেই উতরে যাচ্ছিল বলা যায়। তবে ফলাফল ঘোষণার শেষ পর্যায়ে কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও ঘোষণাকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ কর্মীদের মারমুখো আচরণ নিঃসন্দেহে একটি ভালো নির্বাচনের গায়ে কালি ছিটিয়ে দিয়েছে। টেলিভিশনের লাইভ প্রচারে তা দেখে বিবেকবান ব্যক্তিরা বিস্ময়ে হতভম্ব হয়েছেন। একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা ভোট গণনার কক্ষে এসে অমন যুদ্ধংদেহী আচরণ করতে পারে, তা ছিল সবার ধারণার বাইরে। বিব্রত রিটার্নিং অফিসার এজন্য কিছুক্ষণ ফলাফল ঘোষণা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন। টেলিভিশনের পর্দায় যারা রিটার্নিং অফিসারকে তখন দেখেছেন, তারা নিশ্চয়ই খেয়াল করে থাকবেন, তিনি যেন একটি ফরমায়েশি ফলাফল ঘোষণা করে উঠে গেলেন। তার চোখেমুখে ছিল ভীতসন্ত্রস্ত ভাব। কেউ কেউ মনে করছেন, ঘোষিত ফলাফলে বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটেনি। ১০১ কেন্দ্রে ভোটে প্রায় ৭শ ভোটে এগিয়ে থাকা মানিরুল হক সাক্কু বাকি চার কেন্দ্রে হঠাৎ করেই কীভাবে পিছিয়ে পড়লেন তার ব্যাখ্যা এখন আর পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। রাজনীতি সচেতন মহলের প্রশ্ন, উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং একটি নিশ্চিত সহিংসতা ঠেকাতে রিটার্নিং অফিসারের যূপকাষ্ঠে কি বলি হলেন মনিরুল হক সাক্কু? মাত্র চারটি কেন্দ্রের ফলাফল বাকি থাকতে হঠাৎ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘোষণাকেন্দ্রের ভেতরে হইচই ও স্লোগান দিতে শুরু করে। এ সময় স্বতন্ত্র পার্থী মনিরুল হক সাক্কু সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। এ সময় সাক্কুর সমর্থকরাও মারমুখো হয়ে উঠলে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ কর্মীরা সাক্কুর ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে রিটার্নিং অফিসার তড়িঘড়ি ফল ঘোষণা করেন।
 
এদিকে মনিরুল হক সাক্কু নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন জালিয়াতি করে ফলাফল পাল্টে দিয়েছে। তিনি বলেছেন, ভোট গণনার শেষদিকে আরফানুল হক রিফাতের চেয়ে তিনি এগিয়ে থাকলেও হঠাৎ ফলাফল ঘোষণা বন্ধ রেখে তাকে পরাজিত দেখানো হয়েছে। সাক্কুর এই অভিযোগকে অনেকেই অসত্য বলতে চান না। কেননা, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ফলাফল ঘোষণাকেন্দ্র ঘেরাও করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, রিটার্নিং অফিসারের ফলাফল ঘোষণা বন্ধ রাখা এবং এরপরই আকস্মিকভাবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করাকে স্বাভাবিক ঘটনা বলে কেউ মেনে নিতে পারছেন না। যদিও মনিরুল হক সাক্কু নির্বাচনী ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাবার কথা জানিয়েছেন, তবে তাতে তেমন কোনো ফলোদয় হবে বলে মনে হয় ন। কেননা, আমাদের দেশে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় ফলাফল ‘ফেরত’ পাওয়ার নজির নেই বললেই চলে। সুতরাং এটা ধরে নেওয়া যায়, ১৫ জুন কুমিল্লার শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে হাতছাড়া হয়ে যাওয়া পাখিটি সাক্কুর হাতে আর ফেরত আসবে না।
 
