• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের স্বার্থে স্বাধীনতা জিম্মি হতে দেবো না


নিজস্ব প্রতিনিধি ডিসেম্বর ৬, ২০২০, ০৩:১৪ পিএম
নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের স্বার্থে স্বাধীনতা জিম্মি হতে দেবো না

ফাইল ছবি

ঢাকা : বঙ্গবন্ধু মানে এদেশের অস্তিত্ব ও স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু মানেই দেশ এবং সংবিধান বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৬ ডিসেম্বর) নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের অবমাননা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি পেতেই হবে। ইতিহাসের মীমাংসিত বিষয় নিয়ে একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী দেশব্যাপী ধর্মীয় বিভেদ তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেক হয়েছে, এবার থামুন। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের অবমাননা মানে দেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আক্রান্ত করা। এ দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন, স্বাধীনতার স্থপতি ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের অবমাননা দেশের চেতনার মর্মমূলে আঘাত হানা। বঙ্গবন্ধুরর প্রতিকৃতি প্রদর্শন ও সংরক্ষণ সাংবিধানিকভাবেই বিধিবদ্ধ বিষয়। তাই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের অবমাননা প্রকারান্তরে সংবিধানের অবমাননা।

সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের লাখ লাখ সাধারণ মানুষ ও কর্মীরা আজ ক্ষুব্ধ। তাদের হৃদয়ের আবেগ অনুধাবন করি। আওয়ামী লীগ গায়ে পড়ে আক্রমণ করে না। তবে আক্রমণের শিকার হলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এক বিন্দুও পিছপা হয় না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে অর্ধশতকের স্মৃতি মধু’দার ভাস্কর্যের আংশিক ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে দেবেন না। এখনও দলের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। আবারো বাড়াবাড়ি করলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা ঘরে বসে থাকবে না। 

তিনি বলেন, মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান- সবার মিলিত রক্তের স্রোতধারায় অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এ স্বাধীনতা কোন নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের স্বার্থের কাছে জিম্মি হতে দেবো না। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পবিত্র সংবিধান ও দেশের আইন পরিপন্থী কোনো ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য, মন্তব্য ও আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতা বিপরীত মেরুতে অবস্থান করায় সাময়িকভাবে দলের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে তারা এখনও দলের নেতা।

নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিএম তালেব হোসেনের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মোহাম্মদ আলীসহ অন্যান্য নেতারা।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!