• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নজরদারিতে চার শতাধিক কওমি মাদরাসা


নিউজ ডেস্ক মে ৪, ২০২১, ০২:৫৭ পিএম
নজরদারিতে চার শতাধিক কওমি মাদরাসা

ঢাকা: দেশজুড়ে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কুমিল্লায় চার শতাধিক কওমি মাদরাসাকে নজরদারিতে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ স্থানীয় প্রশাসন। সম্প্রতি ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রামের হাটহাজারীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতকর্মীরা তাণ্ডব চালালেও কুমিল্লায় ছিল ভিন্ন চিত্র। এখানকার কওমি মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা কোনো কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামেননি। তারপরেও হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় কেউ যাতে কোনো নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে জেলায় কওমি মাদরাসা রয়েছে ৪৪০টি। এর মধ্যে কোতোয়ালিতে ২৪টি, সদর দক্ষিণে ৪৩টি, চৌদ্দগ্রামে ২০টি, চান্দিনায় ৩৩টি, বুড়িচংয়ে ২২টি, ব্রাহ্মণপাড়ায় ৯টি, বরুড়ায় ৫৪টি, লাকসামে ২১টি, মনোহরগঞ্জে ১৭টি, নাঙ্গলকোটে ২৭টি, দাউদকান্দিতে ৪৪টি, হোমনায় ১১টি, মেঘনায় ১৩টি, তিতাসে ৮টি, দেবিদ্বারে ১৪টি, মুরাদনগরে ৩৮টি, বাঙ্গরা বাজারে ৭টি এবং লালমাই উপজেলায় ৩৫টি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই চলছে দেশি-বিদেশি নানা অনুদানে এবং স্থানীয়দের সহায়তায়। হেফাজতের সঙ্গে জড়িত নেতাদের অধিকাংশ এসব কওমি মাদরাসার শিক্ষক কিংবা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন।

জেলা পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধের নামে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালিয়ে আলোচনায় আসে হেফাজত। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা সহিংসতা চালায়। তাই কুমিল্লা জেলাজুড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে র‌্যাব-পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এ বিষয়ে তারা সচেনতনতামূলক কর্মসূচিসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা সদরের কয়েকজন কওমি মাদরাসার প্রধান বলেন, গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর হেফাজতে ইসলামের প্রধান আহমদ শফীর মৃত্যুর পর জুনাইদ বাবুনগরী ও মামুনুল হক দলে বিভক্তি সৃষ্টি করে একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। দেশের প্রতিটি উপজেলায় প্রয়াত আহমদ শফীর অসংখ্য ভক্ত রয়েছেন। তাই কারও অনৈতিক কোনো কর্মসূচির সমর্থন জানিয়ে কুমিল্লায় হেফাজত কিংবা কওমি মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত হবে না।

কুমিল্লার একাধিক হেফাজত নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হেফাজতের কর্মসূচি বাস্তবায়নের নামে মানুষ হত্যা, সরকারি অফিস, গাড়ি-বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও আগুন এসবের সঙ্গে কুমিল্লার নেতাদের কেউ জড়িত নন, ভবিষ্যতেও থাকবেন না।

র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার অধিনায়ক তালুকদার নাজমুছ সাকিব বলেন, র‌্যাবের গোয়েন্দা ইউনিট কুমিল্লা অঞ্চলে হেফাজতে ইসলামের নেতিবাচক যে কোনো কর্মকাণ্ড কিংবা কর্মসূচির বিষয়ে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছে। তারা অতি গুরুত্বের সঙ্গে এসব বিষয়ে নজরদারি করছে। র‌্যাব আশা করছে, হেফাজতে ইসলাম কখনোই জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয় এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত হবে না।

সোনালীনিউজ/টিআই

Wordbridge School
Link copied!