• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যাম্পাসে লাশ ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২৭, ২০২২, ০১:০৮ পিএম
ক্যাম্পাসে লাশ ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে

ফাইল ছবি

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাসে লাশ ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণ ঠেকাতে না পেরে বিএনপি এখন সেতু উদ্বোধনের আগে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার ষড়যন্ত্র করছে।

শুক্রবার (২৭ মে) তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেলসহ মেগা প্রকল্পগুলো দেখে বিএনপি নেতাদের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে।

পলিটিক্যাল হ্যালুসিনেশনে ভুগতে থাকা বিএনপি মহাসচিব একের পর এক মিথ্যাচার করেই যাচ্ছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পদ্মা সেতু দেখে বিএনপি অন্তর জ্বালায় ভুগছে, এ সত্য স্বীকার করে নেওয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ধন্যবাদ জানান। 

বিএনপি মহাসচিব পদ্মা সেতু নিয়ে বারবার লুটপাটের কাল্পনিক অভিযোগ করে যাচ্ছেন মন্তব্য করে কাদের বলেন, এটা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিকৃত মস্তিষ্কের নতুন আবিষ্কার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শতভাগ স্বচ্ছতা নিয়েই পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির কাল্পনিক অভিযোগ বিএনপি মহাসচিব করছেন, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ দিয়ে যদি প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে মেগা প্রকল্প নিয়ে মেগা মিথ্যাচারের জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অপবাদ দিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে গিয়েছিলো, এর পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এমনটা জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে যে অভিযোগ বিশ্বব্যাংক করেছিলেন, পরবর্তীতে কানাডার আদালত পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে তা নাকচ করে বাংলাদেশকে নির্দোষ রায় দিয়েছেন। 

মন্ত্রী বলেন, তারপর বিশ্বব্যাংকই স্বীকার করছে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে গিয়ে তারা ভুল করেছে।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের সময় ছাত্রদলের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরের দিকে সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনে ছাত্রদল-ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, মারামারি ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি ব্যবহার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। সংঘর্ষের সময় হাইকোর্ট এলাকায় শোনা গেছে কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ। 

এর প্রেক্ষিতে রোববার (২৯ মে) থেকে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!