কথা উঠেছে মনিরুল হক সাক্কুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও। নির্বাচন করতে গিয়ে তিনি দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন। এ থেকে এটা স্পষ্ট যে, কুমিল্লা বিএনপির রাজনীতিতে অন্যতম শক্তিধর এই তৃণমূল কর্মী-বান্ধব ও জনসম্পৃক্ত নেতার রাজনৈতিক ভবিষ্যত এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। ভেতরের খবর হলো, কুমিল্লা বিএনপির রাজনীতিতে মনিরুল হক সাক্কু দলের আরেকটি গ্রুপের চোখের বালি হয়ে উঠেছিলেন। বিএনপির এক সময়ের প্রভাবশালী নেতা মরহুম কর্নেল আকবর হোসেন (অব.)-এর ভাবশিষ্য হিসেবে মনিরুল হক সাক্কু কুমিল্লা মহানগরের রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। তৃণমূল নেতাকর্মী ও জনসাধারণের কাছে নিজেদের মানুষ হয়ে ওঠা সাক্কু দলের একটি অংশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিলেন। তাই তাকে কোণঠাসা করতে নানা রকম চক্রান্ত চলছিল। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত তার বিরোধী পক্ষের হাতে মোক্ষম অস্ত্রটি তুলে দেয়। যদিও সাক্কু মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগেই ঘোষণা করেছিলেন, যেহেতু তার দল নির্বাচন করবে না, তাই তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেই নির্বাচনে অংশ নেবেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে দল থেকে ইস্তফা দিলেও তাকে বহিস্কার করা হয় এবং সেটাই ফলাও করে প্রচার করা হয়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এটা করা হয়েছিল ভোটের মাঠে মনিরুল হক সাক্কুর জন্য প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করার উদ্দেশ্যে। দল থেকে বহিষ্কারের কথা জানাজানি হলে দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা তার কাছ থেকে দূরে সরে যাবে- এ ভাবনা থেকেই কেন্দ্রীয় বিএনপি কাজটি করেছিল। লক্ষণীয় হলো, দলের আরেক নেতা নিজামউদ্দিন কায়সার একই অপরাধ করলেও তাকে সাধারণ বহিষ্কার করা হয়েছে, আজীবনের জন্য নয়। তার মানে তার জন্য দলে ফেরার দরজাটি একটু ফাঁক করে রাখা হয়েছে, যাতে যে কোনো সময় যে কোনো অজুহাতে নিজামউদ্দিন কায়সার পুনরায় দলে ফিরতে পারেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অপরাধে দুই নেতার বিরুদ্ধে দুই রকম শাস্তিকে সচেতন ব্যক্তিরা ‘এক যাত্রায় দুই ফল’ প্রবাদের সঙ্গেই তুলনা করছেন।

কুমিল্লা মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে থাকা মনিরুল হক সাক্কুর বিরুদ্ধে বিএনপিরই একটি গ্রুপ বেশ কিছুদিন থেকেই সক্রিয় ছিল। সংবাদমাধ্যমের সূত্রমতে এই গ্রুপটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন। নির্বাচনের মাস খানেক আগে সাক্কুকে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওই সময় তার বিরুদ্ধে দলীয় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়া থেকে দূরে থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল। এ ঘটনা সে-সময় নেতাকর্মীদের মনে প্রচণ্ড ক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল। একটি বিষয় এখানে পরিষ্কার যে, অত্যন্ত সুকৌশলে সাক্কুর পরাজয় নিশ্চিত করার চেষ্ট করা হয়েছে। যদি নিজামউদ্দিন কায়সারকে প্রার্থী করা না হতো তাহলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সাথে মনিরুল হক সাক্কুর ভোটের যে ব্যবধান হতো, তাতে নয়ছয় করে ফলাফল এদিক সেদিক করা দুষ্কর হয়ে পড়ত। মনিরুল হক সাক্কু এবং নিজামউদ্দিন কায়সারের প্রাপ্ত মোট ভোট প্রায় আশি হাজার। আর রিফাতের প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা পঞ্চাশ হাজার ৩১০। সুতরাং সাক্কু ও নিজামের ভোট এক মার্কায় পড়লে ফলাফল কী হতো তা ব্যাখ্যা করে বলার দরকার পড়ে না। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। বিএনপি নেতাকর্মীদের একটি অংশকে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় মনিরুল হক সাক্কুর পরাজয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। তারা এই ফলাফলকে সাক্কুর ‘অবাধ্যতার’ শাস্তি বলেও উল্লেখ করেছেন। অপরদিকে অনেকেই বলছেন যে, সাক্কুকে হারানোর জন্য স্থানীয় বিএনপি ও কেন্দ্রীয় একটি অংশ যে খেলাটি খেলল, তাকে ‘নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গের’ সাথেই তুলনা করা যেতে পারে। এভাবে একজন প্রভাবশালী নেতার রাজনৈতিক জীবন ধ্বংসের নীলনকশার বাস্তবায়ন একটি রাজনৈতিক দলের জন্য শুভ হতে পারে না। এ খেলা যদি চলতে থাকে, তাহলে হারাধনের দশ ছেলের মতো কমতে কমতে বিএনপির নেতার ভান্ডারও একসময় শূন্য হয়ে যেতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা বিএনপি কুসিক নির্বাচন বয়কট এবং তাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও নির্বাচনী কার্যক্রমে দলীয় নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করলেও সেখানকার বিএনপি সমর্থক ভোটারদের নির্বাচন বয়কটে একাত্ম করতে পারেনি। দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই তারা মনিরুল হক সাক্কু ও নিজামউদ্দিন কায়সারকে ভোট দিয়েছে। এক্ষেত্রে বিএনপির খবরদারিত্ব অসার প্রমাণিত হয়েছে।

