• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

৯টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১, ১০:৪৪ এএম
৯টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

ঢাকা: দেশের নয়টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- আলেশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, আলাদিনের প্রদীপ, বুম বুম, আদিয়ান মার্ট, সিরাজগঞ্জ শপ, কিউকুম, নিড ডটকম ডটবিডি। এসব প্রতিষ্ঠানের সর্বশেষ আর্থিক অবস্থা, মোট দায় এবং প্রতিষ্ঠানের চলতি ও স্থায়ী মূলধনের তদন্ত করা হচ্ছে। 

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক এসব প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা প্রতিবেদন চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে মন্ত্রণালয়। এর বাইরে আরও কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের ওপর নজর রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এবিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং ই-কমার্স সেলের প্রধান মো. হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মানুষকে সচেতন করতে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন দিলে সেখানে নিচে একটি সতর্কবাণী লেখা বাধ্যতামূলক থাকবে। সেটি হচ্ছে অনলাইনে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে প্রতারণা থেকে সাবধান। এটি নিশ্চিত করতে তথ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৯টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কোম্পানিগুলোর আয়-ব্যয়, দায় ও সম্পদের পরিমাণ তদন্ত করা হবে।

এদিকে প্রতারণা ঠেকাতে ই-কমার্সের বিজ্ঞাপনের নিচে ‘অনলাইনে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রতারণা থেকে সাবধান’-এমন সর্তকবাণী লিপিবদ্ধ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এটি নিশ্চিত করতে তথ্য মন্ত্রণালয়কে বৃহস্পতিবার চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া বিদ্যমান মানি লন্ডারিং আইনে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে বিদ্যমান আইনের সংশোধনীর কাজ শুরু করেছে।

এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল গণবিজ্ঞপ্তি দি‌য়ে ক্রেতা ও বি‌ক্রেতা‌দের সতর্ক ক‌রে‌ছে।

এতে বলা হয়েছে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই শহরের ভেতরে অগ্রিম অর্থ নেওয়ার ৫ দিনের ম‌ধ্যে ক্রেতাদের কাছে পণ্য ডেলিভারি দিতে হবে। আর ভিন্ন শহর বা গ্রামের ক্ষেত্রে পণ্য সরবরাহে সময় পা‌বে ১০ দিন।

সূত্রমতে, বর্তমান দেশে অন্তত এক হাজার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর কোনোটিরই নিবন্ধন নেই। অনেক ই-কমার্স চলছে পুরোপুরি নিজস্ব নীতিতে। মন্ত্রণালয়ের দাবি, গত ৪ জুলাই ই-কমার্স নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এরপর থেকে এ খাতে নৈরাজ্য ধীরে ধীরে কমছে। এর উদাহরণ তুলে ধরে বলা হয়, নীতিমালা প্রণয়নের আগে ইভ্যালিতে ৬ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আর নীতিমালা প্রণয়নের ৪ মাসে সেখানে লেনদেন হয়েছে ৪শ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২শ কোটি টাকা পণ্য ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। অন্য কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা অনেকটা ফিরে আসছে।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!