• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইতিহাস বিকৃতির জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চান


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ৯, ২০২১, ০৯:১৩ পিএম
ইতিহাস বিকৃতির জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চান

সংগৃহীত

ঢাকা : আপনাদেরকে অনুরোধ জানাবো যে, আপনারা এতোদিন ধরে যে ইতিহাস বিকৃতি করেছেন সেটার জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চান। আর নতুন করে ইতিহাস বিকৃত করার জন্য কোনো দিবস পালন করার ভণ্ডামি দয়া করে করবেন না। বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এমনটায় বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ। সভায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ অফিসের প্রয়াত বেয়ারার নূরুল হক। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা দেয়ার পর ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি রিকশা করে সমগ্র চট্টগ্রাম শহরে মাইকিং করেছিলেন এই নূরুল হক। চট্টগ্রাম শহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তখন হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে তার বুকে গুলি হতে পারে সেটা জেনেও সেদিনকার তরুণ নূরুল মানুষকে ঘোষণাটি শুনিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, আর ২৬ মার্চ সকাল থেকে তৎকালীণ চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান। স্বাধীন বাংলা বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে পাঠ করে শুনিয়েছিলেন। আর জিয়াউর রহমান পাঠ করেছিলেন ২৭ মার্চ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা ঘোষণা পাঠ করার জন্য যদি কাউকে বাহবা দিতে হয়, চার দেয়ালের মধ্য থেকে পাঠকারী জিয়াউর রহমানের চেয়ে নিজের জীবনটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে মাইকিং করা নূরুল হকের কৃতিত্ব অনেক বেশি। বিএনপিকে অনুরোধ জানাব এই সত্যগুলো মেনে নেয়ার। স্কুলের দফতরিকে হেডমাস্টার বানানোর চেষ্টা করবেন না, ইতিহাসকে মেনে নিয়েই রাজনীতিটা করুন, ক্রমাগতভাবে ইতিহাসকে বিকৃত করবেন না।

অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বিএনপি ৭ মার্চ পালন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি যখন ঘোষণা দিল যে তারা ৭ মার্চ পালন করবে, আমি আশা করেছিলাম ইতিহাসকে মেনে নেয়ার শর্তে এবং এতোদিন ধরে তারা যে ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়েছে, সেই কলঙ্কমোচনের স্বার্থে তারা ৭ মার্চ পালন করবে। কিন্তু ৭ মার্চ পালন করতে গিয়ে যে বক্তৃতাগুলো তারা করেছেন, যেভাবে ভাষণ দিয়েছেন, তা বরং ৭ মার্চের বক্তব্যের সারমর্মকে খাটো করার জন্যই। অর্থাৎ একটি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তারা ৭ মার্চ পালন করেছেন।

বিএনপি নেতারা বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে কটাক্ষ করে বক্তব্য রাখলেন উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো, এ ধরনের কটাক্ষ করার উদ্দেশ্য নিয়ে আপনারা দয়া করে দিবস পালন করবেন না। আপনারা ক্রমাগতভাবে ইতিহাস বিকৃত করেছেন। ৭ মার্চের ভাষণ ২১ বছর বাজাতে দেননি, বিএনপি এবং এরশাদ সাহেবও যতদিন ক্ষমতায় ছিলো বাংলাদেশের রেডিও টেলিভিশনে ৭ মার্চের ভাষণ বাজানো নিষিদ্ধ ছিলো। কিন্তু এই ভাষণকে আজকে বিশ্ব স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে, জাতিসংঘের দলিল হিসেবে এই ভাষণ স্থান পেয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!