• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রমজানে দুধে ভেজাল রুখতে বিশেষ অভিযানের উদ্যোগ


সোনালীনিউজ রিপোর্ট মে ১১, ২০১৬, ০২:২৬ পিএম
রমজানে দুধে ভেজাল রুখতে বিশেষ অভিযানের উদ্যোগ

রমজানে ভোক্তাদের মধ্যে ভেজালমুক্ত দুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে চাচ্ছে সরকার। কারণ এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী দেশের সমবায়ভিত্তিক আধা-সরকারী প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটার সুনাম ব্যবহার করে গ্রাহকদের প্রতারিত এবং শিশুস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ভেজাল দুধ বাজারজাত করছে। এই ধরনের ১২টি প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পেয়েছে সরকার। সরকারের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ ওসব প্রতিষ্ঠানের বিরদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। সেজন্য র‌্যাবের সহায়তাও চাওয়া হয়েছে। র‌্যাব ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ করে মিল্ক ভিটার দুধ নকল করে যেসব কোম্পানি বাজারে প্যাকেটজাত দুধ সরবরাহ করছে তাদের ইতোমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে। এই সতর্ক অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে বাজারে মিল্ক ভিটার মতো দেখতে অনেকগুলো কোম্পানিই তরল দুধ প্যাকেটজাত করে বিক্রি করছে। সেসব কোম্পানিকে ইতিমধ্যে অনুসন্ধান করে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন অভিযানের পালা। রমজানের আগেই যে কোনো সময় ওই অভিযান শুরু করা হবে।

সূত্র জানায়, ভোক্তাদের মাঝে ভেজালমুক্ত দুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ ইতিমধ্যে তৎপর হয়ে উঠেছে। সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান ভেজাল প্যাকেটজাত  দুধের বিরুদ্ধে গ্রাহকদেও সচেতন থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। বাজারে প্রাইম, রিয়াল মিল্ক, ডেইরি ফ্রেস, আফতাব মিল্ক, আলট্রা মিল্ক, পিউরা মিল্ক ও মিল্ক ফ্রেস নামে মিল্ক ভিটার মতো দেখতে প্যাকেটজাত তরল দুধ অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারজাত করছে।

সরকারের দাবি- মিল্ক ভিটা জীবাণুমুক্ত করে গ্রাহকদের জন্য নিরাপদ দুধ সরবরাহ করে। তাছাড়া দুধ জীবাণুমুক্ত করে বাজারজাতকরণের মেশিন মিল্কভিটা ছাড়া আর মাত্র দু-একটি কোম্পানির আছে। কিন্তু ভেজাল দুধ সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর কাছে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার মতো মেশিন নেই। মিল্ক ভিটা দেশে শিশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বয়স্কদেরও মিল্ক ভিটা খাওয়ানো হয়। কিন্তুমিল্ক ভিটা মনে করে জীবাণুবাহী ভেজাল দুধ খাওয়ালে ব্যাকটেরিয়া বাচ্চাদের শরীরে ঢুকে ক্ষতি করবে। মিল্ক ভিটার মতো প্যাকেটে দুধ বাজারজাত করে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। অল্প শিক্ষিত গরিব মানুষ তা দেখে চিনতে পারবে না। মনে করবে মিল্ক ভিটার দুধই।

সূত্র আরো জানায়, একমাত্র মিল্ক ভিটাই শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে রিফাইন করে দুধ বাজারে ছাড়ছে। অন্যরা দুধের সাথে বিভিন্ন জিনিস মিশিয়ে দিচ্ছে। মিল্ক ভিটায় কোনো ধরনের প্রিজারভেটিব ব্যবহার করা হয় না। বর্তমানে বাজারে যেসব ভেজালযুক্ত দুধ পাওয়া যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে র‌্যাবকে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ওসব কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আইনজীবীদের সাথে আলোচনা করা হবে।

ভেজাল দুধের প্যাকেটে বিএসটিআইয়ের লোগো থাকলেও আদৌ তা বিএসটিআইয়ের অনুমোদন আছে কিনা তা নিশ্চিত নয় কেউ। সেজন্য সংগ্রহ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুধ পরীক্ষার জন্য বিএসটিআইতে পাঠানো হবে। তাছাড়া যারা ট্রেডমার্ক দেয় তাদেরও এই বিষয়টি জানানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কেউ যাতে নকল দুধ তৈরি করতে না পারে সেদিকে সরকার কড়া নজর দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান ভেজাল প্যাকেটজাত  দুধের বিরুদ্ধে গ্রাহকদেও সচেতন থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বাজারে ভেজাল দুধ সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। নকল কোম্পানির মোড়ক দেখতে ঠিক মিল্ক ভিটার মতো। নামটা ভিন্ন হলেও লেখার ফন্ট ও রং এক রকম হওয়ায় দূর থেকে মিল্ক ভিটা বলে ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আমা

Wordbridge School
Link copied!