• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
হ্যালো লিডার, হ্যালো মিনিস্টার

পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল কবে চলবে?


এম সোলায়মান  অক্টোবর ২৭, ২০২২, ০৩:৫৫ পিএম
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল কবে চলবে?

পদ্মা সেতু

ঢাকা: পদ্মা সেতু চালু হয়েছে প্রায় পাঁচ মাস। ফেরি ঘাটে অপেক্ষার যন্ত্রণা থেকে নিস্তার পেয়েছেন যাত্রীরা। তবে যান চলাচলের প্রথম দিনেই একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করে সরকার। গত ২৭ জুন ভোর ৬টা থেকে এ নিষেধাজ্ঞা চালু হয়। যা এখনো চলছে...।

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১জেলার মানুষের জীবনে গতি এনেছে পদ্মা সেতু। যাত্রীদের ফেরি ঘাটে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার যন্ত্রণা আর নেই। তবে একটি দুর্ঘটনার জন্য মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকায় কষ্টে আছেন মোটরসাইকেলের মালিকরা। তারা অপেক্ষায় আছেন কবে তাদের গাড়ি নিয়ে চলতে পারবে স্বপ্নের সেতু দিয়ে।  

হতাশার কথা হলো সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, সহসাই পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি মিলছে না। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালুর বিষয়ে প্রথমে আমাদের কোনো নিষেধ ছিল না। কিন্তু এমনভাবে ছুটে সবাই। সেখানে একটা সমস্যা হয়েছে। যে সমস্যার জন্য পদ্মা সেতুই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, এ বাস্তবতাটি সবার মেনে নেওয়া উচিৎ। এছাড়া কিছুদিন পর কালনা সেতুর উদ্বোধন হলে নতুন বাস্তবতা দেখা যাবে। তখন এ পথে আরও দ্রুতবেগে গাড়ি চলবে এবং এখানে একটি অংশ কালনার কাছে গিয়ে থেমে যায়, ওই অংশতে আরও দ্রুতবেগে আসা-যাওয়া করবে। তখন বাস্তবতাসহ সবকিছু মিলিয়ে পরবর্তীতে আমরা চিন্তা করবো।

তবে মোটরসাইকেল মালিকরা বলছেন, আমাদের গৌরব ও অহংকারের প্রতীক স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেলের গতি নির্ধারণ করে সিসিটিভি ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে চালু করে দেওয়ার দাবি তাদের। তাদের প্রশ্ন, পদ্মা সেতু যদি আমাদের টাকায় নির্মিত হয় তাহলে আমরা কী দেশের জনগণের বাহিরে? এ সেতুতে চলাচলের সবার অধিকার রয়েছে। দুই, এক জনের জন্য সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হয়নি।

জয় হোসাইন নামে এক চালক বলেন, ‘স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে যেখানে তরুণদের স্বপ্ন পূরণ হবে, সেখানে বিশৃঙ্খলার অজুহাত দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রাখা হবে, এটা হতে পারে না। পদ্মা সেতু, এক্সপ্রেসওয়ে, মহাসড়কসহ আন্তজেলা বাইক চলাচলে যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’

হাসান মাসুদ নামে একজন বলেন, তরুণদের অনেকে শিক্ষার্থী, অনেকে সরকারি ও বেসরকারি চাকরি করেন। তাঁদের সহজ ও দ্রুত যাতায়াতের জন্য মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে হয়। সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকলে তাঁরা কীভাবে পদ্মা নদী পারাপার হবেন? তাই লাখ লাখ বাইকারের দুর্ভোগের কথা ভেবে বাইক চালানোর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন তাঁরা।

যদিও বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুতে স্পিডগান ও সিসি ক্যামেরা বসানোর পর মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু আদৌ তা কবে নাগাদ স্পিডগান ও সিসি ক্যামেরা বসানো শেষ হবে আর কবে নাগাদ সেতুতে মোটরসাইকেল চলবে সে বিষয়ে স্পষ্ট করেননি। 

 

 

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।

Wordbridge School
Link copied!