• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

রাসুল (সা.) মদিনায় হিজরতের যাত্রাপথ পুনরুদ্ধার


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জানুয়ারি ২৬, ২০২২, ০৯:০২ পিএম
রাসুল (সা.) মদিনায় হিজরতের যাত্রাপথ পুনরুদ্ধার

ঢাকা: মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) ও তার সাহাবিদের মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের যাত্রাপথ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। রাসুল (সা.) ও তার সাহাবিগণ ৬২২ সালে পবিত্র মক্কা নগরী থেকে পবিত্র মদিনায় হিজরত করেন। হিজরতের ১ হাজার ৪০০ বছর পরে মক্কা থেকে উত্তরে অবস্থিত ইয়াসরিব (পরবর্তী সময়ে মদিনা) শহরের যাত্রাপথটি অবশেষে পুনরুদ্ধার করা হলো।

‘রিহলাত মুহাজির’নামের একটি সংগঠন জানায়, নবীর হিজরতের পথ নথিভুক্ত করার উদ্যোগের প্রথম পর্যায় সম্পন্ন হয়েছে। নবীর জীবনী বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের একটি দল কাজ করছে মক্কায় জাবাল থাওর সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনের, যা পর্যটকদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ ও বিস্তৃত করবে। এতে যুক্ত ছিল জাতীয় জাদুঘর, সাংস্কৃতিক প্রকল্প নিয়ে কাজ করা সংস্থা সাময়া ইনভেস্টমেন্ট।

সংস্থার সিইও ফাওয়াজ আল-মেরহেজ বলেন, ‘মুহাজির’ উদ্যোগটি ডকুমেন্টেশন ও প্যানোরমিক ফটোগ্রাফি ৩৬০-এ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নবীর দেশত্যাগের পথকে নথিভুক্ত করছে।

তিনি বলেন, প্রথম ধাপে, যা গত বছরের ২০ ডিসেম্বর চালু করা হয়েছিল, দলটি মক্কার থাওর পর্বতের গুহা থেকে শুরু করে ৪০টি স্টেশনের মধ্য দিয়ে গিয়ে নবীর হিজরতের পথের সন্ধান করেছিল, যা মদিনার কুবা মসজিদে যাওয়ার পথ পর্যন্ত বিস্তৃত।

তিনি বলেন, জাবালে থাওর সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নবীর হিজরতের কাহিনি কীভাবে উপস্থাপন করা যায়, তা বিবেচনা করার সময় রুটটি নথিভুক্ত করার ধারণাটি আসে। পথের ডকুমেন্টেশন মূলত প্যানারোমিক ফটোগ্রাফি ৩৬০ ডিগ্রি দ্বারা করা হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে ড্রোন ব্যবহার করে নবীর মাইগ্রেশন ডিজিটালভাবে নথিভুক্ত করা হয়।

ফাওয়াজ আল-মেরহেজ আরও বলেন, এবড়োখেবড়ো রাস্তা এবং কিছু ঐতিহাসিক স্থানের নাম সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় তারা এই যাত্রাপথ পুনরুদ্ধারে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন।

মক্কার উম্ম আল-কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও ইসলামিক সভ্যতা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ বিন সামিল আল-সালামি এবং অধ্যাপক সাদ বিন মুসা আল-মুসাসহ ইসলামি ইতিহাস ও নবীর জীবনীতে বিশেষ কিছু জ্ঞানী এই তদন্তে সহায়তা করেছেন এবং রিয়াদের ইমাম মোহাম্মদ ইবনে সৌদ ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের অধ্যাপক সুলাইমান বিন আবদুল্লাহ আল-সুওয়াইকেত এবং অধ্যাপক আবদুল আজিজ বিন ইব্রাহিম আল-ওমারি, যারা এটলাস বায়োগ্রাফির বৈজ্ঞানিক কমিটিরও সদস্য, তারা মদিনার ল্যান্ডমার্ক ও নবীর জীবনীতে বিশেষত্ব এই কাজে প্রকল্পের কিছু পর্যায়েও অংশ নিয়েছিলেন।

সূত্র: আরব নিউজ

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!