• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মোহম্মদপুরের কিশোর গ্যাং বিডিএসকের ৮ জন গ্রেপ্তার 


নিজস্ব প্রতিবেদক  জানুয়ারি ২৯, ২০২৩, ০১:০৭ পিএম
মোহম্মদপুরের কিশোর গ্যাং বিডিএসকের ৮ জন গ্রেপ্তার 

ফাইল ফটো

ঢাকা: সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে মোহাম্মদপুরের কিশোর গ্যাং বিডিএসকের প্রধানসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্রও জব্দ করা হয়।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর, রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ স্টেশন, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ‘বিডিএসকে’ গ্রুপের লিডার শ্রীনাথ মন্ডল ওরফে হৃদয় ওরফে হিটার হৃদয় (২২), মো. রবিন ইসলাম ওরফব এসএমসি রবিন (২০), মো. রাসেল ওরফে কালো রাসেল (২৫), মো. আলামিন ওরফে ডিশ আলামিন (২১), মো. লোমান ওরফব ঘাড় ত্যাড়া লোমান (২১), মো. আশিক ওরফব হিরো আশিক (১৯), মো. জোবায়ের ইসলাম ওরফে চিকনা জোবায়ের (১৯) ও মো. সুমন ওরফে বাইট্টা সুমনকে (২০) গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যমতে মোহাম্মদপুরে তাদের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি চাপাতি, একটি রামদা, একটি চাইনিজ কুড়াল, চারটি চাকু (বড় ও ছোট), দুইটি হাঁসুয়া, একটি কাঁচি এবং একটি লোহার রড উদ্ধার করা হয়।

মইন বলেন, বিডিএসকে গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য। দুই তিন বছর ধরে বিভিন্ন অপরাধ করে আসছিলো। তারা বেশ কয়েকটি গ্রুপ করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতো। মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাঁধ এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং ও বিভিন্ন লোকের অবৈধ কার্যক্রম চরিতার্থ করতো।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক জানান, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা ‘বিডিএসকে (ব্রেভ ডেঞ্জার স্ট্রং কিং)’ গ্যাং এর সক্রিয় সদস্য। তাদের গ্রুপে প্রায় ২০/২৫ জন সদস্য রয়েছে। ওই দলের গ্যাং লিডার হৃদয় ওরফে হিটার হৃদয়ের নেতৃত্বে ২/৩ বছর আগে গ্যাংটি গঠন করা হয়। এই গ্রুপের সদস্যরা আগে সবুজ বাংলা গ্রুপ, টপ টেন গ্রুপ এবং ভাই বন্ধু গ্রুপের অন্তর্ভূক্ত ছিল। গ্রেফতারকৃতরা মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাঁধ ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় চুরি-ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। তারা বিভিন্ন সময় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা উদ্যান, আদাবর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় মারামারিসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। 

খন্দকার আল মঈন আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা ওইসব এলাকায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তির স্বার্থ হাসিলের জন্য ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবেও কাজ করতো। এছাড়াও তারা মাদক সেবনসহ বর্ণিত এলাকাসমূহে মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত ছিল। এই গ্যাংয়ের সদস্যরা রাস্তাঘাটে ইভটিজিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রীতিকর ভিডিও শেয়ারসহ বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কার্যক্রমের সঙ্গেও জড়িত। 

এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামিরা ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য দেয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের অধিকাংশের নামে মাদক, চুরি-ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মারামারিসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মোহম্মদপুর এলাকায় বিভিন্ন সময় যারা অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এই গ্রুপকে টাকা দিয়েছে তাদেরও একটি তালিকা করা হচ্ছে। এদের বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে র‌্যাব। 

 

সোনালীনিউজ/এলআই/এম

Wordbridge School
Link copied!