• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
তরুণ ক্রিকেটারের আত্মহত্যা

আত্মহত্যা কোনো কিছুর সমাধান হতে পারে না


ক্রীড়া প্রতিবেদক নভেম্বর ১৬, ২০২০, ০৩:৩২ পিএম
আত্মহত্যা কোনো কিছুর সমাধান হতে পারে না

ঢাকা : বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের স্ট্যান্ডবাই ক্রিকেটার সজীবুল ইসলাম সজীব। সজীবের আত্মহত্যায় পুরো বাংলাদেশ ক্রিকেট নড়েচড়ে বসেছে।

আবেগের বশে সম্ভাবনাময় এই ক্রিকেটারের আত্মহননের সিদ্ধান্তকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম।

তবে তিনি ক্রিকেটারদের প্রতি এমন কাজ করার আগে পরিবার এবং প্রিয়জনদের সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করতে অনুরোধ করেছেন।

নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সজিবের ছবি পোস্ট করে মুশফিক ক্যাপশনে লিখেছেন, আমরা সবাই ক্রিকেটের খেলা, তবে মনে রাখব ক্রিকেটের বাইরেও জীবন রয়েছে। দেশের একজন সম্ভাব্য প্রতিভাবান ক্রিকেটারের আত্মহত্যার কথা শুনে গভীরভাবে দুঃখ পেলাম-মোহাম্মদ সজীব।

যাই হোক, আমি সবাইকে অনুরোধ করি যে এই জাতীয় কাজ করার আগে আমাদের পরিবার এবং প্রিয়জনদের সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করুন। আত্মহত্যা কোনো সঠিক পথ নয়, আল্লাহ আমাদের জন্য সমস্ত পরিকল্পনা করেছেন এবং তার পরিকল্পনায় আমাদের বিশ্বাস করা উচিত।

বিদেহী আত্মা ও তার পরিবারের জন্য দোয়া রইল। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সজীব বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অংশগ্রহণের জন্য সব পরীক্ষাও দিয়েছিলেন সজীব। গত ১৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে উত্তীর্ণ খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকায় তার নাম না থাকায় হতাশ হয়ে পড়ে সে।

সবার অজান্তে শনিবার (১৪ নভেম্বর) গভীর রাতে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সজীব। সকালে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তার ঝুলন্ত মরদেহ নামিয়ে আনেন। দুর্গাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসমত আলী জানান, সজীব আত্মহত্যা করেছে বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।

রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার ঝালুকা গ্রামের বাসিন্দা সজীবুল ছিলেন রাজশাহী কলেজের ইতিহাসে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি বিসিবি অনূর্ধ্ব–১৫, ১৭ ও ১৯ দলের খেলোয়াড় ছিলেন। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ২০১৭-১৮ মৌসুমের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন তিনটি ম্যাচ। রাজশাহীর বাংলা ট্র্যাক ক্রিকেট একাডেমির ছাত্র ছিলেন সজীব। সেখানেই করতেন অনুশীলন।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ না পেয়ে তরুণ ক্রিকেটারের আত্মহত্যা : বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ ক্রিকেট টিমে সুযোগ না পেয়ে সজীবুল ইসলাম সজীব (২২) নামে এক তরুণ ক্রিকেটার আত্মহত্যা করেছেন।

রোববার (১৫ নভেম্বর) সকালে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত সজীবুল ইসলাম সজীব ওই গ্রামের মুরসেদ আলীর ছেলে। তিনি অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় ছিলেন। বয়সভিত্তিক অনূর্ধ্ব ১৫ ও ১৭ দলেও খেলেছেন সজীব। বিদেশের মাটিতেও খেলেছেন তিনি।

সজীবের বড় ভাই তশিকুল ইসলাম জানান, ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট ছিল সজীবের ধ্যান-জ্ঞান। সেই খেলার জন্য বকাও খেতে হয়েছে পরিবারের কাছে। এক সময় সে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তুলতে ভর্তি হয় রাজশাহীর কাটাখালীর বাংলা ট্র্যাক ক্রিকেট একাডেমিতে। এরপর থেকেই সামনের দিকে এগুতে থাকে সজীব। এক-এক করে সে জাতীয় দলের অনূর্ধ্ব ১৫, ১৭ ও ১৯ দলে খেলেছে। অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলের খেলোয়াড় হয়ে শ্রীলংকার মাটিতে বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে খেলেছে। ভারতের বিপক্ষে ব্যাট করে সেই ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯৫ রান সংগ্রহ করে সে। দলের মধ্যে সে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ছিল।

তশিকুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি সজীব বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। অংশগ্রহণের জন্য সব পরীক্ষাও দিয়েছিল সজীব। গত ১৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে উত্তীর্ণ খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকায় তার নাম না থাকায় হতাশ হয়ে পড়ে সে। সবার অজান্তে শনিবার (১৪ নভেম্বর) গভীর রাতে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সজীব। সকালে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তার ঝুলন্ত মরদেহ নামিয়ে আনেন।

দুর্গাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসমত আলী জানান, সজীব আত্মহত্যা করেছে বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। এছাড়াও এ নিয়ে পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ দাফনের অনুমিত দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!