• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভারি বর্ষণে নাগরিক দুর্ভোগ চরমে


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২৩, ২০২১, ০১:৪৭ এএম
ভারি বর্ষণে নাগরিক দুর্ভোগ চরমে

ঢাকা : থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। জলাবদ্ধতায় কোথাও কোথাও সড়কে হাঁটু পানি দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (২২ জুন) ভোর থেকে এ ভারি বর্ষণ চলে। এতে তলিয়ে যায় পথঘাট ও অলিগলি। অফিসগামী যাত্রীদের পাশাপাশি জরুরি কাজে বের হওয়া নাগরিকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

অনেক স্থানে দোকানপাট এবং বাসাবাড়িতেও পানি প্রবেশ করে। সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন মানুষ। রাজধানীর পুরান ঢাকা, সায়েদাবাদ, মিরপুর, বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা গেছে। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের জনপদ মোড়ের দিকে হাঁটুপানি জমেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। ভোরে ভারি বর্ষণে মিরপুর-১০ নম্বর সেকশন, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ার প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বেলা গড়াতে জলাবদ্ধতা কমলেও খানাখন্দে ভরা বেগম রোকেয়া সরণিতে চরম দুর্ভোগে পড়েন অফিসগামী যাত্রীরা।

কাজীপাড়ার বাসিন্দা শওকত আলী বলেন, বৃষ্টি একদিন হলে দুর্ভোগ সাতদিন পোহাতে হয় আমাদের। খানাখন্দে পানি জমে থাকায় প্রায়ই আমাদের কাপড়-চোপড় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মেট্রোরেলের লাইন নির্মাণ কাজের কারণে এই দুর্ভোগ অনেকটা বেড়েছে বলেও জানান তিনি।

পুরান ঢাকার বংশাল, সূত্রাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। গুলিস্তান এলাকা ছাড়াও বঙ্গভবন এলাকার পাশের সড়কে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা দেখা যায়। এতে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

বংশাল এলাকার তরিকুল হাসান বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই বংশাল এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে যায়। এতে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এলাকার ড্রেনগুলোতে ময়লা আবর্জনা পড়ে প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।  

এছাড়া মগবাজারের মালিবাগ এলাকা এবং শাহজাহানপুরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। বৃষ্টিতে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।  

রাজধানীর পূর্ব বাড্ডার বাসিন্দা ইমতিয়াজ হাসান বলেন, ‘বাসার সামনে হাঁটু সমান পানি। সেই পানি ডিঙ্গিয়ে উত্তরার অফিসে আসতে হয়েছে। সকাল ৭টার দিকে বেরিয়েছিলাম। রাস্তায় বাসও কম ছিল আজ।’

রামপুরার উলন রোডের বাসিন্দা সাব্বির হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টির পানিতে সাতরাস্তা-তিব্বত রোড পানিতে ডুবেছিল। অফিসে আসতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, গত সোমবার দুপুর ১২টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীতে ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এসময়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে হাতিয়ায়। নোয়াখালীর এ উপজেলায় ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

গতকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামোটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

এর প্রভাবে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!