• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আইসিসির কোর্টে বল ঠেলে দিলেন রুট


ক্রীড়া ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১, ০৭:২৬ পিএম
আইসিসির কোর্টে বল ঠেলে দিলেন রুট

ঢাকা : কখনও বল অস্বাভাবিকভাবে লাফিয়ে উঠছে আবারও কখনও ব্যাটসম্যানরা বলের লাইনে গিয়েও আউট হচ্ছেন। যে কারণে স্পিনারদের দাপটে খাবি খেতে হয়েছে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের। স্পিন উইকেট বানিয়ে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের লড়াইয়ে বেশ ভালোভাবে টিকে রয়েছে ভারত। ঘরের মাঠে সিরিজ মানেই উইকেটে স্বাগতিকদের আধিপত্য।

গোলাপি বলের টেস্ট জিততে ভারতও সেই পথেই হেঁটেছে। তবে ৫ দিনের টেস্ট মাত্র দুই দিনে শেষ হওয়ায় উইকেট নিয়ে সমালোচনার অন্ত নেই। আহমেদাবাদ টেস্টের উইকেটের মান আন্তর্জাতিক মানের ছিল কিনা সেটা নিয়ে সিদ্ধান্তের ভার আইসিসির ওপর ছেড়ে দিয়েছেন জো রুট।

স্বাগতিক দেশ হওয়ায় তাদের পছনন্দের ওপর ভিত্তি করেই উইকেট বানানো হয়। মূলত উইকেট কেমন হবে সেটা নির্ভর করে সেই দলের বোলিং ইউনিটের শক্তিমত্তার ওপর। তবে উপমহাদেশের উইকেট মানেই যেন স্পিন স্বর্গ। যেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উপমহাদেশের বাইরের দেশগুলোর জন্য রীতিমত স্পিন ফাঁদ বানানো হয়। আহমেদবাদ টেস্টে সেই পথে হেঁটেছে ভারতও।

স্পিন ট্র্যাক বানিয়ে ইংল্যান্ডকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বিরাট কোহলির দল। তাতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে ওঠার লড়াইটা আরও সহজ হলো ভারতের জন্য। সঙ্গে এই ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে অক্ষর প্যাটেলের ১১ উইকেট, ইশান্ত শর্মার ১০০তম এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ৪০০তম টেস্ট।

ভারতীয় ক্রিকেটারদের এমন পারফরম্যান্স ও দলের জয়ের দিনে প্রশ্নের মুখে গোলাপি বলের টেস্টের উইকেট। দিবারাত্রির টেস্টে বরাবরই সুবিধা পেয়ে থাকে পেসাররা। ঘরের মাঠে স্বাগতিক দেশ উইকেটের সুবিধা নিতেই পারে তবে সেটি কতটা আন্তর্জাতিক মানের সেটার ওপর লক্ষ রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রুট। তিনি মনে করেন, উইকেট নিয়ে আইসিসির সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপার রয়েছে।

ম্যাচ শেষে রুট বলেন, ‘আমি যেমন খেলার আগে উল্লেখ করেছি যে সর্বদা ঘরের মাঠের সুবিধা থাকতে হবে কারণ এটি টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্যের অংশ। আপনাকে বিশ্বের দারুণ সব জায়গায় খেলতে হবে এবং ভিন্ন উপায় খুঁজে আপনার খেলার উন্নতি করা শিখতে হবে। আপনি যদি ধারাবাহিকভাবে ভালো করতে চান তাহলে এমন উইকেটে খেলার উপায় বের করতে হবে। এটি পেসারদের জন্য ভালো উইকেট নয়। আপনার দলে যদি ভালো অলরাউন্ডার থাকে তাহলে এটি সামলে নিতে পারবেন।’

সবসময়ই কিছুটা ঘরের সুবিধা হতে পারে তবে এটি লজ্জার বিষয় যখন আপনি দারুণ সব খেলোয়াড় পাচ্ছেন কিন্তু তারা অংশ নিতে পারছে না। আপনি ইশান্তর ১০০তম টেস্টের দিকে লক্ষ্য করুন মাত্র কয়েকটি ওভার বল করেছে। জাসপ্রিত বুমরাহ, স্টুয়ার্ট ব্রড, জোফরা আর্চার, জেমস অ্যান্ডারসনের মতো বিশ্বের সেরা বোলারদের দেখছেন। কিন্তু আমরা তাদের খেলা দেখার সুযোগ পাচ্ছি না। এই বিষয়ে আইসিসির সিদ্ধান্ত নেয়ার রয়েছে তবে আপনি খেলোয়াড় হিসেবে এটির বিপক্ষে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে চাইবেন না। তবে আপনি এটি জানেন যে সেখানে একটি প্রতিযোগিতা হবে।’

উইকেটের পাশাপাশি বলও বড় ভূমিকা রেখে বলে মনে করেন এই ইংলিশ অধিনায়ক। রুট বলেন, ‘সত্যি বলতে এই উইকেটে বল একট বড় ফ্যাক্টর ছিল। লাল এসজির তুলনায় প্লাস্টিকের আবরণ পেসের পার্থক্য ছিল। চকচকে দিকে আঘাত করলেও পেস পাওয়া যাচ্ছিলো না। দুই দলেরই বেশ কিছু উইকেট এলবিডবিøউ আর বোল্ড হয়েছে পেসের তারতম্যের কারণে। আপনি যদি কিছু রিপ্লে দেখেন তাহলে দেখবেন ব্যাটসম্যানরা সঠিক জায়গায় ছিল কিন্তু পেসের তারমত্য সেটা কঠিন করে দিয়েছিল। অক্ষরকে কৃতিত্ব দিতে হয়, সে উইকেট বুঝতে পেরেছিল এবং সেটা ভালেভাবে কাজে লাগিয়েছে।’

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!