• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদের নামাজের ফজিলত


নিউজ ডেস্ক মে ২, ২০২২, ১০:৩৩ পিএম
ঈদের নামাজের ফজিলত

প্রতীকী ছবি

ঢাকা : ঈদ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় আনন্দের উৎসব। ঈদের দিন বিশেষ নামাজ পড়া হয়। এটা ইসলামের নিয়ম ও বিধান। এর বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে বিপুল সওয়াবে ভূষিত করেন।

বলার অপেক্ষা রাখে না, যে ব্যক্তিই আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান আনবে ও নেক আমল করবে আল্লাহ্‌ তাদের প্রত্যেককে দুনিয়া ও আখিরাতে অফুরন্ত সওয়াব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আল্লাহ্ তাআলা বলেন, ‘মুমিন হয়ে নর ও নারী যে কেউ সৎ কাজ করবে, অবশ্যই আমরা তাকে পবিত্র জীবন দান করব। আর অবশ্যই আমরা তাদেরকে তারা যে আমল করত তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিফল দেব। (সুরা নাহল, আয়াত : ৯৭)

অনুরূপভাবে রাসুল (সা.)-ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, প্রত্যেক যে ব্যক্তি তার আনুগত্য করবে; তাকে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। সেটা তার ভাষায় এভাবে, ‘যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭২৮০)

ঈদের নামাজের ফজিলত : আল্লাহ্ তাআলা বলেন, ‘অবশ্যই সে ব্যক্তি সফলকাম হলো- যে পরিশুদ্ধ হয়েছে, তার প্রতিপালকের নামকে স্মরণ করেছে এবং সালাত আদায় করেছে।’ (সুরা আ’লা, আয়াত : ১৪-১৫)

এর মধ্যে যে কল্যাণের সুসংবাদ রয়েছে সেটা ঈদুল ফিতরের নামাজকেও অন্তর্ভুক্ত করবে। শাইখ আবদুর রহমান সা'দী (রহ.) বলেন, ‘অবশ্যই সফলকাম ও লাভবান হলো সে ব্যক্তি; যে নিজেকে শির্ক, জুলুম ও দুশ্চরিত্র থেকে পবিত্র করেছে। আর যারা এখানে ‘তাযাক্কা’ করেছেন ‘ফিতরা পরিশোধ করা’ এবং ‘ঈদের নামাজ’ আদায় করেছেন। এ অর্থ আয়াতের ভাষ্য ও ভাষ্য-খণ্ডের আওতাধীন হলেও কেবল এটাই আয়াতের ভাব এমনটি নয়।’ (তাফসিরে সা’দি, পৃষ্ঠা : ৯২১)

ঈদুল আজহার নামাজের ফজিলত : আর ঈদুল আজহার নামাজ জিলহজ্জ মাসের দশদিনের একদিনের মধ্যে পড়ে। যে দিনগুলো মহিমান্বিত দিন। বরং বছরের সবচেয়ে উত্তম দিনগুলো। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি নবী (সা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, ‘অন্য যে কোনো সময়ের নেক আমলের চেয়ে আল্লাহর কাছে এ দিনগুলোর নেক আমল অধিক প্রিয়। তারা (সাহাবিরা) বলেন, আল্লাহর পথে জিহাদও নয়!! তিনি বলেন, আল্লাহর পথে জিহাদও নয়; তবে কোন লোক যদি তার জানমাল নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে এবং কোনো কিছু নিয়ে ফেরত না আসে সেটা ভিন্ন কথা।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৯৬৯)

আবদুল্লাহ বিন কুরত (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি নবী (সা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে মহান দিন হচ্ছে— কোরবানির দিন। এর পরে হচ্ছে— স্থিতিশীলতার দিন। সেটি হচ্ছে দ্বিতীয় দিন।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১৭৬৫)

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!