• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

তারেক জিয়াকে খালাস দেওয়া বিচারক মালয়েশিয়ায়


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১৪, ২০২২, ০৫:১৫ পিএম
তারেক জিয়াকে খালাস দেওয়া বিচারক মালয়েশিয়ায়

তারেক জিয়া ও মো. মোতাহার হোসেন। ফাইল ছবি

ঢাকা : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকে অর্থ পাচার মামলায় বেকসুর খালাসের রায় দিয়ে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান বিচারক মো. মোতাহার হোসেন। আট বছর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলেও অজানা কারণে তা এখনো থমকে রয়েছে।

জানা গেছে, সাবেক বিচারক মোতাহার দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় বসে দেশে-বিদেশে থাকা পরিচিতজনসহ অন্যদের আইনি পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ‘অবৈধভাবে বিদেশে অর্থ পাচার’-সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক জিয়াকে বেকসুর খালাস দেন বিচারক মোতাহার হোসেন। একই সাথে তারেকের বন্ধু বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে অর্থদণ্ডসহ সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন তিনি। রায় নিয়ে সে সময় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল।

একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর তিনি অবসর গ্রহণ করেন। এরপর ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি গোপনে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন ওই বিচারক।

অবসরে যাওয়ার আগে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে তারেক জিয়ার মামলার রায় দেওয়া হয়েছে মর্মে বিচারক মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসে দুদকের কাছে। অভিযোগের পর প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

সে সময় দুদক থেকে জানানো হয়েছিল, একজন বিশেষ জজ হিসেবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তার আয়ের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচার, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও ঘুষ নিয়ে আসামিদের খালাস দেওয়ার অভিযোগ কমিশনের প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া যায়।

মোতাহারের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান সে সময়ে দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে অনুসন্ধান শুরুর পরপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোতাহারকে দুদকে তলব করা হয়েছিল। তার বিদেশ ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল দুদক।

এর আগেই মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান মোতাহার হোসেন। পরে দুদকের ওই তদন্তকারী কর্মকর্তাও অবসরে যান। এরপর আর ওই বিচারকের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের কার্যক্রম আর আগায়নি।

এ বিষয়ে দুদকের সদস্য (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘এটা অনেক দিন আগের বিষয়। ফাইল না দেখে বলা যাবে না।’

দুদক সচিব মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।’

জানা গেছে, মোতাহার হোসেন ও তার ছেলে বর্তমান শরণার্থী কার্ড নিয়ে মালয়েশিয়ায় শাহ আলম শহরে অবস্থান করছেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ক্রিমিনাল ও সিভিল মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আইনি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!