• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

গার্মেন্টস রপ্তানি পণ্য চোর চক্রের প্রধানসহ চারজন গ্রেপ্তার 


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩, ০১:২৪ পিএম
গার্মেন্টস রপ্তানি পণ্য চোর চক্রের প্রধানসহ চারজন গ্রেপ্তার 

ঢাকা: বিদেশে রপ্তানির জন্য গার্মেন্টস থেকে বের হয়ে বন্দরে পৌঁছানোর মধ্যে ডেমরায় একটি স্থানে গার্মেন্টসের পণ্য চুরি করে একটি চক্র। গত দেড় যুগ ধরে চক্রটি এই কার্যক্রম করে আসছিলো।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন, সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চক্রের মূল হোতা ১. শাহেদ, ২. মো. ইমারত হোসেন সজল, ৩. শাহজাহান, ৪. মো. হৃদয়। এছাড়াও চক্রে আরো অন্তত ৫০ জন সদস্য আছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

খন্দকার মঈন বলেন, গ্রেপ্তার শাহেদের বিরুদ্ধে ১৫ থেকে ১৭টি মামলা আছে। গ্রেপ্তার আরো তিনজনের বিরুদ্ধেও বেশ কয়েকটি করে মামলা আছে। এত মামলা নিয়েও তারা বার বার বের হয়ে আসে এবং একই কাজ করতে থাকে। শাহেদের বিরুদ্ধে বর্তমানে ছয়টি মামলা চলমান আছে বলে জানিয়েছে। আরো কিছু মামলা আছে কি না সেটা ক্ষতিয়ে দেখতে হবে।

জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা গেছে, এই চক্রটি অন্তত ১৫ লাখ টাকা আয় না হলে কোনো চালান চুরি করে না। একটি চালান থেকে ১৫ লাখ টাকা আয় হতেই হবে। হয়তো একটা চালানে কয়েকটি কাভার্ডভ্যান থাকতে পারে। সব কাভার্ড ভ্যানকেই তারা গোডাউনে নিয়ে যায় এবং চুরি করে। যেহেতু চোরদের দল অনেক বড় তাই অল্প লাভ হওয়া চালানে তারা হাত দেয় না।

র‌্যাব জানায়, ডেমরায় চোরদের গোডাউন আছে। সেখানে কাভার্ডভ্যানগুলোকে নেয়া হয়। কাভার্ডভানগুলো থেকে পণ্য নামানো হয়। চোরদের কাছে সব ধরনের কার্টুন ও কসটেপ আছে। যে গার্মেন্টস যেই ধারনের কসটেপ ও প্যাকেট ব্যবহার করে ঠিক সেগুলোই চোররা বক্সগুলোতে চুরি করার পর ব্যবহার করে। এতে কার্টুন বা বক্স না খোলা পর্যন্ত কেউ ধরতে পারতে না এগুলতো চুরি হয়েছে।

ব্রাজিলে পাঠানো পণ্য চুরির ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ঘটনায় কিছুটা ঝামেলা হয়। সেদিন তাদের অনেক কাজ থাকায় প্রতিটি কার্টুন থেকে ৩০/৪০ পার্সেন্ট না, পুরোটাই খালি করে ফেলে। এতে পণ্য চুরির বিষয়টি সবার সামনে আসে। ব্রাজিলে পণ্য যাওয়ার পর তারা পণ্য না পেয়ে জরিমানা করে বাংলাদেশের গার্মেন্টসকে। এতে দেশের ক্ষতি হয়েছে।

মঈন বলেন, শাহেদ এক সময় চক্রের নিচের দিকের সদস্য হলে এখন সে নেতৃত্ব দেয়। দেশের কোথাও পণ্য চুরি হলে অটোমেটিক তার কাছে ভাগের টাকা চলে আসতো। তিনি অডেল টাকার মালিক। ছেলে ও মেয়ে বিদেশে থেকে পড়াশুনা করে। গ্রামে বিশাল অট্টালিকা তৈরি করেছে। শাহেদের এত জনপ্রিয়তার কারণ, সে সবাইকে দিয়ে চলতো। সবাইকে ভাগ দিতো।

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!