• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রচারণার ২১ দিনে ৬০ অভিযোগে ৩৪ নিষ্পত্তি


চট্টগ্রাম ব্যুারো জানুয়ারি ২৬, ২০২১, ০২:৩১ পিএম
প্রচারণার ২১ দিনে ৬০ অভিযোগে ৩৪ নিষ্পত্তি

চট্টগ্রাম : ৬০টি অভিযোগের মধ্যে ৩৪টির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হলেও কোনো অভিযোগের সত্যতা পায়নি পুলিশ।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী প্রচারণা শেষ দিনে পুলিশ প্রশাসন বিএনপি কর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও বিনা কারণে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে ২টি অভিযোগ জমা পড়ে। এ নিয়ে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গত ২১ দিনে মোট ৬০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এ অভিযোগগুলো সংশ্লিষ্ট থানার ওসিদের তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরমধ্যে ৩৪টি অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হলেও কোনো অভিযোগের সত্যতা পায়নি পুলিশ।

এ অভিযোগগুলো সংশ্লিষ্ট থানার ওসিদের তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরমধ্যে ৩৪টি অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হলেও কোনো অভিযোগের সত্যতা পায়নি পুলিশ। বেশিরভাগই অভিযোগ করেছিলেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।

সেই অভিযোগকারীর তালিকায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী যেমন আছেন তেমনি আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীও আছেন। আরও আছেন দল সমর্থিত বিশেষ করে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। তবে নির্বাচন কমিশনে করা এসব অভিযোগের অধিকাংশেরই সত্যতা পায়না পুলিশ।

যদিও অভিযোগকারী প্রার্থীরা বলছেন, সরকারদলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও পুলিশ পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন বলছে, তাদের কাছে যেসব অভিযোগ আসছে তা মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বরত পুলিশকে তদন্ত করতে বলা হচ্ছে। আর সেই পুলিশ বলছে, পক্ষপাতমূলক আচরণের কোনও সুযোগ নেই। তদন্তে যা পাওয়া যাচ্ছে তা তুলে ধরা হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানা যায়, গত ৮ জানুয়ারি থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়। গত ১০ জানুয়ারিতে ১টি অভিযোগ জমা পড়ে। এরপর থেকে ১১ জানুয়ারি ৩টি, ১২ জানুয়ারি ৫টি, ১৩ জানুয়ারি ২টি, ১৪ জানুয়ারি ৬টি, ১৫ জানুয়ারি ১টি, ১৬ জানুয়ারি ৬টি, ১৭ জানুয়ারি ৬টি, ১৮ জানুয়ারি ১০টি, ১৯ জানুয়ারি ৪টি, ২০ জানুয়ারি ৪টি, ২১ জানুয়ারি ৪টি, ২৩ জানুয়ারি ৩টি, ২৪ জানুয়ারি ২টি ও ২৫ জানুয়ারি ২টি অভিযোগ জমা পড়ে। এরমধ্যে ১৮ জানুয়ারি একদিনে সর্বোচ্চ ১০টি অভিযোগ জমা পরে। তবে ২২ জানুয়ারি কোনো অভিযোগ জমা পড়েনি। এ অভিযোগের তালিকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এম. রেজাউল করিম চৌধুরী ৪টি এবং বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ৯টি অভিযোগ করেছে।

পুলিশ ও নির্বাচন কমিশন সরকার দলীয় প্রার্থীর হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ ‍উৎসবমূখর পরিবেশে ভোট হোক তা চায় না। তারা সরকার দলীয় প্রার্থী ও কর্মীদের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। প্রতিদিন কোনও না কোনও ওয়ার্ডে ধানের শীষের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা করা হচ্ছে, পোস্টার ছেঁড়া হয়েছে। এসব অভিযোগ আমলেও নেয়নি প্রশাসন। আমরা এখনও আশা করি প্রশাসন নিরপেক্ষ আচরণের মাধ্যমে একটি উৎসবমূখর নির্বাচন আয়োজনে সহিযোগিতা করবে।’

চসিক নির্বাচনের প্রাপ্ত অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা চট্টগ্রামে এসে বলেছেন, ‘প্রার্থীদের যেসব অভিযোগ আমরা পাই তা দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট ও স্থানীয় থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে আমরা চিঠি দিয়ে থাকি। এখন পুলিশ তদন্ত করে যা প্রতিবেদন দেয় সেটা তাদের বিষয়।’  

অভিযোগ প্রসঙ্গে সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘আমরা কোন প্রার্থীর পক্ষে না। নির্বাচন কমিশন থেকে যেসব অভিযোগের তদন্ত করতে বলা হয় তার বেশিরভাগই পোস্টার ছেঁড়া সংক্রান্ত। এসব প্রমাণ করা একটু ডিফিকাল্ট। এছাড়া অন্য অভিযোগগুলোও আমরা যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়ে থাকি।’

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!