অন্যদিক কুমিল্লা নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর এ বিষয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অভিমত গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ায় তারা সন্তোষ প্রকাশ করলেও ফলাফল ঘোষণার সময় সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের উচ্ছৃঙ্খলতাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন। সে সঙ্গে তারা এও বলেছেন যে, কুমিল্লা সিটি নির্বাচন আপাতদৃষ্টিতে সুষ্ঠু হলেও এটাকে ইসির সফলতার মানদণ্ডে ফেলা যায় না। নির্বাচনী প্রচারণা শান্তিপূর্ণভাবে চললেও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহারকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করতে না পারা এবং এ ব্যাপারে স্বয়ং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অসহায়ত্ব প্রকাশকে তারা নির্বাচন কমিশনের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করছেন। এ প্রসঙ্গে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার এম. সাখাওয়াত হোসেন (অব.) নির্বাচন ভালো হয়েছে মন্তব্য করে বলেছেন, ‘এই নির্বাচন দিয়ে ইসির পাস-ফেল বিবেচনা করা যাবে না। কারণ এটা একটা ছোট নির্বাচন। আর জাতীয় নির্বাচন অনেক বড় বিষয়। তাই এই নির্বাচন দিয়ে ইসির সফলতার পরিমাপ করার প্রশ্নই আসে না। ইভিএম নিয়ে তার আপত্তি জানিয়ে তিনি জাতীয় নির্বাচনে এর ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন। স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘ইসি একটা ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করেছে। তার মানে এই নয় যে, এই নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের মডেল হয়ে যাবে। তিনিও ইভিএম প্রশ্নে তার আপত্তির কথা জানিয়েছেন। (আজকের পত্রিকা, ১৬ জুন, ২০২২)।
 
সবদিক বিবেচনায় এনে বলা যায়, নির্বাচন কমিশন কুসিক নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে সফল হলেও সুষ্ঠুভাবে ফলাফল ঘোষণায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। মনিরুল হক সাক্কু বলেছেন, চূড়ান্ত ফলে তিনি ৯৮০ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু সরকারের প্রভাবশালীদের চাপে রিটার্নিং অফিসার ফল উল্টে দিয়ে তাকে পরাজিত ঘোষণা করেছেন। সাক্কুর এই অভিযোগের একশ শতাংশ সত্যতা নিরূপণ কখনোই হয়তো সম্ভব হবে না। তবে টিভি নিউজে ঘটনা লাইভ প্রচারিত হওয়ায় জনমনে মনিরুল হক সাক্কুর অভিযোগ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ভোটগণনা যদি একশ শতাংশও সঠিক হয়ে থাকে, তাহলেও সরকারদলীয় কর্মীদের কারণে দেশবাসীর কাছে তা আর বিশ্বাসযোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। মোদ্দা কথা হলো, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন শেষ পর্যন্ত আর সুন্দর থাকেনি। ক্ষমতাসীন দলের বাড়াবাড়ির কারণে নির্বাচনটির ফলাফল প্রশ্নবোধক হয়ে রইল।

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।

Wordbridge School
Link copied!