• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হজের নামে মানবপাচার: কঠোর নজরদারি


বিশেষ প্রতিনিধি জুন ১, ২০১৬, ০১:২৭ পিএম
হজের নামে মানবপাচার: কঠোর নজরদারি

নারী হজ গমনেচ্ছুদের অভিভাবক (মাহরাম) পরিচয়ে মানবপাচার রোধে চলতি বছর কঠোর নজরদারি করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ধর্ম মন্ত্রণালয় নির্ধারিত কোটার মধ্যে নির্ধারিত সময়ে যে সব নারী হজ গমনেচ্ছু ব্যক্তি মাহরাম ব্যতীতই প্রাক-নিবন্ধিত হয়েছেন বা মাহরামের প্রাক-নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের কাছ সম্প্রতি আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সহস্রাধিক অভিভাবকের কাছ থেকে আবেদন জমা পড়ে। প্রকৃত পরিচয় গোপন করে মাহরাম সেজে কেউ যেন চলতি বছর হজে যেতে না পারে সে লক্ষ্যে আবেদনপত্রগুলো ভালভাবে যাচাইবাছাই করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। প্রকৃত সম্পর্ক নির্ধারণে জাতীয় পরিচয়পত্র, স্পেশাল ব্রাঞ্চ পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনসহ আনুষঙ্গিক তথ্য-উপাত্তের ওপর কঠোর নজরদারি করা হচ্ছ বলে জানান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, বিগত কয়েক বছর যাবৎ প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে লক্ষাধিক হাজি পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যান। অন্যান্য বছর কাগজে-কলমে হজের রেজিষ্ট্রেশন হতো। এ সুযোগে প্রকৃত পরিচয় গোপন করে মাহরাম হিসেবে হজ করতে গিয়ে আর ফেরত আসতেন না। কেবল চলতি বছর ই-হজ পদ্ধতিতে রেজিষ্ট্রেশন চলছে। এ ব্যবস্থায় প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, নারীরা হজে গেলে তার অভিভাবক (মাহরাম) হিসেবে একজন করে পুরুষ যাওয়ার বিধান রয়েছে। নারী হজ যাত্রীর স্বামী, ছেলে বা অন্যান্য স্বজন যাদের সঙ্গে তার বৈবাহিক সম্পর্ক হতে পারবে না এমন পুরুষকে তিনি নিরাপত্তার জন্য সঙ্গে নিতে পারবেন।

তিনি জানান, চলতি বছর অনেক আগে থেকেই ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে হজ রেজিষ্ট্রেশনসহ সার্বিক কার্যক্রম চলছে। শুধু মাহরামই নয়, পবিত্র হজ পালন যেন ক্রটিমুক্ত হয় সে ব্যাপারে ধর্ম মন্ত্রণালয় নজরদারি করছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!