• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ফাইনালে যেতে ইংল্যান্ডকে সহজ টার্গেট দিল অস্ট্রেলিয়া


ক্রীড়া ডেস্ক জুলাই ১১, ২০১৯, ০৭:১৯ পিএম
ফাইনালে যেতে ইংল্যান্ডকে সহজ টার্গেট দিল অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা: বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি ইংল্যান্ড। বৃহস্পতিবার এজবাস্টনে বাংলাদেশ সময় ৩.৩০ মিনিটে খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে। লিগ পর্বের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডকে ৬৪ রানে হারিয়ে দিয়েছিল। ২৫ জুন লর্ডসের সেই ম্যাচে ২৮৬ রান তাড়া করতে নেমে ২২১ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। 

দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে টসে জিতে ব্যাটিং করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। আর্চারের প্রথম বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাঝঘরে ফিরেন ফিঞ্চ। রানের খাতা না খুলেই ফিরেন তিনি। এরপর ওকসের বলে বেয়ারস্টোর হাতে তালুবন্ধি হয়ে ৯ রান করে ফিরেন ওয়ার্নার।

শুরুতে দুই উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার আগেই ওকসের বলে ফিরে যান পিটার হ্যান্ডসকম্ব। ১২ বলে ৪ রান করেন তিনি। এদিকে, ম্যাচের ৮ম ওভারে আর্চারের করা বল এসে লাগে অ্যালেক্স ক্যারির হেলমেটে। যাতে করে তার থুতনির অংশ কেটে যায় এবং রক্ত ঝরে। 

তবে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নেন এবং ব্যাট করছেন। রক্তাক্ত হলেও দমে যাননি ক্যারি। ব্যান্ডেজ নিয়েই ব্যাট হাতে লড়াই করে যাচ্ছেন এই অসি ব্যাটসম্যান। কঠিন বিপদের সময় ত্রাণকর্তা হিসেবে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন স্টিভেন স্মিথ এবং অ্যালেক্স ক্যারে। তাদের দু’জনের ব্যাটে ১০৩ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়ে ওঠার পর হঠাৎই ঝড় তোলেন আদিল রশিদ। তার মায়াবী ঘূর্ণিতে একই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে বসে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

২৮তম ওভারে বোলিং করতে এসেই ইংলিশ লেগ স্পিনার আদিল রশিদের মায়াবী ঘূর্ণি ফাঁদে পড়ে পরিবর্তিত ফিল্ডার জেমস ভিন্সের হাতে ক্যাচ দেন উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া অ্যালেক্স ক্যারে। ৭০ বল খেলে ৪৬ রান করে আউট হন তিনি। এরপর একই ওভারের শেষ বলে আদিল রশিদের বলটা ঠিকমত বুঝতে পারেননি মার্কাস স্টইনিজ। তার বল পায়ে লাগার পরই জোরালো আবেদন করেন আদিল রশিদ।

আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা অনেক্ষণ সময় নিয়ে এরপর ধীরে ধীরে আঙ্গুল তোলেন। তার আউট দেয়ার স্টাইল দেখেই মনে হচ্ছিল যেন, ইচ্ছার বিরুদ্ধে আউটটা দিয়েছেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার দুর্ভাগ্য, রিভিউ বাকি ছিল না, তাই রিভিউর আবেদনও করতে পারেনি তারা। ১১৮ রানে পড়ে পঞ্চম উইকেট।

এরপর ৭২ বলে ৪ চারে হাফসেঞ্চুরি করেন স্মিথ। রানের খাতা না খুলেই রশিদের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফিরেন স্টোইনিস। একদিকে স্মিথ টিকে থাকলেও বাকিরা ফিরতে থাকেন। ২২ রান করে আর্চারের বলে মরগানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ম্যাক্সওয়েল। রশিদের বলে রুটের হাতে তালুবন্ধি হয়ে সাঝঘরে ফিরেন কামিন্স। দলকে একাই টেনে নেন স্মিথ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৮৫ রানে রান আউটের শিকার হয়ে ফিরেন স্মিথ।

২৯ রান করে ওকসের বলে বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন স্টার্ক। এরপর ১ রান করে উডের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন বেহরনডোর্ফ। এরই ফলে ৪৯ ওভারে ২২৩ রানেই অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে উঠতে ইংল্যান্ডের দরকার ২২৪ রান।

অস্ট্রেলিয়া একাদশ : অ্যারন ফিঞ্চ, ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ, পিটার হ্যান্ডসকম্ব, মার্কোস স্টইনিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, অ্যালেক্স ক্যারে, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জেসন বেহরেনডর্ফ, নাথান লিওন।

ইংল্যান্ড একাদশ : জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, এউইন মরগ্যান, বেন স্টোকস, জস বাটলার, ক্রিস ওকস, মার্ক উড, জোফরা আর্চার, লিয়াম প্লাঙ্কেট, আদিল রশিদ।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!