abc constructions

শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা


নিজস্ব প্রতিনিধি জুন ২২, ২০২১, ১১:৫৭ এএম
শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা

ফাইল ছবি

ঢাকা: শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমাকৃত অর্থের বিপরীতে যে সুদ আয় হয়, তা বিনিয়োগকারীদের মাঝে বন্টনের নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের জন্য স্টক ব্রোকারের কাছে যে অর্থ জমা দেন সেটি সমন্বিত গ্রাহক হিসাব নামে একটি আলাদা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা থাকে। জমাকৃত এ অর্থের বিপরীতে যে সুদ আয় আসে তা এতদিন ধরে স্টক ব্রোকারই ভোগ করে আসছিল। তবে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রণয়ন করা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বিধিমালা ২০২০-এ সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের সুদ আয় স্টক ব্রোকারের নয়, বরং গ্রাহককে আনুপাতিক হারে বণ্টন করার কথা বলা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার একটি নির্দেশনা জারির মাধ্যমে বিষয়টির স্পষ্টীকরণ করেছে বিএসইসি।

২০২০ সালের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বিধিমালার বিধি ৬-এর ১ উপবিধি অনুসারে, নিবন্ধিত স্টক ব্রোকারদের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে থাকা অর্থের বিপরীতে প্রাপ্ত সুদ আয় ব্যাংকের চার্জ পরিশোধের পর গ্রাহকদের মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টন করে দিতে হবে। যদি এক্ষেত্রে সুদ আয় অবণ্টিত থাকে তাহলে তা এক্সচেঞ্জের বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিলে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে স্থানান্তর করতে হবে। গতকাল জারি করা বিএসইসির নির্দেশনায় সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের সুদ আয় গণনা ও কীভাবে গ্রাহকদের মধ্যে বণ্টন করা হবে সেটি স্পষ্ট করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে বার্ষিক হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়, ব্যাংক চার্জ ও অন্যান্য বার্ষিক চার্জ মোট সুদ আয় থেকে বাদ দিয়ে নিট সুদ আয় হিসাব করতে হবে। সমন্বিত গ্রাহক হিসাব থেকে কার্যকর সুদ আয়ের হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে বার্ষিক নিট সুদ আয়কে সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের বার্ষিক ক্রেডিট ব্যালেন্সের ভারিত গড় দিয়ে ভাগ করে যা থাকবে সেটিকে ১০০ দিয়ে গুণ করতে হবে। প্রতি আর্থিক বছর শেষ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে স্টক ব্রোকারকে ক্রেডিট ব্যালেন্সের ভারিত গড়ের ভিত্তিতে কার্যকর সুদহার প্রয়োগ করে যোগ্য গ্রাহকদের মধ্যে নিট সুদ আয় বণ্টন করতে হবে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, মূলত শেয়ারবাজারে তারল্যপ্রবাহ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে জমা থাকা অর্থ জমিয়ে না রেখে বাজারে বিনিয়োগের প্রবণতা বাড়বে। এছাড়া স্টক ব্রোকার কর্তৃক গ্রাহকের অর্থ ব্যবহার করে সুদ আয় ভোগ করার প্রবণতাও বন্ধ হয়ে যাবে।

বিএসইসির নির্দেশনায় কোন শ্রেণীর গ্রাহকরা সুদ আয়ের অর্থ পাবেন, সেটি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। যদি কোনো আর্থিক বছরের ন্যূনতম এক মাস একজন গ্রাহকের হিসাবে ধারাবাহিকভাবে ১ লাখ টাকার ক্রেডিট ব্যালেন্স থাকে তাহলে তিনি সুদ আয় পাওয়ার যোগ্য হবেন। যদি কোনো গ্রাহকের হিসাবে এক আর্থিক বছরে কমপক্ষে ৫০০ টাকা সুদ আয় জমা হয় তাহলেও তিনি সুদ আয় পাবেন। প্রত্যেক স্টক ব্রোকারকে সমন্বিত গ্রাহক হিসাব পরিচালনা ও সংরক্ষণের জন্য নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি এ হিসাবে থাকা অর্থ স্থায়ী আমানত হিসাবে রাখা যাবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি।

সোনালীনিউজ/এলএ

Haque Milk Chocolate Digestive Biscuit
Dutch Bangla Bank Agent Banking
Wordbridge School