চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসী ও কিছু ‘অতিউৎসাহী’ পুলিশ কর্মকর্তা নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, মাস্তান, সন্ত্রাসী, ইয়াবা ব্যবসায়ী আর পুলিশের অতিউৎসাহী কিছু কর্মকর্তা পরিকল্পিতভাবে হামলা, মামলা ও গ্রেফতার চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল রবিবার রাত পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের ৬৯ জন নেতা-কর্মীকে তুলে নিয়ে গেছে। এখনো বাসায় বাসায় তল্লাশি ও ধরপাকড়ের ঘটনা ঘটছে।
চসিক নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
শাহাদাত বলেন, আটকের পাশাপাশি আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা হয়েছে। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে এই মামলা ও গ্রেফতার শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত এক হাজার জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে। পুলিশের হয়রানি থেকে নারী, শিশুরা পর্যন্ত বাদ যাচ্ছে না। রবিবার রাতে বাকলিয়া থানায় মহিলা দলের নেত্রী মুন্নি ও তার ১২ বছরের শিশুকেও ধরে নিয়ে গেছে।
নির্বাচণি পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ করে বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, এখন ভোটের কালচার নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মানুষের আর ভোটের ওপর আস্থা নেই, যার প্রেক্ষিতে গত মার্চ থেকে আমরা দ্বারে দ্বারে গিয়েছি। নির্বাচন বিমুখ মানুষদের আবার ভোট কেন্দ্রে আনার চেষ্টা করেছি। অথচ নির্বাচনের ঠিক দুইদিন আগেই মাস্তান, চাঁদাবাজ, ইয়াবা ব্যবসায়ী দিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ ঘোলাটে করার পাঁয়তারা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যালট প্যানেলের সুরক্ষা চেয়ে তিনি বলেন, আপনারা এর আগে দেখেছেন যে ইভিএমে ভোট হলে একটি দলের সন্ত্রাসী, মাস্তানেরা সেখানে পাশে দাঁড়িয়ে থেকে গার্ড দেয়। তাদের ইচ্ছামতো ভোট দিতে বলে। এজেন্ট বের করে দেয়। আমরা এর আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা ৯ দফা দাবি দিয়েছি। তাতে আমরা সুস্পষ্ট বলেছি, যেহেতু এজেন্টরা নির্বাচনি প্রক্রিয়ার অংশ, তাই ভোটের দিন তাদের যেন সুরক্ষা দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি গ্রেফতার নেতা-কর্মীদের তালিকা নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান এবং সেখানে প্রায় ৩০ মিনিট অবস্থান করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, নাগরিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক একরামুল করিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মীর মো. হেলাল উদ্দিন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ, চাকসু ভিপি নাজিম, এস এম সাইফুল, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আব্দুল মান্নান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেনসহ অনেকে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :