• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গিদের ভয়াবহ নাশকতার পূর্বাভাস, সতর্ক পুলিশ


নিজস্ব প্রতিবেদক  নভেম্বর ২৩, ২০২২, ০১:৪৬ পিএম
জঙ্গিদের ভয়াবহ নাশকতার পূর্বাভাস, সতর্ক পুলিশ

ফাইল ছবি

ঢাকা: দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানের মধ্যেও জঙ্গি তৎপরতা থেমে নেই। জঙ্গিরা নানাভাবে নতুন করে সংগঠিত হওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সিএমএম) প্রধান ফটকের সামনে থেকে আনসার আল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাকে নাশকতার পূর্বাভাস বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ আগে জঙ্গিরা চোরাগুপ্তা হামলা চালালেও এবার তারা প্রকাশ্যে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তাদের সদস্যদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জঙ্গিদের বড় ধরনের সক্ষমতা নেই বলে বারবার দাবি করা হয়েছে। কিন্তু জঙ্গি ছিনতাইয়ের ৭২ ঘণ্টা পার হতে চললেও এখনও ছিনিয়ে নেয়া জঙ্গিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। 

তবে এ ঘটনার দায়েরকৃত মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তাদের দাবি ছিনিয়ে নেয়া জঙ্গি ও তাদের সদস্যরা গোয়েন্দা জালে রয়েছে। আর জঙ্গি ছিনতাইয়ের মূল পরিকল্পনাকারী ও মাস্টার মাইন্ড হিসেবে কাজ করেছেন চাকরিচ্যুত পলাতক মেজর জিয়া। যেকোনো সময় তাদের গ্রেফতার করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে, এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় রিমান্ডে থাকা ১০ আসামি চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র মতে, গত রোববারের ঘটনার পর তাদের আরও অপারেশনের টার্গেট ছিল। ছিনিয়ে নেয়ার তালিকায় রয়েছে কারাগারে আটক বেশ কয়েকজন দুর্ধর্ষ জঙ্গি।

এমন পরিস্থিতিতে কারাগারে আটক জঙ্গিদের ডান্ডাবেড়ি পরানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রিমান্ডে নেয়া আসামিরা হলেন— শাহীন আলম ওরফে কামাল, শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিন, বি এম মজিবুর রহমান, সুমন হোসেন পাটোয়ারী, আরাফাত রহমান, খাইরুল ইসলাম ওরফে সিফাত, মোজাম্মেল হোসেন, শেখ আবদুল্লাহ, আ. সবুর ও রশিদুন্নবী।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের প্রধান জিয়া রহমান বলেন, জঙ্গিরা আগে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে। এবার তারা প্রকাশ্যে দিবালোকে সবার সামনে থেকে সহযোগীদের ছিনিয়ে নিয়ে গেল। বিষয়টি হালকাভাবে নেয়া সুযোগ নেই। এ কারণে জঙ্গি দমনে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সজাগ হওয়ার প্রয়োজন। পাশাপাশি তাদের মাস্টারমাইন্ড এবং অর্থদাতাদেরও চিহ্নিত করা জরুরি।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ বলেন, ছিনিয়ে নেয়া জঙ্গিরা নজরদারিতে রয়েছে। এ ছাড়া তাদের সহযোগীরাও চিহ্নিত। আশা করছি, দ্রুত তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। জঙ্গি ছিনতাইয়ের মূল পরিকল্পনাকারী ও মাস্টার মাইন্ড চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া। তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। একটি ঘটনা দিয়ে জঙ্গিদের সক্ষমতার বিচার করা সম্ভব না।

জানা গেছে, গত ২০ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার সিএমএম আদালতে শুনানি শেষে প্রিজন ভ্যানে তোলার ঠিক আগ মুহূর্তে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি মো. মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে শাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবকে ছিনিয়ে নেন তার সহযোগী জঙ্গিরা। ছিনিয়ে নেয়া দুই জঙ্গি ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকার শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় ১৩১ নম্বর জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে সারা দেশে রেড-অ্যালার্ট জারি করেছে পুলিশ সদর দফতর।

