• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কুয়েতে নতুন আইন পাস, কমবে বাংলাদেশি শ্রমিক


আন্তর্জাতিক ডেস্ক অক্টোবর ২১, ২০২০, ০৯:১৭ পিএম
কুয়েতে নতুন আইন পাস, কমবে বাংলাদেশি শ্রমিক

ঢাকা: কুয়েতের পার্লামেন্টে সর্বসম্মতিক্রমে অভিবাসী শ্রমিক নিয়ে নতুন একটি আইন পাস হয়েছে। নতুন এই আইনের ফলে দেশটিতে অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা কমিয়ে আনতে দেশটির সরকারকে এক বছরের সময় দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে দেশটিতে থাকা বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ শ্রমিক বিপাকে পড়েছেন।

ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন আইনের কারণে অনেক অভিবাসী শ্রমিককেই এখন বাধ্য হয়ে কুয়েত ছেড়ে দেশে পাড়ি জমাতে হবে। বিশ্বে অভিবাসী শ্রমিকনির্ভর দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম কুয়েত। দেশটির বর্তমান জনসংখ্যা ৪৮ লাখ। গত কয়েক দশকে দেশটিতে পাড়ি জমানো দক্ষ ও অদক্ষ অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৩৪ লাখ।

কুয়েতের তেলনির্ভর অর্থনীতির গতিশীলতা ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন অভিবাসী শ্রমিকরা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তেলের দাম কমে যাওয়ায় কুয়েতের অর্থনীতিতে ধস নেমেছে।

অর্থনীতি সক্রিয় রাখতে এবং দেশে অভিবাসীদের সংখ্যায় ভারসাম্য রাখতেই নতুন আইন জারি করা হয়েছে। অভিবাসীর সংখ্যা ৩০ শতাংশে কমিয়ে আনতে চাইছে কুয়েত সরকার। এছাড়া বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে কুয়েতের জনগণই যেন বেশি সুযোগ-সুবিধা পান সে বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

কুয়েতে অভিবাসী ইস্যু অনেক পুরনো বিষয়। দেশটির আইনপ্রণেতারা সম্প্রতি অভিবাসী শ্রমিক কমানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ দিচ্ছিলেন। কোটা ব্যবস্থা চালুর পাশাপাশি সরকারি চাকরিতে কর্মরত অভিবাসীদের কুয়েতিদের দিয়ে প্রতিস্থাপনেরও দাবি তুলেছেন তারা। এমনটি হলে চাকরি হারাবেন অন্তত এক লাখ অভিবাসী।

এর আগে গত জুনে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল খালিদ আল সাবাহ বলেন, দেশে অবস্থানরত অভিবাসীর সংখ্যা ৭০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। তার ওই ঘোষণার পরই সরকার নতুন এই অভিবাসী আইন তৈরির পদক্ষেপ নেয়। প্রধানমন্ত্রী সাবাহর মতে অভিবাসীর সংখ্যা ৩০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়।

গত জুলাই মাসে কুয়েতের জাতীয় সংসদে একটি আইন পাস হয়। ওই আইন অনুযায়ী, দেশটিতে ভারতীয় অভিবাসীর সংখ্যা ১৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। অপরদিকে, মিসর, ফিলিপাইন এবং শ্রীলঙ্কার অভিবাসীর সংখ্যা ১০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। নতুন আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল এবং ভিয়েতনাম থেকে আসা অভিবাসীর সংখ্যা ৫ শতাংশের ওপরে যেতে পারবে না।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে উপসাগরীয় দেশগুলোতে থাকা লাখ লাখ অভিবাসীর জীবনের অনিশ্চয়তা নেমে এসেছে। বিভিন্ন দেশের কঠোর পদক্ষেপের কারণে কাজ হারিয়ে বাধ্য হয়ে নিজের দেশে ফিরতে আসতে হচ্ছে তাদের।

রিয়াদভিত্তিক জাদওয়া ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরতে হতে পারে ১২ লাখ অভিবাসী শ্রমিককে। শুধু সৌদি নয়, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোর চিত্রও প্রায় একই।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!