• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘আকাশে বহমান গঙ্গা নদী’র খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা


নিউজ ডেস্ক নভেম্বর ২৯, ২০২১, ০৮:০৯ পিএম
‘আকাশে বহমান গঙ্গা নদী’র খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা

মিল্কি ওয়ের মাঝখানে পালক সদৃশ অংশটি ছয় হাজার থেকে ১৩ হাজার আলোকবর্ষ দূরের দুটি অংশকে যুক্ত করেছে। ছবি: সায়েন্স নিউজ

ঢাকা: মনুষ্যজাতির গ্রহ এ পৃথিবীকে ঘিরে থাকা সৌর জগৎ যে ছায়াপথটির সদস্য, সেই মিল্কি ওয়ের প্রথম পরিচিত ‘পালক’ খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গ্যাসে পরিপূর্ণ সেতুর মতো এই অংশটির মাধ্যমে বৃত্তাকার প্যাঁচবহুল ছায়াপথটির দুটি অংশ দৃশ্যত এক হয়েছে।

বিজ্ঞানীদের মতে, মিল্কি ওয়ের উপরিভাগের এই অংশটি দেখতে পাখির পালকের মতো। কেন্দ্র থেকে নির্গত ঠাণ্ডা ও ঘন গ্যাসের লম্বা আস্তর এ অংশটি ছায়াপথের দুটি প্রান্তের মধ্যে সংযোগ তৈরি করেছে।

সায়েন্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মাসে বিজ্ঞান সাময়িকী অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে মূল গবেষণা প্রতিবেদনটি ছাপা হয়েছে। মিল্কি ওয়েতে এবারই প্রথম এ ধরনের কোনো কাঠামো শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা।

মানবজাতির ধারক এ ছায়াপথে পালক সদৃশ অংশটি আবিষ্কারের পর একে ‘গঙ্গোত্রী তরঙ্গ’ নাম দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ভারতের দীর্ঘতম গঙ্গা নদীর উৎস যে হিমবাহ, সেটির নামে এ নামকরণ করা হয়েছে।

জার্মানির কোলোনে ইউনিভার্সিটির অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট বীণা ভি.এস. জানান, হিন্দিসহ ভারতে প্রচলিত আরও কিছু ভাষায় মিল্কি ওয়েকে বলা হয় ‘আকাশ গঙ্গা’, যার অর্থ হলো ‘আকাশে বহমান গঙ্গা নদী’।

বীণা ভি.এস. ও তার সহকর্মীরা গঙ্গোত্রী তরঙ্গের আবিষ্কারক। চিলির স্যান পেদ্রো ডি আতাকামায় অবস্থিত অ্যাপেক্স টেলিস্কোপের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন তারা। ঘন ও সহজে শনাক্তযোগ্য বলে শীতল কার্বন মনোঅক্সাইডের খোঁজ করছিলেন তারা, পেয়ে গিয়েছেন গঙ্গোত্রী তরঙ্গের সন্ধান।

বিজ্ঞানীদের ভাষ্যমতে, এই কাঠামোটি মিল্কি ওয়ের ছয় হাজার থেকে ১৩ হাজার আলোকবর্ষ দূরের দুটি অংশকে যুক্ত করেছে। কার্বন মনোঅক্সাইড ছাড়াও এ অংশকে ঘিরে রয়েছে আরও অনেক ধরনের গ্যাস।

ছায়াপথের গঙ্গোত্রী তরঙ্গ অঞ্চলের আরেকটি ভিন্নধর্মী বৈশিষ্ট্য হলো ঢেউয়ের সঙ্গে সাদৃশ্য। হাজারো আলোকবর্ষ দীর্ঘ অংশটিতে সারাক্ষণই ঢেউ খেলে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন বিজ্ঞানীরা, যদিও এর কারণ অস্পষ্ট।

বিজ্ঞানীদের মতে, মিল্কি ওয়ের মতো অন্য ছায়াপথগুলোতেও গ্যাসে পূর্ণ অংশ আছে। কিন্তু মিল্কি ওয়ের ভেতরে থেকে এই ছায়াপথটির মানচিত্র তৈরি করা খুব কঠিন।

তবে ধীরে ধীরে মিল্কি ওয়ের ভেতরে এমন পালক সদৃশ আরও অনেক কাঠামো ও ছায়াপথের অংশ আবিষ্কার হবে বলে মনে করেন তারা। একটি একটি করে অদূর ভবিষ্যতে হয়তো পুরো ছায়াপথটির মানচিত্র এঁকে ফেলাও সম্ভব হবে।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!