• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

তৃণমূলের চাপে বিএনপি


বিশেষ প্রতিবেদক ডিসেম্বর ২২, ২০১৮, ০৯:৪৮ পিএম
তৃণমূলের চাপে বিএনপি

ঢাকা : নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে যাবে বিএনপি? কিন্তু কখন? এ নিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতারা ঐক্যমতে আসতে পারেননি। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া তার কর্মীদের পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় থাকতে বলেছে।

ড. কামাল হোসেন বলেছেন, মাটি কামড়ে থাকতে। ভোটের দিন অভাবনীয় কিছু হবে। কিন্তু বিএনপির প্রার্থীরা মাঠ থেকে চাপ দিচ্ছে। মাঠে হাতে গোনা কয়েকজন বাদে বিএনপির সব প্রার্থীরাই কেন্দ্রীয় নেতাদের বলছেন, নির্বাচনের মাঠে থাকা তৃণমূলের জন্য ‘অসম্ভব’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন বিএনপি কি করবে?

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সামনে তিনটি বিকল্প পথ খোলা রয়েছে। এগুলো হলো-

১. নিয়মতান্ত্রিক রাজনিতি: বিএনপির সামনে প্রথম এবং সহজ বিকল্প হলো শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকা। যে ফলাফলই হোক তা মেনে সংসদে গিয়ে সরকারের সমালোচনা এবং আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে, এর ফলে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি আত্মপ্রকাশের সুযোগ পাবে। আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে। সংসদীয় গণতন্ত্রে একটি ভালো বিরোধী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে। কিন্তু এই বিকল্পে বিএনপির যাবার সম্ভাবনা এখনও কম।

২. ভোটের আগে বর্জন: বিএনপির বেশির ভাগ নেতা কর্মী এখন এই পথের কথাই ভাবছে। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বলছে, ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে যে কোন দিন নির্বাচন বর্জনের ডাক আসতে পারে। নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায়। কিন্তু সময় যতোই গড়াচ্ছে, ততই আন্দোলনের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে উঠছে। বিএনপির নেতাদের কেউ কেউ বলছে, নির্বাচন বর্জন করা হয়তো যাবে। যেকোন সময় একটা ঘোষণা দিয়েই নির্বাচন বর্জন করা যায়। কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার ক্ষমতা বিএনপির নেই বলেই মনে করছেন বিএনপির অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ। সেক্ষেত্রে নতুন আন্দোলন বিএনপিকে নতুন সংকটে ফেলবে।

৩. ভোটের পর আন্দোলন: বিএনপির অধিকাংশ শরীকরা এখন এই বিকল্প নিয়েই আগ্রহী। জাতীয় ঐক্যফন্টের একাধিক নেতা বলছেন, নির্বাচনে জিততে গেলে সরকারকে বড় রকম কারচুপি করতেই হবে। সেক্ষেত্রে জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে। তখন ভোট কারচুপির প্রতিবাদে আন্দোলন গড়ে তুললে তা জনসমর্থন বেশি পাবে। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ নেতারা এ ব্যাপারে সায় নেই। তারা মনে করছে, নির্বাচনের পর সরকার আরো কঠোর হবে। এখনই বিএনপি রাস্তায় দাঁড়াতে পারে না। আর নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ আন্দোলনের কোন সুযোগই দেবে না।

বিএনপির সামনে খোলা এই তিন পথের কোন পথে বিএনপি যাবে- তা দেখা যাবে অল্প ক’দিনের মধ্যেই।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!