জঙ্গিবাদ নিয়ে কাজ করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, ২০০৯ সালের ১৪ মে র‍্যাব মিরপুর থেকে বোমারু মিজানকে গ্রেফতার করে। আজ থেকে ৮ বছর আগে ২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি এভাবেই ফিল্মিস্টাইলে জঙ্গিরা ছিনিয়ে নিয়েছিল তাদের সহযোগী দেশ-বিদেশে মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি বোমারু মিজানকে। ওই দিন ময়মনসিংহের ত্রিশালের একটি আদালতে মামলার শুনানি ছিল বোমারু মিজানকে।

এজন্য তাকে গাজীপুর জেলার কাশিমপুরের হাই-সিকিউরিটি কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে ময়মনসিংহের ত্রিশালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ত্রিশালের সাইনবোর্ড এলাকায় যাওয়ার পর জঙ্গিরা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে প্রিজন ভ্যান আটকে দেয়। এরপর গুলি ও বোমা মেরে এক পুলিশকে হত্যা করে। অপর পুলিশ সদস্যদের আহত করে ছিনিয়ে নেয় মোস্ট ওয়ান্টেড ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বোমারু মিজানসহ তিন জঙ্গিকে। পরবর্তীতে পুলিশের অভিযানে এক জঙ্গি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে চেকপোস্টে গোলাগুলিতে মারা যায়।

অপরজন লেবাস পরিবর্তন করার পরেও গ্রেফতার হয়। জঙ্গি মিজানকে ধরিয়ে দিতে সরকার ৫ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খাগড়াগড়ে জেএমবির বোমা তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণে বাংলাদেশি দুই জেএমবি জঙ্গি নিহত হন। গ্রেফতার হন নিহত দুই জঙ্গির স্ত্রী বাংলাদেশি নাগরিক রাজিয়া বিবি ও আলিমা বিবি। দুই নারী জঙ্গির দেয়া তথ্য মতে সেখানে বোমা তৈরির কারখানা স্থাপনকারী হিসেবে বোমারু মিজানের নাম ওঠে আসে।

সূত্রমতে, ২০১৮ সালের আগস্টে ভারতীয় জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) বেঙ্গালুরুর মালাপ্পুমের শ্রমিকদের বসবাসের একটি এলাকা থেকে কওসর ওরফে নসরুল্লাহ ওরফে বোমারু মিজানকে গ্রেফতার করে। দেশটির আদালত তাকে ২৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। তিনি বর্তমানে ভারতের জেলে বন্দি।

সূত্রটি বলছে, দিন দুপুরে বোমারু মিজানের পর আবারও অনেকটা ফিল্মিস্টাইলে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় নতুন করে জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ও গোপনে সক্রিয় থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রিমান্ডে আনা জঙ্গিদের কাছ থেকে তথ্য বের করার চেষ্টা করছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। তবে জঙ্গি নেতারা কাটআউট পদ্ধতিতে চলার কারণে তাদের সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। মূলত অর্থদাতা এবং নেতাদের সন্ধানে মাঠে নেমেছে গোয়েন্দারা।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গি ছিনতাইয়ের মূল পরিকল্পনাকারী আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার নেতা ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষিত ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টার দায়ে চাকরিচ্যুত সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে সাগর ওরফে বড়ভাই ওরফে মেজর জিয়া। তিনিই জঙ্গি ছিনতাইয়ের মূল মাস্টারমাইন্ড। তার নির্দেশনায়ই দুই জঙ্গিকে তাদের সহযোগীরা ছিনিয়ে নেয়।

ঘটনার আগে ১২ জঙ্গিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে ঢাকার সিএএম আদালতে হাজির করা হয়েছিল। সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইবুনাল ৮-এ বিচারাধীন থাকা একটি মামলায় জঙ্গিদের উপস্থিতিতে শুনানি হয়। শুনানি শেষে প্রিজন ভ্যানে তোলার ঠিক আগ মুহূর্তে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে।

