• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পিডিবির সিবিএ নেতার হাতে যেন আলাদিনের চেরাগ


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২০, ২০২১, ১১:৫২ এএম
পিডিবির সিবিএ নেতার হাতে যেন আলাদিনের চেরাগ

ঢাকা : শ্রমিক-কর্মচারিদের নেতা আলাউদ্দিন মিয়ার হাতে যেন রয়েছে আলাদিনের চোরাগ। অবসরে যাবার পরও তাকে সুযোগ-সুবিধা দেয়ার বেলায় যেনো উদারহস্ত বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। কি তার শক্তির উৎস জাতি জানতে বলে দাবি করেন মানববন্ধনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ। 

বুধবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “পিডিবির সিবিএ’র শীর্ষ নেতা মো. আলাউদ্দিন মিয়ার গংদের অবৈধ ক্ষতার ও দাপটের উৎস জাতি জানতে চায়”-শীর্ষক বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি আয়োজিত মানববন্ধনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসার সভাপতিত্বে সংহতিপ্রকাশ করেন, ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, এনডিপির ভাইস চেয়ারম্যান রাজ আহমেদ, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির মিজানুর রহমান মিনু, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি মোস্তাক ভাসানী, বাবু স্বপন কুমার সাহা, আন্তর্জাতিক প্রাবাসী মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এইচ এম মনিরুজ্জামান, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির মহাসচিব এড. সাইফুল ইসলাম সেকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আল আমিন সহ প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাঁরা প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠানের দুটি গাড়ি প্রায় একযুগ ধরে ব্যবহার করেছেন। এর চালকের বেতন, তেল ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বহন করেছে তাদের প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে সরকারের কোটি টাকারও বেশি ক্ষতিসাধন পূর্বক আত্মসাৎ করেছেন আলাউদ্দিন গংরা। এই অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা করলেও অদৃশ্য কারণে তারা এখনও ধরা ছোয়ার বাইরে। 

বক্তারা আরও বলেন, সিবিএ’র এই নেতার সম্পদের অনুসন্ধানও করছে দুদক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক দিন ধরে সিবিএর নেতৃত্বে থেকে বোর্ড প্রশাসনের ওপর খবরদারি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন। আবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দেশে এখন শুধু ‘উল্টে পাল্টে দে মা, লুটেপুটে খাই’ অবস্থা চলছে পিডিবিতে। লুটপাটের কারণে বিদ্যুৎ সেক্টরে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। দুর্নীতিবাজদের লুটের অর্থ যোগাতে বার বার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করে জনগণকে ভোগান্তি ফেলা হয়। সিবিএ নেতা নামধারি আলাউদ্দিন মিয়ার মত লুটেরাদের লুটপাট আর দুর্নীতির দায় কেন বহন করবে জনগণ।

ভর্তুকির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের টাকা এভাবে তুলে দেয়া হচ্ছে লুটেরাদের হাতে। কয়েকদফায় এর মাশুল দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। একবার করের টাকা দিয়ে অপ্রয়োজনীয় ভর্তুকির মাধ্যমে, আরেকবার ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের মূল্য পরিশোধে বাধ্য হয়ে। ভর্তুকির এই অর্থ অন্য কোনো জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয়িত হতে যে পারছে না, সেটাও আরেক ক্ষতি। অনিয়ম ও দুর্নীতির ভারে আক্রান্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!