• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শিরক থেকে বেঁচে থাকার দোয়া


ধর্ম ডেস্ক অক্টোবর ১৯, ২০২২, ০১:১৯ পিএম
শিরক থেকে বেঁচে থাকার দোয়া

ঢাকা : মানুষের সবচেয়ে বড় জঘন্য অপরাধ শিরক। এটি কবিরা গুনাহ। তাওবাহ ছাড়া আল্লাহ তাআলা শিরকের গুনাহ ক্ষমা করবেন না। কোরআনুল কারিমের শিরককে সবচেয়ে বড় জুলুম বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

হজরত লুকমান তার ছেলেকে শিরক করা থেকে বিরত থাকার নসিহত দেওয়ার সময় এ কথা বলেন। কোরআনুল কারিমে এসেছে-
وَإِذْ قَالَ لُقْمَانُ لِابْنِهِ وَهُوَ يَعِظُهُ يَا بُنَيَّ لَا تُشْرِكْ بِاللَّهِ إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ

অর্থ: ‘যখন লোকমান উপদেশচ্ছলে তার পুত্রকে বলল- হে ছেলে! আল্লাহর সঙ্গে শরিক করো না। নিশ্চয় আল্লাহর সঙ্গে (কাউকে) শরিক করা মহা জুলুম।’ (সূরা লোকমান : ১৩)

কোরআনুল কারিমের অনেক জায়গায় শিরক না করার ব্যাপারে নির্দেশনা রয়েছে। এ শিরক হচ্ছে মহান আল্লাহ তাআলার প্রতি বড় অত্যাচার।

আল্লাহর সঙ্গে সব ধরনের ছোট-বড় জানা-অজানা শিরক থেকে বেঁচে থাকতে তাঁরই কাছে আশ্রয় কামনার দোয়া শিখিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাহলো-
اَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ اَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَ اَنَا أَعْلَمُ وَ اَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَا أَعْلَمُ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা আন উশরিকা বিকা ওয়া আনা আলামু ওয়া আসতাগফিরুকা লিমা লা আলামু।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমার জানা অবস্থায় তোমার সঙ্গে শিরক করা হতে তোমারই কাছে আশ্রয় চাই এবং আর অজানা অবস্থায়ও তোমার সঙ্গে শিরক হয়ে গেলে তার জন্য ক্ষমা চাই।’ (আহমাদ ৪/৪০৩, নম্বর ১৯৬০৬; ইমাম বুখারির আল-আদাবুল মুফরাদ, নম্বর ৭১৬। আরো দেখুন, সহিহ আল জামে ৩/২৩৩; সহিহুত তারগীব ওয়াত তারহীব লিল আলবানী, ১/১৯)।

মুমিন মুসলমানের উচিত, সব সময় আল্লাহর কাছে হাদিসে ঘোষিত এ দোয়া করা। যাতে জানা-অজানা উভয় অবস্থায় শিরক থেকে বাঁচা যায়। কোনো কারণে যদি ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় শিরক হয়েও যায়; তাতেও যেন ক্ষমা পাওয়া যায়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় শিরকের ভয়াবহ গোনাহ থেকে মুক্ত রাখুন। হাদিসের ওপর আমল করে উল্লেখিত দোয়াটির ওপর বেশি বেশি আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!