• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ড. কামালকে সভাপতি চান না গণফোরামের শীর্ষ নেতারা


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১, ০৭:১২ পিএম
ড. কামালকে সভাপতি চান না গণফোরামের শীর্ষ নেতারা

ঢাকা: নতুন করে সংকটে পড়েছে গণফোরাম।দলটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে সভাপতির পদ থেকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। 

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরামের এক পক্ষের ডাকা বর্ধিত সভায় সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য মহসিন রশিদ বর্ধিত এই প্রস্তাব তুলে ধরেন। গণফোরামের নেতাদের একটি পক্ষ বর্ধিত সভার আয়োজন করেন। এতে নেতৃত্ব দেন মোস্তফা মোহসীন মন্টু।

দলটির শীর্ষ নেতাদের বড় একটি অংশের এ প্রস্তাবে সায় রয়েছে।  বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব ছাড়াই নতুন করে দলটিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। 

একইসঙ্গে আগামী ২৮ ও ২৯ মে ঢাকায় দু’দিনব্যাপী গণফোরামের কাউন্সিল আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। বর্ধিত সভায় ২১ সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটি, গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদকে আহ্বায়ক করে ১০১ সদস্যের জাতীয় নির্বাহী কমিটি এবং মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে আহ্বায়ক করে ২০১ সদস্যের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটিও গঠন করা হয়।

দলটির সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য মহসিন রশিদ ড. কামাল হোসেনকে গণফোরামের সভাপতি পদ থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, দলের মধ্যে আজ অনেক বিভাজন চলছে। এই বিভাজন বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে সভাপতির পদ থেকে ড. কামাল হোসেনকে বাদ দেওয়া উচিত। কমিটির সাবেক সদস্য সাত্তার পাঠানও একই প্রস্তাব করেন। পরে জেলা পর্যায়ের কয়েকজন নেতাও এই প্রস্তাব সমর্থন করে বক্তব্য দেন। 

বর্ধিত সভা শেষে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, গণফোরামের আগামী কাউন্সিলে কাউন্সিলররা সিদ্ধান্ত নেবেন ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি হিসেবে রাখা হবে কি না। 

তিনি বলেন, আগামী ২৮ ও ২৯ মে ঢাকায় দু’দিনব্যাপী কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এখানেই পরবর্তী নেতৃত্ব ঠিক করা হবে। 

সভাপতির পদ থেকে ড. কামাল হোসেনকে অপসারণ প্রসঙ্গে মোস্তফা মহসিন মন্টু আরও বলেন, গণফোরাম গণতান্ত্রিক দল। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে গণতন্ত্র আনতে হলে দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হয়। ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি বানিয়েছিলেন কাউন্সিলররা। আগামী কাউন্সিলে তারাই (কাউন্সিলর) সিদ্ধান্ত নেবেন দলটির পরবর্তী সভাপতি কে হবেন।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, দেশে আজ আইনের শাসন নেই, সাংবিধানিক শাসন নেই। যে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, আজ সে বৈষম্যের কশাঘাতে মানুষ দিশেহারা। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যত দুঃশাসন হচ্ছে, আইয়ুব খানের আমলেও এত দুঃশাসন হয়নি। দেশ আজ গভীর সংকটে নিমজ্জিত। নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সর্বক্ষেত্রে, স্বৈরতান্ত্রিক কালো থাবায় সবকিছু থমকে গেছে। সর্বস্তরে চলছে দুঃশাসন।

তিনি বলেন, যদিও সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলছে। কিন্তু চেতনা বাস্তবায়নে সরকার অনেক দূর সরে গেছে। এ সরকার জনগণের সরকার নয়। এ সরকার অবৈধ সরকার। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছে।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!