• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মালদ্বীপে ৫০ হাজার পর্যটক এসেছে ১২ দিনে


মোহাম্মদ মাহামুদুল, মালদ্বীপ জানুয়ারি ১৮, ২০২২, ০৩:১৮ পিএম
মালদ্বীপে ৫০ হাজার পর্যটক এসেছে ১২ দিনে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: পৃথিবীর অন্যতম সৌন্দর্য্যমন্ডিত দেশ ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। শান্ত ও মনোরম পরিবেশ, পুরাতন এই সমুদ্র সৈকত মালদ্বীপের প্রধান আকর্ষণ। যেখানে পানির রং নীল আর বালির রং সাদা। তীর ঘেঁষে গড়ে উঠা মালদ্বীপের সবগুলো দ্বীপের চারদিকে ঘিরে আছে সাগরের অফুরন্ত জলরাশি।

২০২২ সালের প্রথম দুই সপ্তাহে ৫০ হাজারের  এরও বেশি পর্যটক মালদ্বীপে ভ্রমণ করছেন। শ্রীলঙ্কা থেকে প্রায় ৪৫০ মাইল পশ্চম দক্ষিণে ১২০০টি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত হয় মালদ্বীপ। এর মধ্যে ২৫০টি দ্বীপ ব্যবহারযোগ্য। এতে রয়েছে ২৮টি অ্যাটোল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর গড় উচ্চতা মাত্র এক দশমিক পাঁচ মিটার। বিষুবরেখার কাছে অবস্থিত হওয়ায় মালদ্বীপ বিশ্বের সবচেয়ে নিচু দেশ হিসেবে পরিচিত। দেশটিতে মাত্র একটি ঋতু আছে। সারাবছরের গড় তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৯৮ বর্গ কিলোমিটারের শতভাগ মুসলিম দেশ, মালদ্বীপে রাষ্ট্রীয় ভাষা ধিবেহী আর মালদ্বীপীয় রুপাইয়া হলো মুদ্রার নাম।

এশিয়ার সবচেয়ে ছোট এবং দুনিয়ার সবচেয়ে নিচু দেশ মালদ্বীপ। দেশটিতে প্রতি বছর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লাখ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করতে আসে। সূর্যাস্ত যাওয়ার পর ঢেউয়ের তালে তালে জ্বল জ্বলে করতে থাকে দেশটির বালুময় সমুদ্র সৈকত। 

সমুদ্রের পানি থেকে বিচ্ছুরিত হয় অদ্ভুত আলো। সে এক অসাধারণ দৃশ্য যা দেখে চোখ বিস্ময়ে আটকে থাকে। এই জন্য অনেকের কাছেই হানিমুনের জন্য সবচেয়ে পছন্দের এই দেশ।

একমাত্র মালদ্বীপেই বিশালাকার সাবমেরিনে করে সমুদ্রের তলদেশে ঘুরে বেড়ানো যায়, পর্যটকদের প্রায় ১৮০ ফুট পর্যন্ত সমুদ্রের তলদেশে নিয়ে যায়। গভীর সমুদ্রের সৌন্দর্য্য সবাইকে বিমোহিত করে। যেখান থেকে পর্যটনরা সমুদ্রের বিভিন্ন রঙের মাছ খুব কাছ থেকে দেখতে পারবেন, শুনতে পারবেন সামুদ্রিক পাখির ডাক।

এছাড়া ও মালদ্বীপের প্রধান আকর্ষণগুলোর মধ্যে একটি হলো পানির নিচে রেস্টুরেন্ট যা সমুদ্রের ৬ মিটার গভীরে স্বচ্ছ গ্লাস দিয়ে নির্মিত। এ রেস্টুরেন্টে একসাথে ১০/১২ জন অতিথি বসা যায়। বাহারী রংঙ্গের সুস্বাদু খাবার খাওয়ার পাশাপাশি স্বচ্ছ কাঁচ দিয়ে দেখতে পাবেন বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় সামুদ্রিক মাছ।

দেশটির মাথাপিছু আয় হলো ৯ হাজার ১২৬ ডলার যাহা সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মালদ্বীপের মাথাপিছু আয় সবচেয়ে বেশি। আদিমকাল থেকেই সামুদ্রিক মাছ হচ্ছে দেশটির অর্থনীতির মূলভিত্তি। মালদ্বীপ টুনা পিস জন্য বিখ্যাত। তবে বর্তমানে দেশটির বড় শিল্প হলো পর্যটন। বৈদেশিক আয়ের প্রায় ৭০ শতাংশই আসে পর্যটন থেকে।

 বর্তমানে দেশটির জিডিপির প্রবৃদ্ধি হার গড়ে ৮ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি। ১৯৬৫ সালের ২৬ জুলাই মালদ্বীপ ব্রিটিশদের কাছ থেকে পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে এবং ১৯৬৮ সালে ‘সালাতানাতে মালদ্বীপ’ থেকে ‘রিপাবলিক মালদ্বীপে’ পরিণত হয়।

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট  অফিস থেকে  প্রকাশিত সরকারী পরিসংখ্যান দেখা যায় যে জানুয়ারী ১  থেকে ১২  জানুয়ারির মধ্যে ৫৫০৫৫ জন পর্যটক মালদ্বীপে ভ্রমণ করতে এসেছেন ।

 যদিও এখনো  সরকারী ভাবে তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি, বর্তমান প্রবণতার উপর ভিত্তি করে, আশা করা হচ্ছে যে আগমনের সংখ্যা অতিক্রম করবে। বর্তমান সময়ের জন্য গড় দৈনিক আগমন সংখ্যা  ৪ হাজার ৫৮৮ এবং গড় অবস্থান নয় দিন দীর্ঘ। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুসারে।  ২০২২ সালের শুরু থেকে ১১ হাজারের এরও বেশি পর্যটক রাশিয়া থেকে ভ্রমণ  করেছেন মালদ্বীপে।

গত বছর মালদ্বীপে ১.৩ মিলিয়নেরও বেশি পর্যটক এবং তার আগের বছর ৫৫৫৪৯৪ পর্যটক ভ্রমণ করেছিলেন মালদ্বীপে। ২০১৯ সালে করোনা মহামারীর আগে ১.৭ মিলিয়ন পর্যটক মালদ্বীপে ভ্রমণ করছেন।

সোনালীনিউজ/এমএম/এসআই

Wordbridge School
Link copied!