abc constructions

করোনার ‘যুগান্তকারী’ চিকিৎসা উদ্ভাবনের দাবি


নিউজ ডেস্ক জুন ১৬, ২০২১, ০৯:৪৯ পিএম
করোনার ‘যুগান্তকারী’ চিকিৎসা উদ্ভাবনের দাবি

ফাইল ছবি

ঢাকা: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জীবন রক্ষাকারী নতুন চিকিৎসার পথ খুঁজে পেয়েছেন চিকিৎসকরা।

এই চিকিৎসার নাম মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ট্রিটমেন্ট। এটি উদ্ভাবন করেছে রিজেনারন নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

এর ওষুধ করোনাভাইরাসের কোষকে ঘিরে ধরে। এর ফলে দেহের অন্য কোনো কোষে করোনাভাইরাস আর সংক্রমিত হতে পারে না এবং সংখ্যায়ও বাড়তে পারে না।

ব্রিটেনের বিভিন্ন হাসপাতালের প্রায় ১০ হাজার করোনা রোগীর ওপর এই চিকিৎসার পরীক্ষা চালানো হয়।

ব্যয়বহুল এই চিকিৎসায় রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জোরদার করার বদলে স্যালাইনের মাধ্যমে শক্তিধর অ্যান্টিবডি মানবদেহের শিরায় ঢুকিয়ে দেয়া হয় যা ভাইরাসকে পরাস্ত করতে পারে।
 
হাসপাতালের পরীক্ষায় দেখা গেছে, কোভিডে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রতি তিনজনের একজন এতে সেরে উঠেছে।

এই চিকিৎসা দিয়ে করোনায় আক্রান্ত প্রতি ১০০ জন সাধারণ রোগীর মধ্যে ছয়জনের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞরা হিসেব করে দেখেছেন।

তবে যেসব রোগীর দেহে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো যথেষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি হয় না শুধু তাদেরই এই চিকিৎসা দেয়া হয়।

এর খরচ পড়ে এক হাজার থেকে দুই হাজার ডলার।

৩৭ বছর-বয়সী কিম্বারলি ফেদারস্টোন এই চিকিৎসার মেডিকেল ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন।

তিনি বলছেন, ‘আমার ভাগ্য ভালো যে করোনা হওয়ার পর আমাকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ততদিনে এই পরীক্ষা চালু হয়ে গিয়েছিল। এবং এই যুগান্তকারী পরীক্ষাটিতে আমি অংশ নিতে পেরেছিলাম।’

এই চিকিৎসার ফলাফলে দেখা গেছে,  মৃত্যু ঝুঁকি অনেক কমেছে।  হাসপাতালে চিকিৎসার সময়, যা গড়ে চার দিন, সেই সময়ও কমে এসেছে এবং ভেন্টিলেটর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তাও কমানো সম্ভব হয়েছে।

এই চিকিৎসা পরীক্ষায় যে দু‌'জন নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের একজন হলেন স্যার মার্টিন ল্যানড্রে।
 
তিনি বলছেন, ‘দুই ধরনের অ্যান্টিবডি মিশিয়ে স্যালাইনের মাধ্যমে শিরায় প্রবেশ করানো হলে কোভিড রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনা এক-পঞ্চমাংশ কমে যায়।’

এই পরীক্ষার দ্বিতীয় প্রধান গবেষক স্যার পিটার হরবি বলছেন, অ্যান্টিবডি চিকিৎসা আসলে কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা ছিল। কারণ কোনো কোনো পরীক্ষায় দেখা গেছে, এটা খুব একটা সুফল বয়ে আনে না।

করোনা রোগীদের রক্ত থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে কোভিড চিকিৎসাতেও আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি।

কিন্তু এই নতুন চিকিৎসার রিকভারি ট্রায়ালে ল্যাবরেটরিতে তৈরি দুটি সুনির্দিষ্ট অ্যান্টিবডির মিশ্রণ রোগীর দেহে ঢোকানো হয় যেগুলো করোনাভাইরাসের কোষে আটক যায়।

স্যার পিটার বলছেন, ‘কোভিড-১৯য়ের মারাত্মক অবস্থাতেও রোগী দেহে ভাইরাসের বিরুদ্ধে যে এই চিকিৎসা কার্যকর এটা খুবই খুশির খবর।’

সূত্র : বিবিসি

সোনালীনিউজ/আইএ

Haque Milk Chocolate Digestive Biscuit
Dutch Bangla Bank Agent Banking
Wordbridge School