• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগ, মামলা হচ্ছে বাবুনগরীর বিরুদ্ধে!


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ২, ২০২০, ০৯:২৬ পিএম
আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগ, মামলা হচ্ছে বাবুনগরীর বিরুদ্ধে!

ঢাকা: হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমীর মাওলানা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর বিষয়টি আবারও সামনে আসছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ছাড়া হয়েছে লিফলেট। 

পুস্তিকাটির নাম ‘শহীদ শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.): হাটহাজারীতে জীবনের শেষ তিন দিন’। এতে আরও দাবি করা হয়েছে, শারীরিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতি হলেও সময়মতো চিকিৎসাবঞ্চিত হয়েছেন আহমদ শফী।

এতে রয়েছে তার জীবনের শেষ তিন দিনের সঙ্গী নাতি মাওলানা আরশাদ ও খাদিম মাওলানা হোজাইফা আহমদের জবানবন্দি। হাটহাজারীতে বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও নিজেদের সাবেক সভাপতির চিকিৎসা বিলম্বের ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। 

গ্রন্থের প্রথম পর্বে নাতি উল্লেখ করেন, ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে আহমদ শফী দাওরায়ে হাদিসের ক্লাসে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে হাটহাজারী মাদ্রাসায় হট্টগোল শুরু হয়। তখনই আরশাদ খবর পান, তার চাচা আনাস মাদানী ও প্রতিষ্ঠানের মুঈনে মুহতামিম শেখ আহমদের কক্ষ ভাঙচুর করেছে আন্দোলনকারীরা। এরপর শেখ আহমদকে সঙ্গে নিয়ে আহমদ শফীর কক্ষে আসে পাঁচজনের একটি দল, এর নেতৃত্বে ছিলেন মাওলানা হাসানুজ্জামান।

আবনায়ে দারুল উলুম হাটহাজারী থেকে প্রকাশিত বইটিতে হাসানুজ্জামানকে ‘উগ্রপন্থী’ হিসেবে দাবি করেছেন আরশাদ। এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘আল্লামা শেখ আহমদ সাহেবের সঙ্গে উগ্রপন্থী নেতা হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে পাঁচজনের একটি দল মুহতামিম (আহমদ শফী) সাহেবের কক্ষে আসে। এরপরই তারা হযরতকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।

তিনি (আল্লামা শফী) বারবার বলছিলেন, অভিযোগ লিখিত আকারে উপস্থাপন করো, আমি দস্তখত করবো। কিন্তু বাবারা তোমরা এইভাবে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার কোরো না।

হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন দলটি চলে যাওয়ার পরপরই মাওলানা শহিদুল্লাহর নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের আরেকটি দল আসে।সেদিন হুজুরের গায়ে হাত তোলা কেবল বাকি রেখেছিল তারা।

বিষয়টি নিয়ে বাবুনগরী বিরোধী মাওলানা শফী পন্থীরা বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকায় একটি বৈঠক ডেকেছেন। সেই বৈঠক থেকে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এই ডিসেম্বরেই এ সংক্রান্ত উদ্যোগ প্রকাশ্যে আসবে। আহমদ শফীর পরিবারের পক্ষ থেকেই মামলা হতে পারে।মামলা হলে বাবুনগরী পন্থীদেরই আসামী করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে এমনকি খোদ হেফাজতের বর্তমান আমির বাবুনগরীও থাকতে পারেন আসামীর তালিকায়। 

অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য এবং মূর্তি ইস্যুতে শনিবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় শীর্ষ আলেমদের বৈঠক ডেকেছে হেফাজতে ইসলাম।

হেফাজত চাচ্ছে দেশের বিভিন্ন ইসলামি সংগঠনকে তাদের দাবির সঙ্গে যুক্ত করতে। তার আগে তারা ঢাকায় বড় ধরনের কোনো সমাবেশ করবে না। এ কারণেই শনিবার তারা ঢাকায় শীর্ষ আলেম ওলামাদের সঙ্গে পরামর্শ সভা ডেকেছে। 

ওই সভায় চরমোনাইর নেতারা ছাড়াও আরো অনেক ইসলামিক নেতাকে রাখার চেষ্টা করছে তারা। তাদের দাবি অনেক ধর্মীয় নেতারা তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে চাচ্ছেন। সভায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে তারা। আর মূর্তি বিষয়ে ইসলামের ভাষ্য নিয়ে তারা একটা যৌথ বিবৃতি দেবে। হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তারে যে দাবি উঠেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংঠনগুলোর কাছ থেকে সে ব্যাপারেও নিন্দা প্রস্তাব পাস করা হবে।

বৈঠকটি ডেকেছেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ বা বেফাকের সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান। এটি বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ শিক্ষা বোর্ড। আর কওমি মাদ্রাসাগুলো নিয়ন্ত্রণ করে হেফাজতে ইসলাম। হেফাজতের আমীর মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরী তাকে দিয়ে কৌশলে এই বৈঠক ডাকিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!