এদিকে কারাগার সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন কারাগারে ৫৭৪ জন জঙ্গি আটক রয়েছে। এরমধ্যে জেএমবির ৪৩৩ ও অনন্যা গ্রুপের ১৪১ জন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেয়া তথ্যমতে, জেএমবি ও নব্য জেএমবি সদস্যদের বড় ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড করার সক্ষমতা নেই।

তবে রোববারের ঘটনার পর আনসার আল ইসলাম ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যদের পরিবার সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে সর্বশেষ ১৫ দিন তারা কোথায় গিয়েছিলেন এবং উদ্দেশ্য কি ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সর্বশেষ কাশিমপুর কারাগারে স্বজন পরিচয়ে জঙ্গি দলের দুই সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারীরা কারা ছিলেন তাও তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে।

ডান্ডাবেড়ি পরাতে কারাগারে পুলিশের চিঠি—এদিকে সন্ত্রাসী, জঙ্গি, চাঞ্চল্যকর, সাজাপ্রাপ্ত বা একাধিক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আদালতে হাজির করার সময় ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়ে কারা সদরদফতরে চিঠি পাঠিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগ পুলিশ কমিশনারের মাধ্যমে এ চিঠি পাঠিয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কোর্টে হাজিরের সময় গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের ডান্ডাবেড়ি না পরানোর কারণে এরই মধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। ডান্ডাবেড়ি পরানো থাকলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হতো। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য কারা সদরদফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

কারা সদরদফতরে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয় জেলখানা থেকে সন্ত্রাসী, জঙ্গি, চাঞ্চল্যকর গুরুত্বপূর্ণ আসামি এবং সাজাপ্রাপ্ত বা একাধিক মামলার দণ্ডপ্রাপ্তদের আদালতে হাজির করার সময় অবশ্যই জেল কোড অনুযায়ী ডান্ডাবেড়ি পরানোর নির্দেশনা ছিল। এমতাবস্থায়, জেলখানা থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামিদের কোর্টে পাঠানোর সময় জেল কোড অনুযায়ী অবশ্যই ডান্ডাবেড়ি পরানো এবং জঙ্গি ও সন্ত্রাসীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের আলাদা প্রিজনভ্যানে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো।

আরও সময় চাইবে তদন্ত কমিটি—ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) কোর্টের সামনে থেকে মৃত্যু-দণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনার প্রতিবেদন জমা দিতে আরও সময় চাইবে তদন্ত কমিটি। এর আগে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গঠিত এই কমিটির। কমিটি সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন জমা দিতে আরও সময় চাইবে কমিটি। আসামি পালিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত সুপারিশমালা প্রণয়নের কথা রয়েছে এই তদন্ত কমিটির।

গতকাল মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সভাপতি ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, আজ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হচ্ছে না। তদন্ত শেষ করতে আরও সময় লাগবে। কমিটি গঠন নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের আদেশে বলা হয়, সিএমএম কোর্টের সামনে থেকে জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় এ সংক্রান্তে দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত সুপারিশমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি—আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।

গতকাল মঙ্গলবার সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কারা অণুবিভাগ) মো. হাবিবুর রহমানকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শকের প্রতিনিধি (ডিআইজি পদমর্যাদার নিচে নন), অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক ও ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

আদেশে বলা হয়, ২০ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মোহাম্মদপুর থানার মামলায় (মামলা নং-৬১(২)১৬) সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাজাপ্রাপ্ত আবু সিদ্দিক ওরফে সোহেল ওরফে সাকিব ও মাইনুল হাসান শামীম ওরফে ইমরানকে (ব্লগার দীপন এবং অভিজিৎ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি) দুষ্কৃতকারীরা ছিনিয়ে নেন। ওই ঘটনার এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। 

সোনালীনিউজ/এম

Wordbridge School
Link copied!